ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জলকপাট আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

গলাচিপায় টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে আমনের বীজতলা

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৭:২৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৮৩১

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে গলাচিপায় আমনের বীজতলা এখন পানির নিচে। পানি জমে থাকায় আমনের বীজ পঁচে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানের জলকপাট গুলোর বেহাল দশা হওয়ায় বৃষ্টির পানি নামতে পারছে না। আর বাকী জলকপাট গুলো প্রভাবশালীদের দখলে। এছাড়া নির্মানাধীন স্লূইজের দুই পাশে বাঁধ দেয়ায় ৪ গ্রামের মাঠ-ঘাট এখন পানির নিচে। ফলে ক্ষতির মুখে রয়েছে উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক।

জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলায় আমন চাষাবাদ হয় ৩৬ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের প্রায় ৩৯ হাজার কৃষক আমন আবাদ করে। অধিকাংশ কৃষক নিজেই বীজতলা তৈরি করেন। বিআর-১১, ব্রি-২২, ব্রি-২৩, ব্রি-৩১, ব্রি-৪৯, ব্রি-৫২, ব্রি-৮৭, স্বর্ণমুশরি, স্বর্ণ-গোটা জাতের বীজ দিয়ে চাষাবাদ করে থাকে। টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট পানিতে থই থই করছে। পানিতে তলিয়ে বীজতলার বীজ পঁচে যাওয়ার উপক্রম হওয়ার পথে। যদি পঁচে যায় তাহলে নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হবে। এতে বিপাকে পড়বেন কৃষকরা। এছাড়া বিভিন্ন জায়গার পানের বরজ তলিয়ে গেছে বলেও জানা যায়। সদর ইউনিয়নের চরখালী গ্রামের সত্তার গাজী, দুলাল গাজী, হাবিব আকন ২৩ কুড়ি পান গাছের গোড়া তলিয়ে আছে। যে হারে পানি নামছে তাতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

গলাচিপা সদর ইউনিয়নের সমাজসেবক ও কৃষক আব্দুল সোবাহান জানান, অক্ষারামের খালের উপর ব্রীজ নির্মান করার জন্য দুই পাশে বাঁধ দেয়া হয়েছে। খালের পশ্চিম প্রান্তের বেড়িবাঁধের উপর স্লুইজটি এক কপাট বিশিষ্ট। স্লুইজের একটি কপাট ভেঙ্গে নিচে পড়ে যাওয়ায় কপাটটি উঠাতে গিয়ে দক্ষিন চরখালি গ্রামের কৃষক নিজাম মৃধা হাত ভেঙ্গে যায় এবং কামাল মল্লিক বুকে প্রচন্ড আঘাত পায়। স্লুইজটি সংস্কারের জন্য একাধিক আবেদন জানানো হলেও অদ্যবধি স্লুইজটি সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে এ স্লূইজ দিয়ে উত্তর চরখালী, দক্ষিন চরখালী, মুরাদনগর, বোয়ালিয়া গ্রামের কিছু অংশের পানি নিষ্কাশন হতো। ব্রীজ নির্মানের জন্য দুই পাশে বাঁধ দেয়ায় এই সকল গ্রামের বৃষ্টির পানি নামার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষকের বীজতলা এখন পানির নিচে। তিন দিন ধরে বীজগুলো পানির নিচে হওয়ায় সেগুলো পঁচে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।একই কথা জানালেন আব্দুল বারেক হাং, সোহরাব সিকদারসহ আরো অনেকে।
এদিকে গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের দক্ষিনা লে বৃহৎ ১৫ কপাট বিশিষ্ট জলকপাটটির বেহাল অবস্থা। এই জলকপাটটি দিয়ে উপজেলার সদর, পানপট্টি, রতনদী তালতলী ও ডাকুয়া ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশন করা হয়। ১৫টি কপাট থাকলেও বর্তমানে ৯টি কপাট অচল রয়েছে। গলাচিপা উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা স্লুইজটি পরিদর্শন করলেও এর সংস্কারে আদৌ কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

গলাচিপা সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ইদ্রিস মিয়া জানান, সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের নলবুনিয়ার খালটি বন্দোবস্ত নিয়ে রফিক মিয়া, সামসু মিয়া, আজাহার উদ্দিন, মনিরুল, নুরু সহ বেশ কয়েক জন দখল করে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছে। এতে এলাকার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

পানপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খোকন মিয়া জানান, ২নং ওয়ার্ড খলিফা বাড়ি সংলগ্ন একটি স্লুইজ গেট রয়েছে। এই গেইট সুতারাম গ্রাম, গুপ্তের হাওলা, ৯নং ওয়ার্ডের কিছু অংশের পানি উঠা নামা করে। স্লুইজ গেটটি খলিফা বাড়ির লোকজন দীর্ঘদিন ধরে দখল করে আছে। তাদের ইচ্ছে মত স্লুইজটি নিয়ন্ত্রন করে। স্লুইজ গেটটি দিয়ে পানি উঠতে পারলেও নামতে পারে না। ফলে কয়েকশ কৃষকের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে আছে। একই কথা জানিয়েছেন কৃষক জামাল শরীফ।
চরকাজল ইউনিয়নের ইব্রাহিম দালাল জানান, তার এলাকায় খালের উপর ছোট-বড় ২০ টি পুকুর তৈরি করা হয়েছে। গত বছর জলাবদ্ধতার কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় জীনতলা বাজার থেকে ৭হাজার টাকার বীজ এবং পাতার চর বাজার থেকে ৫ হাজার টাকার বীজ ক্রয় করে জমি চাষাবাদ করতে হয়েছে। এবার ভাগ্যে কি আছে জানিনা। এরকম যদি কয়েক দিন বৃষ্টি থাকে তা হলে কৃষকের সর্বনাশ হবে। আমাদের এলাকায় অধিকাংশ কৃষকই বেশী করে বীজতলা তৈরি করেন কারন বেশি বীজতলা তৈরি না করে উপায় নেই।

এদিকে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন চরখালী গ্রামের ডাঙ্গাল খালটি বেশ কয়েক জন প্রভাবশালীরা দখল করে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছে বলে অভিযোগ ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: শাহজাহান মিয়ার। এতে ঐ এলাকার পানি নামার ব্যবস্থা না থাকায় রৌদ্রের তাপে পানি শুকাচ্ছে। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, গলাচিপা উপজেলার বেশিরভাগ খাল গুলো বেদখলে রয়েছে। খালগুলোর উপর প্রভাবশালীরা পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছে। এতে সব ইউনিয়নই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই বীজগুলো ব্রি-৫২ জাত বাদে বাকি বীজগুলো ৭ দিন পানির নিচে থাকলে বীজ পঁচে যায়। এগুলো আর কোনো কাজে আসবে না।

গলাচিপা উপজেলা কৃষি অফিসার আরজু আক্তার জানান, এ উপজেলা বোয়ালিয়া, অক্ষারাম, পানপট্টি খলিফা বাড়ি সংলগ্ন জলকপাট সহ ৫টি জলকপাট সংস্কারের জন্য উর্ধ্বত্বন কর্তৃপক্ষের  জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে জলকপাট গুলো সংস্কার করা হবে। প্রতিবেদক যে তথ্য দিয়েছে সবই সত্য। টানা বৃষ্টিতে পানি জমে আমনের কিছু বীজতলা তলিয়ে গেছে। পানি কমে গেলে ও বৃষ্টি না হলে আশা করি কৃষকদের তেমন কোনো সমস্যা হবে না।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল ধ্রুববাণীকে জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



নিউজটি শেয়ার করুন








জলকপাট আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

গলাচিপায় টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে আমনের বীজতলা

আপডেটের সময় : ০৭:২৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে গলাচিপায় আমনের বীজতলা এখন পানির নিচে। পানি জমে থাকায় আমনের বীজ পঁচে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানের জলকপাট গুলোর বেহাল দশা হওয়ায় বৃষ্টির পানি নামতে পারছে না। আর বাকী জলকপাট গুলো প্রভাবশালীদের দখলে। এছাড়া নির্মানাধীন স্লূইজের দুই পাশে বাঁধ দেয়ায় ৪ গ্রামের মাঠ-ঘাট এখন পানির নিচে। ফলে ক্ষতির মুখে রয়েছে উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক।

জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলায় আমন চাষাবাদ হয় ৩৬ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের প্রায় ৩৯ হাজার কৃষক আমন আবাদ করে। অধিকাংশ কৃষক নিজেই বীজতলা তৈরি করেন। বিআর-১১, ব্রি-২২, ব্রি-২৩, ব্রি-৩১, ব্রি-৪৯, ব্রি-৫২, ব্রি-৮৭, স্বর্ণমুশরি, স্বর্ণ-গোটা জাতের বীজ দিয়ে চাষাবাদ করে থাকে। টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট পানিতে থই থই করছে। পানিতে তলিয়ে বীজতলার বীজ পঁচে যাওয়ার উপক্রম হওয়ার পথে। যদি পঁচে যায় তাহলে নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হবে। এতে বিপাকে পড়বেন কৃষকরা। এছাড়া বিভিন্ন জায়গার পানের বরজ তলিয়ে গেছে বলেও জানা যায়। সদর ইউনিয়নের চরখালী গ্রামের সত্তার গাজী, দুলাল গাজী, হাবিব আকন ২৩ কুড়ি পান গাছের গোড়া তলিয়ে আছে। যে হারে পানি নামছে তাতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

