ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুমকিতে স্বামীর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে মাকে ভোট দেওয়ায় স্ত্রীকে মারধর

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১২:১৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
  • / ১০৪৫

আহত গৃহবধূ সুরাইয়া বেগম

পটুয়াখালী সংবাদদাতাঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে স্বামীর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার অপরাধে স্ত্রীকে আটকে রেখে দফায় দফায় মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত ও বন্ধিদশা থেকে উদ্ধার করে তাঁকে (গৃহবধু) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আলগি গ্রামে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আহত ও মামলার অভিযোাগ সূত্রে জানা যায়, পাংগাশিয়া ইউপি নির্বাচণে ১,২ ও ৩ নং ইউনিটের সংরক্ষিরত নারী সদস্য প্রার্থী তাসলিমা আক্তারের কলম প্রতীকে ভোট না দেওয়ার অপরাধে স্ত্রী মোসাঃ সুরাইয়া বেগমকে (২২) সোমবার রাতে বসত ঘরের দরজা বন্ধ করে দফায় দফায় মারধর করে পাষণ্ড স্বামী ইনসান (৩০)। ভোটের দিন সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা দু’দিন ঘরবন্দি রেখে কয়েক দফা মারধর করায় গৃহবধু সুরাইয়া গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে গৃহবধুর মা-বাবা ও প্রতিবেশীরা মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় অবরুদ্ধ দশা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে (সুরাইয়া) দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

এ ব্যাপারে পাষান্ড স্বামী ইনসানের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি মামলা হয়েছে। সুরাইয়ার বাবা ফজলু খা বাদী হয়ে অভিযুক্ত জামাই ইনসানকে প্রধান আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

আহত গৃহবধু সুরাইয়া বেগম জানান, পাংগাশিয়া ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী প্রার্থী তার গর্ভধারিণী মা নাসিমা বেগমের ‘মাইক মার্কায়’ ভোট দেওয়ায় কলম প্রতীকের প্রার্থী তাসলিমা আক্তারের সমর্থক পাষণ্ড স্বামী ইনসান মৃধা (৩০) তাকে সোমবার ভোট কেন্দ্রে চড় থাপ্পর মারে এবং রাতে বাড়িতে এসে কয়েক দফায় মারধর করে ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে বাবার বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমার মা সম্পর্কে তার (স্বামীর) শাশুড়ির সমর্থণ না করে বরং তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কলমে ভোট দিতে বলে। যতই কাছের লোক হউক না কেন, কেউ কি নিজের মা-বাবার বিরুদ্ধে অন্য মানুষকে ভোট দিতে পারে। আমিও দেই নাই বলে লোভী পাষণ্ড স্বামীর বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

অভিযুক্ত স্বামী আলগি গ্রামের চান মিয়া মৃধার ছেলে ইনসান মৃধা মোবাইল ফোনে জানান, রাগের মাথায় কয়েকটা চর দিয়েছিলাম। তবে ঘরবন্দি করে শারীরিকভাবে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে ভিকটিম চিকিৎসাধীন আছে। তদন্তপূর্বক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



নিউজটি শেয়ার করুন








দুমকিতে স্বামীর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে মাকে ভোট দেওয়ায় স্ত্রীকে মারধর

আপডেটের সময় : ১২:১৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

পটুয়াখালী সংবাদদাতাঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে স্বামীর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার অপরাধে স্ত্রীকে আটকে রেখে দফায় দফায় মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত ও বন্ধিদশা থেকে উদ্ধার করে তাঁকে (গৃহবধু) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আলগি গ্রামে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আহত ও মামলার অভিযোাগ সূত্রে জানা যায়, পাংগাশিয়া ইউপি নির্বাচণে ১,২ ও ৩ নং ইউনিটের সংরক্ষিরত নারী সদস্য প্রার্থী তাসলিমা আক্তারের কলম প্রতীকে ভোট না দেওয়ার অপরাধে স্ত্রী মোসাঃ সুরাইয়া বেগমকে (২২) সোমবার রাতে বসত ঘরের দরজা বন্ধ করে দফায় দফায় মারধর করে পাষণ্ড স্বামী ইনসান (৩০)। ভোটের দিন সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা দু’দিন ঘরবন্দি রেখে কয়েক দফা মারধর করায় গৃহবধু সুরাইয়া গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে গৃহবধুর মা-বাবা ও প্রতিবেশীরা মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় অবরুদ্ধ দশা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে (সুরাইয়া) দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

এ ব্যাপারে পাষান্ড স্বামী ইনসানের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি মামলা হয়েছে। সুরাইয়ার বাবা ফজলু খা বাদী হয়ে অভিযুক্ত জামাই ইনসানকে প্রধান আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

আহত গৃহবধু সুরাইয়া বেগম জানান, পাংগাশিয়া ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী প্রার্থী তার গর্ভধারিণী মা নাসিমা বেগমের ‘মাইক মার্কায়’ ভোট দেওয়ায় কলম প্রতীকের প্রার্থী তাসলিমা আক্তারের সমর্থক পাষণ্ড স্বামী ইনসান মৃধা (৩০) তাকে সোমবার ভোট কেন্দ্রে চড় থাপ্পর মারে এবং রাতে বাড়িতে এসে কয়েক দফায় মারধর করে ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে বাবার বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমার মা সম্পর্কে তার (স্বামীর) শাশুড়ির সমর্থণ না করে বরং তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কলমে ভোট দিতে বলে। যতই কাছের লোক হউক না কেন, কেউ কি নিজের মা-বাবার বিরুদ্ধে অন্য মানুষকে ভোট দিতে পারে। আমিও দেই নাই বলে লোভী পাষণ্ড স্বামীর বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

অভিযুক্ত স্বামী আলগি গ্রামের চান মিয়া মৃধার ছেলে ইনসান মৃধা মোবাইল ফোনে জানান, রাগের মাথায় কয়েকটা চর দিয়েছিলাম। তবে ঘরবন্দি করে শারীরিকভাবে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে ভিকটিম চিকিৎসাধীন আছে। তদন্তপূর্বক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।