কুয়াকাটায় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে শৈবাল চাষ বিষয়ক কর্মশালা

- আপডেটের সময় : ০৭:৫৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
- / ৬০১
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতাঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সামুদ্রিক শৈবাল চাষের সম্ভাবনা নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে কুয়াকাটা কোডেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালার আয়োজন করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগ। কর্মশালায় সহযোগিতা করে অ্যাসোসিয়েশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (এআইআরডি)।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পবিপ্রবির ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ও সংশ্লিষ্ট উপ-প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. মো. রাজীব সরকার।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আরিফুল আলম, সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মৎস্য) বরিশাল বিভাগ মো. জহিরুল ইসলাম আকন্দ, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের সহকারী প্রকল্প পরিচালক পলাশ হালদার এবং এআইআরডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ সিদ্দিক।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক শৈবাল (ম্যাক্রো অ্যালগি) চাষ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। শৈবাল চাষ শুধু কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে পরিবেশবান্ধব ভারসাম্য রক্ষা করে না, বরং উপকূলীয় জনগণের বিকল্প জীবিকা গড়ে তোলার নতুন সুযোগও সৃষ্টি করে।
বক্তারা আরও জানান, এই পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে টেকসই শৈবাল চাষের সম্ভাবনা যাচাই করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বৃহত্তর পরিসরে শৈবাল চাষ সম্প্রসারণে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী, স্থানীয় মৎস্যজীবী ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।