ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রে মাছ শিকার, অবাধে চলছে বেচাকেনা

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১২:৪২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১
  • / ৭৯২

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ শিকার। ছবি : সংগৃহীত

মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ প্রজনন মৌসুমে সামুদ্রিক মাছ রক্ষায় গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে ২১শে মে থেকে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে।

সরকারের মৎস্য বিভাগ সংশ্লিষ্ট এলাকায় গণসচেতনতায় মাইকিংসহ নানামুখি প্রচার চালায়। তবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ছোট-বড় ট্রলার নিয়ে অবাধে চলছে মাছ শিকার। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা এলাকায় বঙ্গোপসাগরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

মাছ শিকারে জেলেদের নিরাপত্তা দেয়ার নামে একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ আছে। তারা ট্রলারের আকারভেদে ২ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে।

সোমবার সকালে কুয়াকাটা, গঙ্গামতি, কাউয়ার চর, লেম্বুর চর এসব এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সাগর থেকে মাছ শিকার শেষে ফিরছে অনেকে। আবার কেউ যাচ্ছে মাছ শিকারে। অন্তত অর্ধশত ইঞ্জিনচালিত ছোট ছোট নৌকা, স্থানীয়ভাবে ‘খুটা’ জেলে বলে পরিচিত, সৈকতের অদূরে মাছ শিকার করছে।

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাগরে মাছ ধরার সুযোগ করে দিতে একটি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা। প্রতি খুটা জেলে নৌকা থেকে ২ হাজার এবং মাঝারি ট্রলার থেকে ৫ হাজার ও বড় ট্রলার থেকে ১০ হাজার টাকা করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলেরা জানিয়েছেন, আড়তেই এই টাকা কেটে রাখা হয়।

মহিপুর সহ উপকুলীয় আড়ৎ গুলোতে প্রতিদিনই মাছের দেখা মিলছে এবং অবাধে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে মাছ কেনা বেচা। আবার কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে বড় পিকআপে করে কেউ কেউ মাছ ফ্রিজিং করার জন্য পটুয়াখালী-বরিশাল থেকে বরফ আনছে স্থানীয় বরফকল গুলো বন্ধ থাকার করণে।

জানা গেছে, মৎস্য বন্দর মহিপুরের এই চক্রের অন্যতম মৎস্য ব্যবসায়ী জলিল জেলেদের কাছ থেকে ট্রলার প্রতি টাকা নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে টাকা দিয়ে তাদের নির্বিঘ্নে মাছ ধরার ব্যবস্থা করে দেয়। মহিপুরের মাছ ক্রয় সিন্ডিকেট এর অন্যতম শাহ আলম, বিপ্লব চন্দ্র সহ আরো ৪-৫ জন।

জানা গেছে, দীর্ঘ বছর ধরে এই সক্রিয় সিন্ডিকেটটি প্রশাসন ম্যানেজ করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় সমূদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ এবং জাটকা নিধন বন্ধ থাকার পরেও এরা নির্বিঘ্নেই মাছ ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম চালায়। এদের বিরুদ্ধে মৎস্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও কিছুদিন আগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে এর পরেও তারা সক্রিয় রয়েছে এই ব্যবসায়।

এ ব্যাপারে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমরা এই ব্যাপারে তৎপর রয়েছি এবং অবরোধকালীন সময়ে কেউ প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে সমুদ্রে মাছ শিকার করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবেনা।

কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা এ এস আই কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু শাহা বলেন, আমরা সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছি এবং ইতিমধ্যে আমরা অনেককে জরিমানার আওতায় এনেছি। কেউ যাতে আইন অমান্য না করতে পারে সে ব্যাপারে আমরা তদারকি করছি।



নিউজটি শেয়ার করুন








নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রে মাছ শিকার, অবাধে চলছে বেচাকেনা

আপডেটের সময় : ১২:৪২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১

মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ প্রজনন মৌসুমে সামুদ্রিক মাছ রক্ষায় গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে ২১শে মে থেকে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে।

সরকারের মৎস্য বিভাগ সংশ্লিষ্ট এলাকায় গণসচেতনতায় মাইকিংসহ নানামুখি প্রচার চালায়। তবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ছোট-বড় ট্রলার নিয়ে অবাধে চলছে মাছ শিকার। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা এলাকায় বঙ্গোপসাগরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

মাছ শিকারে জেলেদের নিরাপত্তা দেয়ার নামে একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ আছে। তারা ট্রলারের আকারভেদে ২ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে।

সোমবার সকালে কুয়াকাটা, গঙ্গামতি, কাউয়ার চর, লেম্বুর চর এসব এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সাগর থেকে মাছ শিকার শেষে ফিরছে অনেকে। আবার কেউ যাচ্ছে মাছ শিকারে। অন্তত অর্ধশত ইঞ্জিনচালিত ছোট ছোট নৌকা, স্থানীয়ভাবে ‘খুটা’ জেলে বলে পরিচিত, সৈকতের অদূরে মাছ শিকার করছে।

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাগরে মাছ ধরার সুযোগ করে দিতে একটি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা। প্রতি খুটা জেলে নৌকা থেকে ২ হাজার এবং মাঝারি ট্রলার থেকে ৫ হাজার ও বড় ট্রলার থেকে ১০ হাজার টাকা করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলেরা জানিয়েছেন, আড়তেই এই টাকা কেটে রাখা হয়।

মহিপুর সহ উপকুলীয় আড়ৎ গুলোতে প্রতিদিনই মাছের দেখা মিলছে এবং অবাধে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে মাছ কেনা বেচা। আবার কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে বড় পিকআপে করে কেউ কেউ মাছ ফ্রিজিং করার জন্য পটুয়াখালী-বরিশাল থেকে বরফ আনছে স্থানীয় বরফকল গুলো বন্ধ থাকার করণে।

জানা গেছে, মৎস্য বন্দর মহিপুরের এই চক্রের অন্যতম মৎস্য ব্যবসায়ী জলিল জেলেদের কাছ থেকে ট্রলার প্রতি টাকা নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে টাকা দিয়ে তাদের নির্বিঘ্নে মাছ ধরার ব্যবস্থা করে দেয়। মহিপুরের মাছ ক্রয় সিন্ডিকেট এর অন্যতম শাহ আলম, বিপ্লব চন্দ্র সহ আরো ৪-৫ জন।

জানা গেছে, দীর্ঘ বছর ধরে এই সক্রিয় সিন্ডিকেটটি প্রশাসন ম্যানেজ করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় সমূদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ এবং জাটকা নিধন বন্ধ থাকার পরেও এরা নির্বিঘ্নেই মাছ ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম চালায়। এদের বিরুদ্ধে মৎস্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও কিছুদিন আগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে এর পরেও তারা সক্রিয় রয়েছে এই ব্যবসায়।

এ ব্যাপারে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমরা এই ব্যাপারে তৎপর রয়েছি এবং অবরোধকালীন সময়ে কেউ প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে সমুদ্রে মাছ শিকার করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবেনা।

কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা এ এস আই কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু শাহা বলেন, আমরা সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছি এবং ইতিমধ্যে আমরা অনেককে জরিমানার আওতায় এনেছি। কেউ যাতে আইন অমান্য না করতে পারে সে ব্যাপারে আমরা তদারকি করছি।