ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের নামাজে ইমামের খুৎবা পড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা; যুবক খুন

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১০:২৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই ২০২১
  • / ৭০৯

মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে ঈদের দিন মাংস কাটার ছুরি দিয়ে সুমন মিয়া (২২) নামক এক যুবককে খুন করা হয়েছে। বুধবার বিকালে এ ঘটনার পর মূলহোতা আনফর আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত সুমনের পিতা মতিন মিয়া বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক জানান, ঈদের দিন ইউনিয়নের মনছড়া বস্তি মসজিদে ঈদের নামাজে ইমামের খুৎবা পড়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে বিকাল ৩টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে ফের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আনফর আলী মাংস কাটার ছুরি দিয়ে সুমনের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে সুমন গুরুতর আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুমনকে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক জানান, সুমনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ঘাতক আনফর আলী তার (চেয়ারম্যানের) বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পুলিশ সুমনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলে তিনি আনফর আলীকে আটকে রাখেন এবং পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় জানান, সুমনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা আনফর আলী হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশের নিকট স্বীকার করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।



নিউজটি শেয়ার করুন








ঈদের নামাজে ইমামের খুৎবা পড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা; যুবক খুন

আপডেটের সময় : ১০:২৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই ২০২১

মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে ঈদের দিন মাংস কাটার ছুরি দিয়ে সুমন মিয়া (২২) নামক এক যুবককে খুন করা হয়েছে। বুধবার বিকালে এ ঘটনার পর মূলহোতা আনফর আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত সুমনের পিতা মতিন মিয়া বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক জানান, ঈদের দিন ইউনিয়নের মনছড়া বস্তি মসজিদে ঈদের নামাজে ইমামের খুৎবা পড়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে বিকাল ৩টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে ফের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আনফর আলী মাংস কাটার ছুরি দিয়ে সুমনের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে সুমন গুরুতর আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুমনকে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক জানান, সুমনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ঘাতক আনফর আলী তার (চেয়ারম্যানের) বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পুলিশ সুমনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলে তিনি আনফর আলীকে আটকে রাখেন এবং পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় জানান, সুমনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা আনফর আলী হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশের নিকট স্বীকার করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।