ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাত্র ৮ মাসে কোরআন মুখস্থ করলো লক্ষ্মীপুরের ওমর

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৭:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৬০৮

লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতাঃ সাধারণত হেফজ বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগে। তবে ৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ ওমর ফারুকের বেলায় হলো ব্যতিক্রম। মাত্র ৮ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করেছে সে। যা রীতিমতো অবাক করেছে তার শিক্ষক ও অভিভাবকদের।

তার শিক্ষকরা জানান, মোহাম্মদ ওমর ফারুক প্রথমে দুই থেকে তিন পৃষ্ঠা সবক দেওয়া শুরু করে। এরপর কখনো পাঁচ পৃষ্ঠা আবার কখনো ১০ পৃষ্ঠা করে সবক দিত।

তারা আরও জানান, সবাই যখন বিকেলে খেলাধুলা করত, তখন রুমে বসেই পড়ত মোহাম্মদ ওমর ফারুক। যেদিন হাফেজ হয়, সেদিনও যথারীতি তাকে পড়তে দেখেন তারা।

বিস্ময়কর ও প্রখর মেধাবী এই মোহাম্মদ ওমর ফারুক রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার দারুল কোরআন  ইসলামিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। সে রামগতি উপজেলার জিয়া উদ্দিন (রানার) ছেলে।

বিজ্ঞাপন

হাফেজ মুহাম্মদ ওমর জানায়, ৮ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করতে পেরে নিজেও খুশি এবং বড় হয়ে অনেক বড় আলেম হতে চায় সে।

মুহাম্মদ ওরর ফারুকের বাবা জিয়া উদ্দিন বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। ওর মায়ের (মুহাম্মদ ওমরের) অনেক আসা ছিল হাফেজ হওয়ার। সেই ইচ্ছা সে পূরণ করেছে। তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ছেলের শিক্ষকদের প্রতি।

মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা শাহাদাত হোসাইন জামিল বলেন, আল্লাহপাক কবুল করেছেন বলেই মাত্র ৮ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে পেরেছে মুহাম্মদ ওমর ফারুক। এত অল্প সময় কোরআন মুখস্থ করা সাধারণ কোনো বিষয় নয়। এটি মাদরাসার জন্যও গর্বের।

জানা গেছে, মোহাম্মদ ওমর ফারুক ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর কোরআন মুখস্থ করা শুরু করে। পরে ৮ মাসেই তা শেষ করে বিস্ময়কর এই প্রতিভাধারী।



নিউজটি শেয়ার করুন








মাত্র ৮ মাসে কোরআন মুখস্থ করলো লক্ষ্মীপুরের ওমর

আপডেটের সময় : ০৭:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতাঃ সাধারণত হেফজ বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগে। তবে ৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ ওমর ফারুকের বেলায় হলো ব্যতিক্রম। মাত্র ৮ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করেছে সে। যা রীতিমতো অবাক করেছে তার শিক্ষক ও অভিভাবকদের।

তার শিক্ষকরা জানান, মোহাম্মদ ওমর ফারুক প্রথমে দুই থেকে তিন পৃষ্ঠা সবক দেওয়া শুরু করে। এরপর কখনো পাঁচ পৃষ্ঠা আবার কখনো ১০ পৃষ্ঠা করে সবক দিত।

তারা আরও জানান, সবাই যখন বিকেলে খেলাধুলা করত, তখন রুমে বসেই পড়ত মোহাম্মদ ওমর ফারুক। যেদিন হাফেজ হয়, সেদিনও যথারীতি তাকে পড়তে দেখেন তারা।

বিস্ময়কর ও প্রখর মেধাবী এই মোহাম্মদ ওমর ফারুক রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার দারুল কোরআন  ইসলামিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। সে রামগতি উপজেলার জিয়া উদ্দিন (রানার) ছেলে।

বিজ্ঞাপন

হাফেজ মুহাম্মদ ওমর জানায়, ৮ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করতে পেরে নিজেও খুশি এবং বড় হয়ে অনেক বড় আলেম হতে চায় সে।

মুহাম্মদ ওরর ফারুকের বাবা জিয়া উদ্দিন বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। ওর মায়ের (মুহাম্মদ ওমরের) অনেক আসা ছিল হাফেজ হওয়ার। সেই ইচ্ছা সে পূরণ করেছে। তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ছেলের শিক্ষকদের প্রতি।

মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা শাহাদাত হোসাইন জামিল বলেন, আল্লাহপাক কবুল করেছেন বলেই মাত্র ৮ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে পেরেছে মুহাম্মদ ওমর ফারুক। এত অল্প সময় কোরআন মুখস্থ করা সাধারণ কোনো বিষয় নয়। এটি মাদরাসার জন্যও গর্বের।

জানা গেছে, মোহাম্মদ ওমর ফারুক ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর কোরআন মুখস্থ করা শুরু করে। পরে ৮ মাসেই তা শেষ করে বিস্ময়কর এই প্রতিভাধারী।