ঢাকা ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্ঘুম রাত কাটে এলাকাবাসীর

ডাকাতি নয়, মূল টার্গেট ধর্ষণ!

মাইনুদ্দিন আল আতিক
  • আপডেটের সময় : ০৫:১৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৫৭৬

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীর মহিপুর থানাধীন কুয়াকাটা পৌরসভা, লতাচাপলি ইউনিয়ন ও ধুলাসার ইউনিয়নে ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, লতাচাপলি ইউনিয়নের মম্বিপাড়ায় স্থানীয় গ্রাম ডাক্তার নারায়ণ চন্দ্রের বাড়িতে মাসখানেক আগে প্রথমে ডাকাতি হয়। এরপর থেকে প্রায় রাতেই ডাকাতি ও নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অনেক বাড়িতে সুরঙ্গ খোঁড়ার চিহ্নও দেখা গেছে। তারা দলে ৩/৪ জন করে থাকে এবং নারীদের টার্গেট করে পৈশাচিক হামলা ও ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।

ধুলাসারের গঙ্গামতি গ্রামের ভুক্তভোগী এক গৃহবধু আমাদেরকে জানান, বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) রাতে তিনি স্বামীর সাথে গভীর ঘুমে মগ্ন ছিলেন। হঠাৎ কারো হাতের স্পর্শে শিউরে ওঠেন। স্বামীকে ভেবে চুপ রইলেন। তখন প্রায় মধ্যরাত। স্পর্শটা অন্যরকম মনে হওয়ায় তিনি নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করলে এক ডাকাত তার মুখ চেপে ধরে এবং হিংস্র পশুর মত কামড়াতে থাকে। এরমধ্যে আরো দুজন ডাকাত এসে তাকে টেনে হিঁচড়ে পাশের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ডাক-চিৎকার শুনে তার স্বামী ও ঘরের অন্যান্যরাসহ প্রতিবেশীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল সটকে পড়ে।

এদিকে লতাচাপলির আছালত খাঁ পাড়ার দু’জন নারী বলেন, শুক্রবার (৩ আগস্ট) রাতে তারা দু’বোন ঘরে বসে ছিলেন। হঠাৎ ঘরের পাশে কোনো একজনকে দেখে টর্চলাইট মারলে উলঙ্গ শরীরে দৌড়ে পালায়। পরে প্রতিবেশীদের নিয়ে খোঁজাখুজি করেও আর পাওয়া যায়নি।

আরেকজন গৃহবধু তাদের ঘরের সুড়ুঙ্গি খোঁড়ার চিহ্ন দেখিয়ে বলেন, এখান থেকে ডাকাতরা সুরঙ্গ খুড়তে শুরু করে। টের পেয়ে লোকজন ডাক দিলে তারা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিরাতে প্রায় বাড়িতেই এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা নির্ঘুম ও আতঙ্কে রাত কাটালেও, স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানরা কোনো খোঁজ নিচ্ছে না এবং থানা পুলিশও রয়েছে নিরব।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়ে কেউ তাদের কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।



নিউজটি শেয়ার করুন








নির্ঘুম রাত কাটে এলাকাবাসীর

ডাকাতি নয়, মূল টার্গেট ধর্ষণ!

আপডেটের সময় : ০৫:১৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীর মহিপুর থানাধীন কুয়াকাটা পৌরসভা, লতাচাপলি ইউনিয়ন ও ধুলাসার ইউনিয়নে ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, লতাচাপলি ইউনিয়নের মম্বিপাড়ায় স্থানীয় গ্রাম ডাক্তার নারায়ণ চন্দ্রের বাড়িতে মাসখানেক আগে প্রথমে ডাকাতি হয়। এরপর থেকে প্রায় রাতেই ডাকাতি ও নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অনেক বাড়িতে সুরঙ্গ খোঁড়ার চিহ্নও দেখা গেছে। তারা দলে ৩/৪ জন করে থাকে এবং নারীদের টার্গেট করে পৈশাচিক হামলা ও ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।

ধুলাসারের গঙ্গামতি গ্রামের ভুক্তভোগী এক গৃহবধু আমাদেরকে জানান, বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) রাতে তিনি স্বামীর সাথে গভীর ঘুমে মগ্ন ছিলেন। হঠাৎ কারো হাতের স্পর্শে শিউরে ওঠেন। স্বামীকে ভেবে চুপ রইলেন। তখন প্রায় মধ্যরাত। স্পর্শটা অন্যরকম মনে হওয়ায় তিনি নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করলে এক ডাকাত তার মুখ চেপে ধরে এবং হিংস্র পশুর মত কামড়াতে থাকে। এরমধ্যে আরো দুজন ডাকাত এসে তাকে টেনে হিঁচড়ে পাশের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ডাক-চিৎকার শুনে তার স্বামী ও ঘরের অন্যান্যরাসহ প্রতিবেশীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল সটকে পড়ে।

এদিকে লতাচাপলির আছালত খাঁ পাড়ার দু’জন নারী বলেন, শুক্রবার (৩ আগস্ট) রাতে তারা দু’বোন ঘরে বসে ছিলেন। হঠাৎ ঘরের পাশে কোনো একজনকে দেখে টর্চলাইট মারলে উলঙ্গ শরীরে দৌড়ে পালায়। পরে প্রতিবেশীদের নিয়ে খোঁজাখুজি করেও আর পাওয়া যায়নি।

আরেকজন গৃহবধু তাদের ঘরের সুড়ুঙ্গি খোঁড়ার চিহ্ন দেখিয়ে বলেন, এখান থেকে ডাকাতরা সুরঙ্গ খুড়তে শুরু করে। টের পেয়ে লোকজন ডাক দিলে তারা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিরাতে প্রায় বাড়িতেই এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা নির্ঘুম ও আতঙ্কে রাত কাটালেও, স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানরা কোনো খোঁজ নিচ্ছে না এবং থানা পুলিশও রয়েছে নিরব।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়ে কেউ তাদের কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।