পটুয়াখালীতে রূপালী ব্যাংকের অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

- আপডেটের সময় : ০৩:১৭:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৫৩৬
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক নাজির মো. আশরাফ আলী রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন। ব্যাংকের কারণে তার অনুমোদিত একটি প্রকল্প স্থবির হয়ে পড়েছে এবং বিনা নোটিশে উচ্ছেদের নামে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আশরাফ আলী এ অভিযোগ তুলে ধরেন।
তিনি জানান, রূপালী ব্যাংকের নিউটাউন শাখার তৎকালীন ম্যানেজার ও এজিএম-এর অনুরোধে নিজের পরিবারের ক্রয়কৃত জমিতে হোটেল নির্মাণের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। প্রধান কার্যালয় থেকে প্রকল্পের জন্য মোট ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা অনুমোদিত হলেও স্থানীয় কর্মকর্তাদের অনিয়ম, অর্থ ছাড়ে গড়িমসি এবং স্বার্থসিদ্ধির কারণে প্রকল্পটি জটিলতায় পড়ে।
তার অভিযোগ, প্রকল্পের অর্থ থেকে ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটলেও চাপের মুখে পরে তা ফেরত দেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রধান কার্যালয়ের পরামর্শে হোটেল প্রকল্পের পরিবর্তে হাসপাতাল প্রকল্পের আবেদন করা হলে স্থানীয় চিকিৎসক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ সমর্থন দিলেও ব্যাংকের স্থানীয় কর্মকর্তাদের অসহযোগিতায় সেই উদ্যোগও ব্যর্থ হয়।
আশরাফ আলী বলেন, প্রধান কার্যালয় থেকে বরাদ্দ অর্থ ছাড় না দিয়ে স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা একের পর এক নোটিশ জারি করে প্রকল্প বাতিল ও ভবন নিলামের চেষ্টা চালান। তিনি হাইকোর্টে রীট দায়ের করলে আদালত নিলাম স্থগিতের আদেশ দেন।
তবে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিনা নোটিশে ব্যাংক কর্মকর্তা, আইনজীবী ও পুলিশ তার বাড়িতে এসে উচ্ছেদের নামে ঢাকঢোল পিটিয়ে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এতে ভবনের মধ্যে অবস্থিত একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ ১৫টি ভাড়াটিয়া পরিবারের প্রায় ৬০–৭০ জন নারী-পুরুষ-শিশু আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
আশরাফ আলীর দাবি, ঘটনার সময় তিনি ব্যাংক ও আদালত কর্তৃপক্ষের কাছে নোটিশ দেখতে চাইলে তারা কোনো নথি দেখাতে পারেনি।
এ ঘটনাকে তিনি “অমানবিক ও নিন্দনীয়” আখ্যা দিয়ে সরকারের কাছে, প্রশাসনের কাছে এবং আইনের কাছে যথাযথ বিচার ও সুরক্ষা কামনা করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আশরাফ আলী জানান, সব প্রমাণপত্র তার কাছে সংরক্ষিত আছে এবং প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে তিনি আইনগত পদক্ষেপ নেবেন।