আইজিপির সঙ্গে বৈঠকের পর কাঁদলেন চাকরিচ্যুতরা, আন্দোলন প্রত্যাহার

- আপডেটের সময় : ০৯:১২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
- / ৬২৩
আইজিপি চাকরি ফেরতের আশ্বাস, মূল্যায়ন কমিটি গঠনের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া বিচার-বিশ্লেষণ করার ঘোষণা দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৈঠক শেষে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নেওয়া চার সদস্যসহ পুলিশ সদর দপ্তরের চার সিনিয়র কর্মকর্তা বাইরে বেরিয়ে আসেন। এ সময় সদর দপ্তরের সামনে অপেক্ষায় থাকা পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনার খবর জানালে উচ্ছ্বাসে রোল পড়ে যায়। একে অন্যকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট রেভিনিউ) ড. শোয়েব রিয়াজ আলম উপস্থিত আন্দোলনকারী পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা জানেন বর্তমান আইজিপিও বিভিন্ন সময় বাহিনী কর্তৃক বৈষম্যের শিকার। তিনি আপনাদের ব্যাপারে আন্তরিক। আপনাদের চাকরি ফেরানোর বিষয়ে আন্তরিক। আপনাদের বিরুদ্ধে যদি বিন্দুমাত্র অন্যায় অবিচার করা হয় তাহলে তারা চাকরি ফেরত পাবেন।
তিনি বলেন, আইজিপি একজন ডিআইজির নেতৃত্বে একটি কমিটি করে দিয়েছেন। আপনাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সব কিছু বিচার-বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। কেস টু কেস দেখা হবে। সেজন্য একটু সময় দরকার। একজন একজন করে আসবেন প্রত্যেকের বিষয় শোনা হবে। এমন কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত হবে না চাকরি ফেরত পেলেন কিন্তু বেতন পেলেন না। আদালত থেকে যারা নির্দোষ হিসেবে খালাস পেয়েছেন, তারা অটোমেটিক চাকরি পাবেন। আর যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান সেগুলো জিডি আকারে আমলে নিয়ে ডিসমিস করা হবে। আপনারা আজ চলে যান। রাস্তা ক্লিয়ার করেন। আপনাদের সঙ্গে আপনাদের মনোনীত প্রতিনিধিরা ব্রিফ করবেন। কাল (সোমবার) থেকে আপনাদের সবার কথা কেস টু কেস শোনা হবে।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া চাকরিচ্যুত এএসআই সাদ্দাম হোসেন বলেন, সুখবর আছে। আপনারা কেউ বিশৃঙ্খলা করবেন না। আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান তাদের জন্য প্রয়োজনে আইনজীবী নিয়োগ করা হবে। আর অধিকাংশরাই চাকরি ফেরত পাবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে আমাদের প্রতিনিধিও থাকবে।
পরে আন্দোলনকারীদের সমন্বয়করা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে প্রধান ফটক ছেড়ে ফুটপাতে অবস্থান নেন। এতে করে রাত ৮টা নাগাদ পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।