ঘড়ির মতো যন্ত্রে রোগ নির্ণয়, ডাঃ রমজান হোসাইনের কাছে ভিড় করছে শত শত রোগী

- আপডেটের সময় : ০৭:১৭:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
- / ৮৬৭
স্টাফ রিপোর্টারঃ ঘড়ির মতো দেখতে এক ধরনের ডিজিটাল যন্ত্র হাতে পরিয়ে মুহূর্তেই রোগ নির্ণয়— এমন চমকপ্রদ চিকিৎসা পদ্ধতির কথা শুনে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন অসংখ্য মানুষ। এই অভিনব চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন যশোরের গাইদ ঘাট স্কুল বাজার শিমাখালি এলাকার চিকিৎসক ডাঃ এইচ. এম. রমজান হোসাইন।
পটুয়াখালী সদর ও আমতলী উপজেলা থেকে গত শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে একটি বাস ও দুইটি হাইসযোগে ৮৪ জন রোগী গিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসা নিতে। রাত ১১টার দিকে রওনা হয়ে তাঁরা পৌঁছান যশোরে, যেখানে রাত ১টার পর থেকেই ভিড় জমে শত শত রোগীর।
ডাঃ রমজান হোসাইন রোগীর হাতে ঘড়ির মতো একটি ডিজিটাল মেশিন পরিয়ে রোগ নির্ণয় করেন, রিপোর্ট ছাড়াই রোগের উপসর্গ, সমস্যা ও চিকিৎসা পরামর্শ দেন। প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর থেকে শুরু হয় চিকিৎসা সেবা, যা চলে সারাদিন। তবে যেসব রোগ তাঁর মাধ্যমে চিকিৎসা সম্ভব নয়, সেসব রোগীকে তিনি সরাসরি তা জানিয়ে দেন।
চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগী— আজিজুর, বাজিত, বেল্লাল, সেলিম ও মাহমুদা বেগম বলেন, “আল্লাহ তায়ালা মহান, তাঁর মাধ্যমে অনেক কিছু ঘটে। ডাঃ রমজান স্যার আমার হাতে ঘড়ির মতো মেশিনটি লাগিয়ে নানা সমস্যার কথা বলে দিলেন, যা একদম সত্য। কোনো রিপোর্ট ছাড়াই, হাসিমুখে ও মিষ্টি ভাষায় সেবা দিলেন। শুধু ছয়শ টাকার ওষুধ দিয়ে বললেন, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা সুস্থ করবেন।” রোগীদের অভিমত, সঠিকভাবে তাঁর দেওয়া ওষুধ সেবনে অনেকেই রোগমুক্তি পেয়েছেন।
চিকিৎসা সেবার মান ও নীতিমালা প্রসঙ্গে ডাঃ এইচ. এম. রমজান হোসাইন বলেন, “আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (মেডিসিন ও সার্জারি) ইনজন। বর্তমানে আমি মাগুরা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। ভালো ডাক্তার হতে হলে চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে হবে, রোগ ও উপসর্গ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। রোগীর প্রতি সহানুভূতিশীল ও পেশাদার আচরণই একজন ভালো চিকিৎসকের মূল গুণ।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আমার কাছে আসেন, আমি চেষ্টা করি তাঁদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে। আল্লাহ তাআলা যেন তাঁদের সুস্থতা দান করেন— এটাই আমার কামনা। এই সেবা অব্যাহত থাকবে।”
রোগ নির্ণয়ে প্রযুক্তিনির্ভর নতুন এই চিকিৎসা পদ্ধতি ইতিমধ্যেই আলোচনায় এনে দিয়েছে ডাঃ রমজান হোসাইনকে। যশোর ছাড়াও বরগুনা, পটুয়াখালী, খুলনা ও ফরিদপুর থেকে রোগীরা নিয়মিত তাঁর কাছে চিকিৎসা নিতে আসছেন।