আমতলী প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলীতে বাসচাপায় মঙ্গলবার রাতে ইসলামী আন্দোলনের নেতা ও প্রভাষক রেজাউল করিম নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলার পর বাসসহ চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থেকে গ্রেপ্তার করে বুধবার দুপুরে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আমতলী থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এবং আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে আমতলী-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে।

নিহত রেজাউল করিম গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোছখালী গ্রামের হাফেজ মাওলানা মো. নুরুল হকের ছেলে। তিনি আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার আইসিটি বিষয়ের প্রভাষক ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ‘গণঅভ্যুত্থান’ কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে আমতলী শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ঘটখালী ব্রিজের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা “ছন্দা” (পটুয়াখালী-ব-১১-০০৪৫) নামের একটি বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।

খবর পেয়ে ইসলামী আন্দোলনের শত শত নেতাকর্মী বাসচালক ও হেলপারকে আটকের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেওয়ায় বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনার পর রাতেই নিহত রেজাউলের ভাই মাওলানা মো. ফয়জুল করিম বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন।

এরপরই আমতলী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক বাসটি ও চালক মো. নুর জামাল (৪০), সুপারভাইজার মো. আকতারুজ্জামান মোল্লা (২৫) ও হেলপার মো. আমির হোসেন (৩০)-কে কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

বুধবার সকাল ১০টা থেকে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এবং হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ফের আমতলী-ঢাকা মহাসড়কের আমতলী একে স্কুল চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। তারা টায়ার জ্বালিয়ে ও সড়ক দখল করে বিক্ষোভ করে। প্রায় ৬ ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, ‘মঙ্গলবার রাতেই মামলা হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারসহ বাসটি আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’