ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ রাসেল সেতু : একদিনে এত আলো, সারাবছর নাই!

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০২:২১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
  • / ৭৭৫

শেখ রাসেল দিবসে লাল নীল সবুজ আলোর ঝাড়বাতিতে সেজেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দর যুক্তকারী শহীদ শেখ রাসেল সেতু। তবে সারাবছরই রাতের অন্ধকারে ডুবে থাকে দুপাড়ের মানুষের পারাপারের একমাত্র অবলম্বন দৃষ্টিনন্দন এই সেতুটি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নান জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রায় একই সাথে পরপর তিনটি নদীর উপর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ২০ আগষ্ট শহীদ শেখ রাসেল সেতু এবং ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী একই সাথে শেখ জামাল ও শেখ কামাল সেতু উদ্বোধন হয়।

কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদী, হাজীপুরে সোনাতলা নদী এবং আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দরের শিববাড়িয়া নদীর উপর তিনটি সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে পটুয়াখালী কুয়াকাটা সড়কের নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপন হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তিন শহীদ পুত্রের নামে নামকরণ করা হয় তিনটি সেতুর।

কলাপাড়ায় শেখ কামাল সেতু; নির্মাণ ব্যায় প্রায় ৬৫ কোটি টাকা, হাজীপুরে শেখ জামাল সেতু; নির্মাণ ব্যায় প্রায় ৬৪ কোটি টাকা, আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দরে শেখ রাসেল সেতু; নির্মাণ ব্যায় প্রায় ২৬ কোটি টাকা।

শেখ কামাল, শেখ জামাল সেতুতে রাতে মানুষের পারাপার ও যানবাহন চলাচলের সুবিধার জন্য শুরু থেকে লাইটিং এর ব্যবস্থা থাকলেও, শেখ রাসেল সেতুতে কোনো লাইটিং এর ব্যবস্থা ছিলো না। ফলশ্রুতিতে ছিনতাই ও নেশার উপযুক্ত স্থান হয়ে উঠতো রাতের বেলায়।

এলাকাবাসীর চেষ্টায় এবং কর্তৃপক্ষের সুনজরের ফলে অবস্থার উন্নতি ঘটে। ব্যবস্থা হয় লাইটিং এর। তবে মোটামুটি বছর খানেক চলার পর বিকল হতে থাকে পুরো লাইটিং সিস্টেম। আর বর্তমানে একদম বিকল।

অর্থাৎ, দেশের এই কোটি টাকার সম্পদ, দুইপাড়ের মানুষের পারাপারের একমাত্র অবলম্বন রাতের আলোয় তলিয়ে যায় গভীর অন্ধকারে। আধুনিক যুগের এই আধুনিক স্থাপনা হয়ে ওঠে সমাজের পথহারা যুবক আর তরুণদের নেশার আখড়া। ঠিক একই অবস্থা শেখ কামাল ও শেখ জামাল সেতুরও।

শুধুমাত্র শেখ রাসেল দিবসে আলোক সজ্জায় সজ্জিত করে, আর সারা বছর অন্ধকারে রেখে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতি ঠিক কতটুকু সম্মান প্রদর্শন আর দেশের এই সম্পদের কতটুকু রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে তা কর্তৃপক্ষই জানেন!

অত্র এলাকার মানুষের জোর দাবি, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা হোক শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল সেতুর। সংস্কার করা হোক লাইটিং ব্যবস্থার। তাহলে শুধু একদিন নয় বরং সারাবছরই আলোকিত থাকবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের এই সেতুগুলো।

ওমর মিজান, আলীপুর, কলাপাড়া, পটুয়াখালী



নিউজটি শেয়ার করুন








শেখ রাসেল সেতু : একদিনে এত আলো, সারাবছর নাই!

আপডেটের সময় : ০২:২১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১

শেখ রাসেল দিবসে লাল নীল সবুজ আলোর ঝাড়বাতিতে সেজেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দর যুক্তকারী শহীদ শেখ রাসেল সেতু। তবে সারাবছরই রাতের অন্ধকারে ডুবে থাকে দুপাড়ের মানুষের পারাপারের একমাত্র অবলম্বন দৃষ্টিনন্দন এই সেতুটি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নান জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রায় একই সাথে পরপর তিনটি নদীর উপর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ২০ আগষ্ট শহীদ শেখ রাসেল সেতু এবং ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী একই সাথে শেখ জামাল ও শেখ কামাল সেতু উদ্বোধন হয়।

কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদী, হাজীপুরে সোনাতলা নদী এবং আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দরের শিববাড়িয়া নদীর উপর তিনটি সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে পটুয়াখালী কুয়াকাটা সড়কের নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপন হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তিন শহীদ পুত্রের নামে নামকরণ করা হয় তিনটি সেতুর।

কলাপাড়ায় শেখ কামাল সেতু; নির্মাণ ব্যায় প্রায় ৬৫ কোটি টাকা, হাজীপুরে শেখ জামাল সেতু; নির্মাণ ব্যায় প্রায় ৬৪ কোটি টাকা, আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দরে শেখ রাসেল সেতু; নির্মাণ ব্যায় প্রায় ২৬ কোটি টাকা।

শেখ কামাল, শেখ জামাল সেতুতে রাতে মানুষের পারাপার ও যানবাহন চলাচলের সুবিধার জন্য শুরু থেকে লাইটিং এর ব্যবস্থা থাকলেও, শেখ রাসেল সেতুতে কোনো লাইটিং এর ব্যবস্থা ছিলো না। ফলশ্রুতিতে ছিনতাই ও নেশার উপযুক্ত স্থান হয়ে উঠতো রাতের বেলায়।

এলাকাবাসীর চেষ্টায় এবং কর্তৃপক্ষের সুনজরের ফলে অবস্থার উন্নতি ঘটে। ব্যবস্থা হয় লাইটিং এর। তবে মোটামুটি বছর খানেক চলার পর বিকল হতে থাকে পুরো লাইটিং সিস্টেম। আর বর্তমানে একদম বিকল।

অর্থাৎ, দেশের এই কোটি টাকার সম্পদ, দুইপাড়ের মানুষের পারাপারের একমাত্র অবলম্বন রাতের আলোয় তলিয়ে যায় গভীর অন্ধকারে। আধুনিক যুগের এই আধুনিক স্থাপনা হয়ে ওঠে সমাজের পথহারা যুবক আর তরুণদের নেশার আখড়া। ঠিক একই অবস্থা শেখ কামাল ও শেখ জামাল সেতুরও।

শুধুমাত্র শেখ রাসেল দিবসে আলোক সজ্জায় সজ্জিত করে, আর সারা বছর অন্ধকারে রেখে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতি ঠিক কতটুকু সম্মান প্রদর্শন আর দেশের এই সম্পদের কতটুকু রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে তা কর্তৃপক্ষই জানেন!

অত্র এলাকার মানুষের জোর দাবি, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা হোক শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল সেতুর। সংস্কার করা হোক লাইটিং ব্যবস্থার। তাহলে শুধু একদিন নয় বরং সারাবছরই আলোকিত থাকবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের এই সেতুগুলো।

ওমর মিজান, আলীপুর, কলাপাড়া, পটুয়াখালী