ঢাকা ১২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের ঐতিহ্যবাহী তালুকদার বাড়ি মেঘনা নদীর পেটে

পারভেজ হোসাইন
  • আপডেটের সময় : ০২:৫১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯
  • / ৫৬১

জেলা বিশেষ প্রতিনিধি (লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ঐতিহ্যবাহী আবুল হোসেন তালুকদার বাড়ি মেঘনা নদী গিলে খাচ্ছে। ভয়াবহ ভাঙনে বাড়ির বেশির ভাগ অংশ এখন নদীর গর্ভে। ওই বাড়ির আশেপাশেও ব্যাপকভাবে ভাঙছে।ভাঙনের আতঙ্ক পুরো এলাকা জুড়ে।ভাঙন ঠেকাতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হলেও; তা যথেষ্ট নয়।

গত সোমবার উপজেলার ফলকন গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,তালুকদার বাড়ির উঠান নদী হয়ে গেছে।প্রায় দশ একর বাড়ির বেশিরভাগ অংশ এখন মেঘনা নদীর পেটে।গত দুই সপ্তাহের ভাঙনে তলীয়ে গেছে বাড়ির নারিকেল সুপারির বাগান।একেবারে তলীয়ে গেছে পুরো দুইটি বসতঘর।এখন অবশেষে চারটি পাকা বসতঘর ভেঙে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে।তালুকদার বাড়ির বাসিন্দারা বাপ-দাদার বসতভিটে হারিয়ে এখন শোকে আত্মহারা।বাড়ির শেষ চিহ্ন দেখতে আত্মীয় সজনরা আসছেন।তবে কারো শান্তনা দেওয়ার যেন কোন ভাষা নেই।

সম্প্রতি ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে একই গ্রামের ১৩০ বছরের ঐতিহ্যবাহী চেয়ারম্যান বাড়ি। নদীতে ওই বাড়ির আট পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছেন। পাশেই তালুকদার বাড়ি; এখন ওই বাড়ি বিলীন হওয়ার পথে। চেয়ারম্যান বাড়ির উত্তর পাশেই মীর বাড়ি ভাঙতে শুরু করেছে। ভাঙনে মুখে সাদেক মাস্টার বাড়িও।

লক্ষ্মীপুর পানী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মাদ মুসা বলেন,ভাঙন প্রতিরোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর)আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল মান্নান বলেন.বর্ষা আসলেই নদী ভাঙন ঠেকাতে লুধূয়া এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়।বর্ষা শেষে নভেম্বর মাসে রামগতি ও কমলনগরের ৩২ কিলোমিটার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মান কাজ করা হবে।কাজ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনি কাজ করবে।



নিউজটি শেয়ার করুন








লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের ঐতিহ্যবাহী তালুকদার বাড়ি মেঘনা নদীর পেটে

আপডেটের সময় : ০২:৫১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯

জেলা বিশেষ প্রতিনিধি (লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ঐতিহ্যবাহী আবুল হোসেন তালুকদার বাড়ি মেঘনা নদী গিলে খাচ্ছে। ভয়াবহ ভাঙনে বাড়ির বেশির ভাগ অংশ এখন নদীর গর্ভে। ওই বাড়ির আশেপাশেও ব্যাপকভাবে ভাঙছে।ভাঙনের আতঙ্ক পুরো এলাকা জুড়ে।ভাঙন ঠেকাতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হলেও; তা যথেষ্ট নয়।

গত সোমবার উপজেলার ফলকন গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,তালুকদার বাড়ির উঠান নদী হয়ে গেছে।প্রায় দশ একর বাড়ির বেশিরভাগ অংশ এখন মেঘনা নদীর পেটে।গত দুই সপ্তাহের ভাঙনে তলীয়ে গেছে বাড়ির নারিকেল সুপারির বাগান।একেবারে তলীয়ে গেছে পুরো দুইটি বসতঘর।এখন অবশেষে চারটি পাকা বসতঘর ভেঙে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে।তালুকদার বাড়ির বাসিন্দারা বাপ-দাদার বসতভিটে হারিয়ে এখন শোকে আত্মহারা।বাড়ির শেষ চিহ্ন দেখতে আত্মীয় সজনরা আসছেন।তবে কারো শান্তনা দেওয়ার যেন কোন ভাষা নেই।

সম্প্রতি ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে একই গ্রামের ১৩০ বছরের ঐতিহ্যবাহী চেয়ারম্যান বাড়ি। নদীতে ওই বাড়ির আট পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছেন। পাশেই তালুকদার বাড়ি; এখন ওই বাড়ি বিলীন হওয়ার পথে। চেয়ারম্যান বাড়ির উত্তর পাশেই মীর বাড়ি ভাঙতে শুরু করেছে। ভাঙনে মুখে সাদেক মাস্টার বাড়িও।

লক্ষ্মীপুর পানী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মাদ মুসা বলেন,ভাঙন প্রতিরোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর)আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল মান্নান বলেন.বর্ষা আসলেই নদী ভাঙন ঠেকাতে লুধূয়া এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়।বর্ষা শেষে নভেম্বর মাসে রামগতি ও কমলনগরের ৩২ কিলোমিটার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মান কাজ করা হবে।কাজ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনি কাজ করবে।