ঢাকা ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বামীর মৃতদেহ সৎকারে স্ত্রীর আহাজারি, এগিয়ে এলেন যুবনেতা মামুন

এস এম আলমগীর হোসেন
  • আপডেটের সময় : ০৪:৩১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৭২৮

কলাপাড়া সংবাদদাতাঃ রংপুরের কুড়িগ্রামের দিলীপ (৬০) শ্রমিকের কাজ করতেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায়। তিনি নীলগঞ্জ ব্রিজের পাশে একটি ভাড়াটিয়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। দিনমজুর দিলীপ দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে কলাপাড়া হাসপাতালে মারা যান। দিলীপ ও তার স্ত্রী রেনু রানীর কলাপাড়ায় কোনো আত্মীয়-স্বজন না থাকায় কলাপাড়া হাসপাতালের বারিন্দায় মৃত স্বামীর লাশের পাশে কান্না করছিলেন স্ত্রী রেনু রানী। মৃত স্বামীর লাশের পাশে স্ত্রীর কান্নার দৃশ্য দেখে আশেপাশে লোকজন জানতে চাইলে রেনু রানী বলেন, আমাদের এখানে কেউ নেই। তার মৃত স্বামীকে বাড়ি নিয়ে সৎকার করতে যাওয়ার জন্য একটা টাকাও নাই। স্ত্রীর এমন আহাজারি দেখে উপজেলা ছাত্রদলের ১নং সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম মুন্সী, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফারুক ও সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মামুন শিকদার ও কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এম আলমগীর হোসেনকে অবহিত করেন। যুবনেতা মামুন শিকদার ও এস এম আলমগীর হোসেন কিছু লোকের মাধ্যমে সাহায্য উঠিয়ে রাতেই কনকনে শীতের মধ্যে উপস্থিত থেকে লাশ বাড়িতে পাঠানোর জন্য অ্যাম্বুলেন্সসহ মৃত স্বামীর লাশ সৎকারের জন্য সকল ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত স্থানীয়রা বলতে থাকেন একই বলে মানবতা।

কান্না কন্ঠে রেনু রানী বলেন, ‘এ উপজেলায় আমাদের আপন বলতে কেউ নেই, তাই হতাশ হয়েছিলাম যে স্বামীর লাশটি হয়তো বাড়ি নিয়ে সৎকার করতে পারবো না। স্বামীর বাড়ির লোকজনকে অবহিত করলেও টাকা-পয়সা খরচ করে লাশ নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়নি তারা। একপর্যায়ে এদের সহযোগিতায় আমার স্বামীর লাশ বাড়ি নেওয়ার সকল ব্যবস্থা করে দিয়েছে, এখন বাড়ি গিয়ে মৃত স্বামীর লাশ সৎকার করতে পারবো। আমাকে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের জন্য আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি।’

এ ব্যাপারে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মামুন শিকদার ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘বিকেলে রেনু রানীর স্বামী কলাপাড়া হাসপাতালে মারা যান। মৃত স্বামীর লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটা টাকাও ছিল না। মৃত স্বামীর লাশের পাশে কান্না করতে থাকেন তিনি। আমার কিছু ছোট ভাইয়েরা আমাকে অবহিত করলে আমি ওই ছোট ভাইদের এবং সাংবাদিক এস এম আলমগীর হোসেনকে সাথে নিয়ে তাদের সনাতন ধর্মের কিছু লোকসহ আমার কাছের কিছু মানুষের মাধ্যমে সাহায্য উঠিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ও তার মৃত স্বামীর লাশ গ্রামে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। তারপরও কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাতে বলেছি।’



নিউজটি শেয়ার করুন








স্বামীর মৃতদেহ সৎকারে স্ত্রীর আহাজারি, এগিয়ে এলেন যুবনেতা মামুন

আপডেটের সময় : ০৪:৩১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

কলাপাড়া সংবাদদাতাঃ রংপুরের কুড়িগ্রামের দিলীপ (৬০) শ্রমিকের কাজ করতেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায়। তিনি নীলগঞ্জ ব্রিজের পাশে একটি ভাড়াটিয়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। দিনমজুর দিলীপ দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে কলাপাড়া হাসপাতালে মারা যান। দিলীপ ও তার স্ত্রী রেনু রানীর কলাপাড়ায় কোনো আত্মীয়-স্বজন না থাকায় কলাপাড়া হাসপাতালের বারিন্দায় মৃত স্বামীর লাশের পাশে কান্না করছিলেন স্ত্রী রেনু রানী। মৃত স্বামীর লাশের পাশে স্ত্রীর কান্নার দৃশ্য দেখে আশেপাশে লোকজন জানতে চাইলে রেনু রানী বলেন, আমাদের এখানে কেউ নেই। তার মৃত স্বামীকে বাড়ি নিয়ে সৎকার করতে যাওয়ার জন্য একটা টাকাও নাই। স্ত্রীর এমন আহাজারি দেখে উপজেলা ছাত্রদলের ১নং সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম মুন্সী, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফারুক ও সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মামুন শিকদার ও কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এম আলমগীর হোসেনকে অবহিত করেন। যুবনেতা মামুন শিকদার ও এস এম আলমগীর হোসেন কিছু লোকের মাধ্যমে সাহায্য উঠিয়ে রাতেই কনকনে শীতের মধ্যে উপস্থিত থেকে লাশ বাড়িতে পাঠানোর জন্য অ্যাম্বুলেন্সসহ মৃত স্বামীর লাশ সৎকারের জন্য সকল ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত স্থানীয়রা বলতে থাকেন একই বলে মানবতা।

কান্না কন্ঠে রেনু রানী বলেন, ‘এ উপজেলায় আমাদের আপন বলতে কেউ নেই, তাই হতাশ হয়েছিলাম যে স্বামীর লাশটি হয়তো বাড়ি নিয়ে সৎকার করতে পারবো না। স্বামীর বাড়ির লোকজনকে অবহিত করলেও টাকা-পয়সা খরচ করে লাশ নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়নি তারা। একপর্যায়ে এদের সহযোগিতায় আমার স্বামীর লাশ বাড়ি নেওয়ার সকল ব্যবস্থা করে দিয়েছে, এখন বাড়ি গিয়ে মৃত স্বামীর লাশ সৎকার করতে পারবো। আমাকে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের জন্য আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি।’

এ ব্যাপারে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মামুন শিকদার ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘বিকেলে রেনু রানীর স্বামী কলাপাড়া হাসপাতালে মারা যান। মৃত স্বামীর লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটা টাকাও ছিল না। মৃত স্বামীর লাশের পাশে কান্না করতে থাকেন তিনি। আমার কিছু ছোট ভাইয়েরা আমাকে অবহিত করলে আমি ওই ছোট ভাইদের এবং সাংবাদিক এস এম আলমগীর হোসেনকে সাথে নিয়ে তাদের সনাতন ধর্মের কিছু লোকসহ আমার কাছের কিছু মানুষের মাধ্যমে সাহায্য উঠিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ও তার মৃত স্বামীর লাশ গ্রামে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। তারপরও কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাতে বলেছি।’