ঢাকা ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গরম ডালে পড়ে ঝলসে যায় ওমর, ৭ দিন পর পৃথিবী থেকে বিদায়

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১০:০১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৬৩২

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহন উপজেলায় গরম ডালের মধ্যে পড়ে ঝলসে যাওয়ার ৭দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. ওমর নামে ৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিশুর লাশ দাফন করা হয়। শিশু ওমর উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুন্ডের হাওলা এলাকার মো. মনিরের ছেলে। এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে মারা যায় শিশু ওমর।

ওই শিশুর নানা মো. সিহাব উদ্দিন জানান, গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘরে ভাত আর ডাল রান্না করছিলেন শিশু ওমরের মা। এ সময় বাড়ির অন্য এক শিশুসহ মায়ের পাশেই খেলছিল সে। এক পর্যায়ে অসাবধানতাবশত শিশু ওমরসহ দুইজনই রান্না করা ওই গরম ডালের মধ্যে পড়ে যায়। গরম ডালের মধ্যে পড়ে সবচেয়ে বেশি পুড়ে যায় ওমরের শরীর। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ওমরকে ঢাকায় রেফার্ড করেন।

তিনি আরো জানান, এরপর ওইদিনই তাকে ঢাকায় নিয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানের চিকিৎসকরা জানান, ওমরের শরীরের পেছনের অংশের অন্তত ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে মারা যায় শিশু ওমর। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মরদেহ গ্রামে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।



নিউজটি শেয়ার করুন








গরম ডালে পড়ে ঝলসে যায় ওমর, ৭ দিন পর পৃথিবী থেকে বিদায়

আপডেটের সময় : ১০:০১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহন উপজেলায় গরম ডালের মধ্যে পড়ে ঝলসে যাওয়ার ৭দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. ওমর নামে ৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিশুর লাশ দাফন করা হয়। শিশু ওমর উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুন্ডের হাওলা এলাকার মো. মনিরের ছেলে। এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে মারা যায় শিশু ওমর।

ওই শিশুর নানা মো. সিহাব উদ্দিন জানান, গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘরে ভাত আর ডাল রান্না করছিলেন শিশু ওমরের মা। এ সময় বাড়ির অন্য এক শিশুসহ মায়ের পাশেই খেলছিল সে। এক পর্যায়ে অসাবধানতাবশত শিশু ওমরসহ দুইজনই রান্না করা ওই গরম ডালের মধ্যে পড়ে যায়। গরম ডালের মধ্যে পড়ে সবচেয়ে বেশি পুড়ে যায় ওমরের শরীর। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ওমরকে ঢাকায় রেফার্ড করেন।

তিনি আরো জানান, এরপর ওইদিনই তাকে ঢাকায় নিয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানের চিকিৎসকরা জানান, ওমরের শরীরের পেছনের অংশের অন্তত ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে মারা যায় শিশু ওমর। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মরদেহ গ্রামে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।