হোটেল প্রবাসীতে অসামাজিক কর্মকাণ্ড, পুলিশের পরিচয়ে তরুণের হুমকি

- আপডেটের সময় : ০৯:১৪:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
- / ৫৭৭
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় অবস্থিত হোটেল প্রবাসী-তে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বানেশ্বর এলাকার পরিচিত দেহ ব্যবসায়ী মজনুর নেতৃত্বে এই হোটেলে পতিতা এনে রাখা হয়। এছাড়া তরুণ-তরুণীরা ঘণ্টা ভিত্তিতে রুম ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে—এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, পবা উপজেলার নওহাটা এলাকার হাসিবুল নামের এক তরুণ ও এক তরুণীকে হোটেলে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় ধরা হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, তারা হোটেলের রেজিস্ট্রারে কোনো তথ্য এন্ট্রি ছাড়াই প্রবেশ করে।
হোটেলের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “হাসিবুল নামের ওই তরুণ প্রায় প্রতি সপ্তাহে এখানে আসে। তার একাধিক বান্ধবী রয়েছে, যাদের নিয়ে একেক সময় একেকজনকে নিয়ে আসে। ফোনে যোগাযোগ করে রুম বুকিং নেয়।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসিবুলকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “এই বিষয়টা ধামাচাপা দিতে আমি হোটেল কর্তৃপক্ষ আর এলাকাবাসীকে টাকা দিয়েছি। আবার কেন এই বিষয়ে কথা হবে? আমার ভাই পুলিশে চাকরি করে, আমিও পুলিশের সঙ্গে যুক্ত। সামনে পুলিশ লাইনে আমার পরীক্ষা আছে। এই বিষয়ে বেশি ঘাঁটাঘাটি করলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।”
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে হাসিবুল সেনাবাহিনীতে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু নির্বাচিত হননি। বর্তমানে তিনি পুলিশের নিয়োগে আবেদন করেছেন। তবে এর আগেই নিজেকে ‘পুলিশ সদস্য’ দাবি করে চলেছেন। এমনকি নিজের হোয়াটসঅ্যাপে প্রোফাইল ছবিতে বাংলাদেশ পুলিশের লোগো ব্যবহার করছেন।
এভাবেই তিনি পুলিশের পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন এবং তরুণ-তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
প্রতিবেদনের বক্তব্য নেওয়ার পর সাংবাদিককে অজ্ঞাত একটি নম্বর থেকে এক তরুণী ফোন করে হুমকি দেন। ওই তরুণী জানান, “এই বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন করলে তার ভাই, যিনি র্যাব-৫ এ কর্মরত, তাকে দিয়ে তুলে নেওয়া হবে। এছাড়া আপনারা টাকা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ করবো”
এ বিষয়ে রাজশাহী পবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন,“এই নামে আমার থানায় কোনো পুলিশ সদস্য নেই। যদি কেউ ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে কাউকে হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকে, কেউ অভিযোগ দিলে সত্যতা যাচাই করে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে গুরুতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এখন থেকে সাহেববাজার এলাকার সব হোটেল—শুধু প্রবাসী নয়—প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ নজরদারি রাখা হবে।”