ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ের প্রলোভনে ৪৭ লাখ টাকা ও সর্বস্ব হারিয়ে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে নারীর সংবাদ সম্মেলন

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৭:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৬৬৯

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিয়ের প্রলোভনে ৪৭ লাখ টাকা ও সর্বস্ব হারানোর অভিযোগে লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর প্যাদার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মরিয়ম বেগম (৪৩) নামের এক নারী।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কলাপাড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরাম কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন অভিযোগকারী নারীর পিতা মো. মোসলেম দফাদার ও ভাই মো. আব্দুর রহমান।

লিখিত বক্তব্যে মরিয়ম বেগম জানান, তিনি বালিয়াতলী ইউনিয়নের দিগর বালিয়াতলী গ্রামের মৃত আফতের গাজীর ছেলে কামাল হোসেনের স্ত্রী ছিলেন। ১৭ বছর সংসার করার পর স্বামী কামাল হোসেন মারা যান। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

স্বামী জীবিত থাকাকালীনই পাশের গ্রামের বাসিন্দা ও লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর প্যাদা মাছের ব্যবসার সুবাদে তাদের বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই মজিবুর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মরিয়ম বেগমের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

প্রায় চার বছর আগে পটুয়াখালী নিয়ে গিয়ে ভুয়া কাবিননামার মাধ্যমে বিয়ের নাটক সাজিয়ে স্ত্রী হিসেবে তাকে গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ করেন মরিয়ম। পরবর্তীতে পরিবারকে প্রভাবিত করে বিভিন্নভাবে তার সম্পত্তি আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্র শুরু করেন মজিবুর প্যাদা।

২০২১ সালে তাদের বসতবাড়ি ও জমি পায়রা বন্দরের অধিগ্রহণে গেলে মরিয়ম ও তার ভাই আব্দুর রহমানের প্রাপ্য ৪৭ লাখ টাকা কৌশলে আত্মসাৎ করে মজিবুর প্যাদা উধাও হয়ে যান বলে দাবি করেন তিনি।

এ ঘটনায় টাকা ও স্বামীর অধিকার আদায়ে গেলে মজিবুর প্যাদা ২৭ লাখ টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে তাকে তাড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে ওই নারীসহ তার পিতা ও ভাইয়ের নামে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করেন বলেও অভিযোগ করেন মরিয়ম বেগম।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন অসহায় নারী। মজিবুর প্যাদা শুধু আমার টাকা নয়, আমার সম্মানও নষ্ট করেছে। এখন সে আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই। আমার নামের ব্যাংকে থাকা টাকা ও সম্পদ ফেরত চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মজিবুর প্যাদা বলেন, ‘মরিয়ম বেগমের সঙ্গে আমার কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক নেই। বরং তাদের কাছ থেকে আমার টাকা পাওনা আছে। সে কারণে আমি আদালতে মামলা করেছি। মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

স্থানীয় সচেতন মহল বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।



নিউজটি শেয়ার করুন








বিয়ের প্রলোভনে ৪৭ লাখ টাকা ও সর্বস্ব হারিয়ে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে নারীর সংবাদ সম্মেলন

আপডেটের সময় : ০৭:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিয়ের প্রলোভনে ৪৭ লাখ টাকা ও সর্বস্ব হারানোর অভিযোগে লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর প্যাদার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মরিয়ম বেগম (৪৩) নামের এক নারী।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কলাপাড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরাম কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন অভিযোগকারী নারীর পিতা মো. মোসলেম দফাদার ও ভাই মো. আব্দুর রহমান।

লিখিত বক্তব্যে মরিয়ম বেগম জানান, তিনি বালিয়াতলী ইউনিয়নের দিগর বালিয়াতলী গ্রামের মৃত আফতের গাজীর ছেলে কামাল হোসেনের স্ত্রী ছিলেন। ১৭ বছর সংসার করার পর স্বামী কামাল হোসেন মারা যান। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

স্বামী জীবিত থাকাকালীনই পাশের গ্রামের বাসিন্দা ও লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর প্যাদা মাছের ব্যবসার সুবাদে তাদের বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই মজিবুর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মরিয়ম বেগমের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

প্রায় চার বছর আগে পটুয়াখালী নিয়ে গিয়ে ভুয়া কাবিননামার মাধ্যমে বিয়ের নাটক সাজিয়ে স্ত্রী হিসেবে তাকে গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ করেন মরিয়ম। পরবর্তীতে পরিবারকে প্রভাবিত করে বিভিন্নভাবে তার সম্পত্তি আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্র শুরু করেন মজিবুর প্যাদা।

২০২১ সালে তাদের বসতবাড়ি ও জমি পায়রা বন্দরের অধিগ্রহণে গেলে মরিয়ম ও তার ভাই আব্দুর রহমানের প্রাপ্য ৪৭ লাখ টাকা কৌশলে আত্মসাৎ করে মজিবুর প্যাদা উধাও হয়ে যান বলে দাবি করেন তিনি।

এ ঘটনায় টাকা ও স্বামীর অধিকার আদায়ে গেলে মজিবুর প্যাদা ২৭ লাখ টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে তাকে তাড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে ওই নারীসহ তার পিতা ও ভাইয়ের নামে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করেন বলেও অভিযোগ করেন মরিয়ম বেগম।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন অসহায় নারী। মজিবুর প্যাদা শুধু আমার টাকা নয়, আমার সম্মানও নষ্ট করেছে। এখন সে আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই। আমার নামের ব্যাংকে থাকা টাকা ও সম্পদ ফেরত চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মজিবুর প্যাদা বলেন, ‘মরিয়ম বেগমের সঙ্গে আমার কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক নেই। বরং তাদের কাছ থেকে আমার টাকা পাওনা আছে। সে কারণে আমি আদালতে মামলা করেছি। মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

স্থানীয় সচেতন মহল বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।