ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের পরিকল্পিত হামলায় রক্তাক্ত আলমগীর

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৬:২০:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
  • / ৬৩২

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে শশুর বাড়ীর লোকজনের পরিকল্পিত হামলায় নিজ বাড়ীর রাস্তায় রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তী হয়েছেন আলমগীর নামের এক যুবক।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের মেদুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে আলমগীরের সাথে পার্শবর্তী ভূয়াপুর উপজেলার ভৌরা গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে সেতু আক্তারের সাথে পারিবারিক সম্মতিতে দেড় বছর পূর্বে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকেই অজ্ঞাত কারনে শশুর বাড়ীর লোকজন মেয়েকে নিতে আসেনি। আলমগীর ব্যাবসায়ী কাজে ঢাকাতে অবস্থান করায় আর যাওয়া হয়নি।

সম্প্রতি ঈদ উল আযহায় বাড়ীতে আসে আলমগীর। ঈদের আমেজ শেষে গতকাল ( ৩ জুলাই) সোমবার সকালে সে ঢাকার উদ্দেশ্যে পিংনা বাসষ্টেন্ড গেলে তার শশুর ফজলু মিয়া তাকে ফোন করে বলে তুমি বাড়ীতে আসো আমার মেয়েকে নিতে এসেছি।

সে বাড়ীতে আসার আগেই তার স্ত্রী সেতু আক্তারকে তার অমতেই জোর করে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায় শুশুর বাড়ীর লোকজন। স্ত্রী চিৎকার করায় তাকে মুখ চেপে ধরে রাখে ফুপু মাজেদা ও রাশেদা এতে আলমগীর ও তার মা বাড়ীর রাস্তায় বাধা দিলে সঙ্গে থাকা শশুর ফজলু মিয়া তার ছেলে মজনু, কনক, ফুফু শাশুরী মাজেদা, রাশেদা ও অপরিচিত আইয়ুব, সুজন তাকে ও তার মাকে নিজ বাড়ীর রাস্তার উপর এলোপাথাড়ি মারধর করে। মারধরে আলমগীরের মাথায় মারাত্তক রক্তাক্ত কাটা জখম ও মা নূরজাহানকে মুখে নিলাফুলা জখম করে তাদের মেয়েকে নিয়ে যায়। বর্তমানে গুরুতর আহত আলমগীর ও তার মা নূরজাহান সরিষাবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে আহত আলমগীর জানান তারা আমার মাথা ফাটিয়ে আমার পকেটে থাকা ব্যাবসায়ীক নগদ এক লাখ দশ হাজার টাকাসহ জোর করে আমার স্ত্রীকে নিয়ে গেছে আমি আমার স্ত্রীকে ফেরৎ চাই।

আহত ব্যাক্তির বড় ভাই জানান আমার ভাই ও মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে চিকিৎসা শেষে আমরা এ বিষয়ে আইনিক সহায়তার জন্য প্রশাসনের নিকট আবেদন করবো।



নিউজটি শেয়ার করুন








শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের পরিকল্পিত হামলায় রক্তাক্ত আলমগীর

আপডেটের সময় : ০৬:২০:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে শশুর বাড়ীর লোকজনের পরিকল্পিত হামলায় নিজ বাড়ীর রাস্তায় রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তী হয়েছেন আলমগীর নামের এক যুবক।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের মেদুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে আলমগীরের সাথে পার্শবর্তী ভূয়াপুর উপজেলার ভৌরা গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে সেতু আক্তারের সাথে পারিবারিক সম্মতিতে দেড় বছর পূর্বে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকেই অজ্ঞাত কারনে শশুর বাড়ীর লোকজন মেয়েকে নিতে আসেনি। আলমগীর ব্যাবসায়ী কাজে ঢাকাতে অবস্থান করায় আর যাওয়া হয়নি।

সম্প্রতি ঈদ উল আযহায় বাড়ীতে আসে আলমগীর। ঈদের আমেজ শেষে গতকাল ( ৩ জুলাই) সোমবার সকালে সে ঢাকার উদ্দেশ্যে পিংনা বাসষ্টেন্ড গেলে তার শশুর ফজলু মিয়া তাকে ফোন করে বলে তুমি বাড়ীতে আসো আমার মেয়েকে নিতে এসেছি।

সে বাড়ীতে আসার আগেই তার স্ত্রী সেতু আক্তারকে তার অমতেই জোর করে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায় শুশুর বাড়ীর লোকজন। স্ত্রী চিৎকার করায় তাকে মুখ চেপে ধরে রাখে ফুপু মাজেদা ও রাশেদা এতে আলমগীর ও তার মা বাড়ীর রাস্তায় বাধা দিলে সঙ্গে থাকা শশুর ফজলু মিয়া তার ছেলে মজনু, কনক, ফুফু শাশুরী মাজেদা, রাশেদা ও অপরিচিত আইয়ুব, সুজন তাকে ও তার মাকে নিজ বাড়ীর রাস্তার উপর এলোপাথাড়ি মারধর করে। মারধরে আলমগীরের মাথায় মারাত্তক রক্তাক্ত কাটা জখম ও মা নূরজাহানকে মুখে নিলাফুলা জখম করে তাদের মেয়েকে নিয়ে যায়। বর্তমানে গুরুতর আহত আলমগীর ও তার মা নূরজাহান সরিষাবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে আহত আলমগীর জানান তারা আমার মাথা ফাটিয়ে আমার পকেটে থাকা ব্যাবসায়ীক নগদ এক লাখ দশ হাজার টাকাসহ জোর করে আমার স্ত্রীকে নিয়ে গেছে আমি আমার স্ত্রীকে ফেরৎ চাই।

আহত ব্যাক্তির বড় ভাই জানান আমার ভাই ও মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে চিকিৎসা শেষে আমরা এ বিষয়ে আইনিক সহায়তার জন্য প্রশাসনের নিকট আবেদন করবো।