গলাচিপা সদর ইউনিয়নের সমাজসেবক ও কৃষক আব্দুল সোবাহান জানান, অক্ষারামের খালের উপর ব্রীজ নির্মান করার জন্য দুই পাশে বাঁধ দেয়া হয়েছে। খালের পশ্চিম প্রান্তের বেড়িবাঁধের উপর স্লুইজটি এক কপাট বিশিষ্ট। স্লুইজের একটি কপাট ভেঙ্গে নিচে পড়ে যাওয়ায় কপাটটি উঠাতে গিয়ে দক্ষিন চরখালি গ্রামের কৃষক নিজাম মৃধা হাত ভেঙ্গে যায় এবং কামাল মল্লিক বুকে প্রচন্ড আঘাত পায়। স্লুইজটি সংস্কারের জন্য একাধিক আবেদন জানানো হলেও অদ্যবধি স্লুইজটি সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে এ স্লূইজ দিয়ে উত্তর চরখালী, দক্ষিন চরখালী, মুরাদনগর, বোয়ালিয়া গ্রামের কিছু অংশের পানি নিষ্কাশন হতো। ব্রীজ নির্মানের জন্য দুই পাশে বাঁধ দেয়ায় এই সকল গ্রামের বৃষ্টির পানি নামার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষকের বীজতলা এখন পানির নিচে। তিন দিন ধরে বীজগুলো পানির নিচে হওয়ায় সেগুলো পঁচে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।একই কথা জানালেন আব্দুল বারেক হাং, সোহরাব সিকদারসহ আরো অনেকে।
এদিকে গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের দক্ষিনা লে বৃহৎ ১৫ কপাট বিশিষ্ট জলকপাটটির বেহাল অবস্থা। এই জলকপাটটি দিয়ে উপজেলার সদর, পানপট্টি, রতনদী তালতলী ও ডাকুয়া ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশন করা হয়। ১৫টি কপাট থাকলেও বর্তমানে ৯টি কপাট অচল রয়েছে। গলাচিপা উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা স্লুইজটি পরিদর্শন করলেও এর সংস্কারে আদৌ কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

গলাচিপা সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ইদ্রিস মিয়া জানান, সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের নলবুনিয়ার খালটি বন্দোবস্ত নিয়ে রফিক মিয়া, সামসু মিয়া, আজাহার উদ্দিন, মনিরুল, নুরু সহ বেশ কয়েক জন দখল করে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছে। এতে এলাকার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

পানপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খোকন মিয়া জানান, ২নং ওয়ার্ড খলিফা বাড়ি সংলগ্ন একটি স্লুইজ গেট রয়েছে। এই গেইট সুতারাম গ্রাম, গুপ্তের হাওলা, ৯নং ওয়ার্ডের কিছু অংশের পানি উঠা নামা করে। স্লুইজ গেটটি খলিফা বাড়ির লোকজন দীর্ঘদিন ধরে দখল করে আছে। তাদের ইচ্ছে মত স্লুইজটি নিয়ন্ত্রন করে। স্লুইজ গেটটি দিয়ে পানি উঠতে পারলেও নামতে পারে না। ফলে কয়েকশ কৃষকের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে আছে। একই কথা জানিয়েছেন কৃষক জামাল শরীফ।
চরকাজল ইউনিয়নের ইব্রাহিম দালাল জানান, তার এলাকায় খালের উপর ছোট-বড় ২০ টি পুকুর তৈরি করা হয়েছে। গত বছর জলাবদ্ধতার কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় জীনতলা বাজার থেকে ৭হাজার টাকার বীজ এবং পাতার চর বাজার থেকে ৫ হাজার টাকার বীজ ক্রয় করে জমি চাষাবাদ করতে হয়েছে। এবার ভাগ্যে কি আছে জানিনা। এরকম যদি কয়েক দিন বৃষ্টি থাকে তা হলে কৃষকের সর্বনাশ হবে। আমাদের এলাকায় অধিকাংশ কৃষকই বেশী করে বীজতলা তৈরি করেন কারন বেশি বীজতলা তৈরি না করে উপায় নেই।

এদিকে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন চরখালী গ্রামের ডাঙ্গাল খালটি বেশ কয়েক জন প্রভাবশালীরা দখল করে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছে বলে অভিযোগ ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: শাহজাহান মিয়ার। এতে ঐ এলাকার পানি নামার ব্যবস্থা না থাকায় রৌদ্রের তাপে পানি শুকাচ্ছে। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, গলাচিপা উপজেলার বেশিরভাগ খাল গুলো বেদখলে রয়েছে। খালগুলোর উপর প্রভাবশালীরা পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছে। এতে সব ইউনিয়নই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই বীজগুলো ব্রি-৫২ জাত বাদে বাকি বীজগুলো ৭ দিন পানির নিচে থাকলে বীজ পঁচে যায়। এগুলো আর কোনো কাজে আসবে না।

গলাচিপা উপজেলা কৃষি অফিসার আরজু আক্তার জানান, এ উপজেলা বোয়ালিয়া, অক্ষারাম, পানপট্টি খলিফা বাড়ি সংলগ্ন জলকপাট সহ ৫টি জলকপাট সংস্কারের জন্য উর্ধ্বত্বন কর্তৃপক্ষের  জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে জলকপাট গুলো সংস্কার করা হবে। প্রতিবেদক যে তথ্য দিয়েছে সবই সত্য। টানা বৃষ্টিতে পানি জমে আমনের কিছু বীজতলা তলিয়ে গেছে। পানি কমে গেলে ও বৃষ্টি না হলে আশা করি কৃষকদের তেমন কোনো সমস্যা হবে না।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল ধ্রুববাণীকে জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।