কলাপাড়ায় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

- আপডেটের সময় : ০৫:৩৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৭৯২
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ নভোমণ্ডলে খন্ড খন্ড সাদা মেঘের ভেলা দেখলেই বুঝা যায় শরতের উঁকি দেয়া। আর শরতের আগমনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শারদীয় দুর্গা উৎসবে দেবী আগমন উপলক্ষে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পূজামণ্ডপে এখন চলছে প্রতিমা শিল্পীদের শেষ তুলির আঁচড়। প্রতিমা শিল্পীরা দিনরাত কঠোর পরিশ্রমের মধ্যদিয়ে খড়কুটো আর জল-মাটির সমন্বয়ে গড়ে তুলছেন দুর্গার প্রতিমা। দেবী দুর্গা ও তার বাহন কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মি ও সরস্বতীদের এখন শুধু শিল্পীর শেষ তুলির নিপুণ ছোঁয়া পাবার পালা। মন্দির ও পূজামণ্ডপে চলছে সাজসজ্জার কাজ। সাজসজ্জায় বৈচিত্র্য আনতে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা। এখানকার মন্দিরগুলো অনেক টাকা খরচ করে জাঁকজমকপূর্ণভাবে তৈরি করছে প্রতিমা।
প্রতিমা শিল্পী রিপন পাল বলেন, ‘বছর তিনেক আগে আমরা প্রতিবছর নতুন প্রতিমা বানানোর কাজ করতাম। তখন খরচ অনেক কম ছিলো, বিধায় সকল পূজামণ্ডপ জাঁকজমক থাকতো। এখন অনেক খরচ হওয়ায় নতুন করে কেউ সহজে প্রতিমা তৈরি করেনা।’
প্রতিমা শিল্পী চয়ন পাল বলেন, ‘আমরা কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের প্রতিমাগুলো নতুন করে রং ও তুলির আঁচড় দিয়ে সাজিয়ে তুলছি। শেষ মুহূর্তে দেবীকে পরানো হবে পোশাক-পরিচ্ছদসহ অন্যান্য আল্পনা। আগে পুরো প্রতিমা তৈরি করা থেকে সাজানো পর্যন্ত খরচ হতো ৭০/৮০ হাজার টাকা। এখন মালামালের দাম বৃদ্ধি এবং শিল্পীদের পারিশ্রমিক বাড়ার কারণে খরচ এখন প্রায় দ্বিগুণ।’
পঞ্জিকামতে আগামী ৯ অক্টোবর শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। এ দিন হবে ষষ্ঠিপূজা। আর দশমীতে চোখের জলে দেবী বির্সজনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এদিকে মিশ্রিপাড়া, মম্বিপাড়াসহ অন্যান্য মণ্ডপের কাজ শেষ পর্যায়।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রৗ শ্রৗ গৌর গোবিন্দ সেবাশ্রম পূজা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবু কমলেশ হাওলাদার সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন যাতে পূজায় সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়। পাশাপাশি নিরাপত্তার জোর দাবি জানান তিনি।
কুয়াকাটা সৈকত লাগোয়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. নীহার রঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। ইতোমধ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা বাকি। আশা করি এবারের পূজা আনন্দ ও নিরাপদে উৎযাপন করতে পারবো।’
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয় জানতে চাইলে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ‘পূজা সুন্দর ও সার্থক করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন তা সবই করা হবে। সব পূজামণ্ডপে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।’