ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আহত গাঙচিল উদ্ধার করে পরিচর্যার জন্য হস্তান্তর

চর বিজয়ে বন বিভাগের উদ্যোগে ৪০ হাজার ঝাউ গাছ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৮:১১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৬৩৪

মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর চর বিজয়ে বন বিভাগ, মহিপুর রেঞ্জের উদ্যোগে ‘সুফল প্রকল্প’-এর আওতায় ৪০ হাজার ঝাউ গাছ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক।

কর্মসূচির প্রথম ধাপে চর বিজয়ে ৮ হাজার ঝাউ চারা রোপণ করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম মনিরুজ্জামান, গঙ্গামতি ও ইকোপার্ক বিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকসহ বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এর আগে চর বিজয়ে রোপণ করা ঝাউ, ধানশী, সুন্দরী ও কেওড়া গাছ এবং বিস্তৃত ঘাসের আচ্ছাদন ইতিমধ্যে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি করেছে। ধারাবাহিকভাবে বনায়ন কার্যক্রম চালিয়ে গেলে চর বিজয় একদিন প্রাকৃতিক বনভূমি ও অতিথি পাখির অভয়াশ্রমে পরিণত হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে কর্মসূচির সময় একটি আহত গাঙচিল (Seagull) উদ্ধার করা হয়। পরে পাখিটিকে নিবিড় পরিচর্যার জন্য ‘অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালী’-এর সদস্য বায়েজিদ মুন্সীর তত্ত্বাবধানে হস্তান্তর করা হয়।

বন বিভাগ জানিয়েছে, চর বিজয়ের এই বনায়ন উদ্যোগ শুধু উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেই নয়, বরং প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।



নিউজটি শেয়ার করুন








আহত গাঙচিল উদ্ধার করে পরিচর্যার জন্য হস্তান্তর

চর বিজয়ে বন বিভাগের উদ্যোগে ৪০ হাজার ঝাউ গাছ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

আপডেটের সময় : ০৮:১১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর চর বিজয়ে বন বিভাগ, মহিপুর রেঞ্জের উদ্যোগে ‘সুফল প্রকল্প’-এর আওতায় ৪০ হাজার ঝাউ গাছ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক।

কর্মসূচির প্রথম ধাপে চর বিজয়ে ৮ হাজার ঝাউ চারা রোপণ করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম মনিরুজ্জামান, গঙ্গামতি ও ইকোপার্ক বিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকসহ বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এর আগে চর বিজয়ে রোপণ করা ঝাউ, ধানশী, সুন্দরী ও কেওড়া গাছ এবং বিস্তৃত ঘাসের আচ্ছাদন ইতিমধ্যে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি করেছে। ধারাবাহিকভাবে বনায়ন কার্যক্রম চালিয়ে গেলে চর বিজয় একদিন প্রাকৃতিক বনভূমি ও অতিথি পাখির অভয়াশ্রমে পরিণত হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে কর্মসূচির সময় একটি আহত গাঙচিল (Seagull) উদ্ধার করা হয়। পরে পাখিটিকে নিবিড় পরিচর্যার জন্য ‘অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালী’-এর সদস্য বায়েজিদ মুন্সীর তত্ত্বাবধানে হস্তান্তর করা হয়।

বন বিভাগ জানিয়েছে, চর বিজয়ের এই বনায়ন উদ্যোগ শুধু উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেই নয়, বরং প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।