ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সেবা পেয়ে হাসি ফুটলো লিটনের মুখে

এইচ এম মোশারেফ সুজন
  • আপডেটের সময় : ১২:৩৪:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৭৬৬

স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালী সদর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজলের কাছে সঠিক সেবা পেয়ে আনন্দের হাসি ফুটলো মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমরাগাছিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ লিটনের মুখে।

জানা গেছে, মির্জাগঞ্জের লিটন (৩৫) সিম কার্ড ক্রয়ের সময় অন্যের নামে রেজিষ্ট্রেশন করা সিম ক্রয় করেন। একসময় সিমটি নষ্ট হয়ে যায়। পরে নষ্ট সিমটি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি-২৪ তারিখ রিপ্লেসমেন্ট করতে গিয়েই বিষয়টি বুঝতে পারেন তিনি। নিজের নামে রেজিষ্ট্রেশন না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাকে। একপর্যায়ে তিনি পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজলের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি অনলাইনে তথ্য যাচাই করে সিমের মূল মালিকের ঠিকানা দেন লিটনকে। অতঃপর সেই মালিকের কাছ থেকে সিমের মালিকানা পরিবর্তন করে নেন। এতে উচ্ছ্বাসের হাসি হাসেন লিটন। লাঘব হয় তার সিমের জটিলতা।

এ বিষয়ে লিটন হাসিমাখা মুখে ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘সিমটা ক্রয় করে আমি ৩ বছর ব্যবহার করার পর নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে তুলতে গিয়ে জানতে পারি সিমটি আমার নামে রেজিষ্ট্রেশন নয়, অথচ সিমটি ক্রয় করেছি আমি।‌ পরে দীর্ঘ ১০ দিন ধরে গ্রামীণ সিম কাস্টমার কেয়ার ও বিভিন্ন সিম বিক্রেতার দ্বারে দ্বারে গিয়েও সমাধান সম্ভব হয়নি। তারপর আমি স্যারের কাছে যেতেই তিনি মাত্র ৫ মিনিটে সমাধান করে দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার এই সিমের নাম্বার পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে। সিমটি না পেলে আমার অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হতো। স্যার এতটা ভালো মনের মানুষ তা আমার জানা ছিলো না। তার মতো এমন মানবিক পুলিশ সুপারের জন্ম হোক সকল জেলায় এ কামনা করছি।’

গ্রামীণ সিম কাস্টমার কেয়ারে সার্ভিস নিতে আসা শাকিল মারুফ বলেন, ‘এভাবে অনেক সিম ব্যবহারকারী হয়রানি হচ্ছে। কারণ কয়েক বছর পূর্বে সিম রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে সমস্যা হয়েছিল, সিম ব্যবসায়ীরা তখন বিভিন্ন নামে রেজিষ্ট্রেশন করে সিম বিক্রি করেছিলো। তাই  ভোগান্তির মুখে সাধারণ মানুষ।’

গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসিং সেন্টার থেকে বলা হয়, এভাবে অনেক সিম ব্যবহারকারী সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। কিন্তু কিভাবে এই সমস্যা  হয়েছে তা আমরা জানিনা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনসাধারণের সেবায় আছি ও থাকবো। আমাদের উপরে জনসাধারণের আস্থা আছে, আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হলো ভুক্তভোগীকে সাহায্য করা। আমরা সেটা করে যাচ্ছি।’



নিউজটি শেয়ার করুন








পটুয়াখালীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সেবা পেয়ে হাসি ফুটলো লিটনের মুখে

আপডেটের সময় : ১২:৩৪:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালী সদর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজলের কাছে সঠিক সেবা পেয়ে আনন্দের হাসি ফুটলো মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমরাগাছিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ লিটনের মুখে।

জানা গেছে, মির্জাগঞ্জের লিটন (৩৫) সিম কার্ড ক্রয়ের সময় অন্যের নামে রেজিষ্ট্রেশন করা সিম ক্রয় করেন। একসময় সিমটি নষ্ট হয়ে যায়। পরে নষ্ট সিমটি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি-২৪ তারিখ রিপ্লেসমেন্ট করতে গিয়েই বিষয়টি বুঝতে পারেন তিনি। নিজের নামে রেজিষ্ট্রেশন না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাকে। একপর্যায়ে তিনি পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজলের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি অনলাইনে তথ্য যাচাই করে সিমের মূল মালিকের ঠিকানা দেন লিটনকে। অতঃপর সেই মালিকের কাছ থেকে সিমের মালিকানা পরিবর্তন করে নেন। এতে উচ্ছ্বাসের হাসি হাসেন লিটন। লাঘব হয় তার সিমের জটিলতা।

এ বিষয়ে লিটন হাসিমাখা মুখে ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘সিমটা ক্রয় করে আমি ৩ বছর ব্যবহার করার পর নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে তুলতে গিয়ে জানতে পারি সিমটি আমার নামে রেজিষ্ট্রেশন নয়, অথচ সিমটি ক্রয় করেছি আমি।‌ পরে দীর্ঘ ১০ দিন ধরে গ্রামীণ সিম কাস্টমার কেয়ার ও বিভিন্ন সিম বিক্রেতার দ্বারে দ্বারে গিয়েও সমাধান সম্ভব হয়নি। তারপর আমি স্যারের কাছে যেতেই তিনি মাত্র ৫ মিনিটে সমাধান করে দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার এই সিমের নাম্বার পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে। সিমটি না পেলে আমার অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হতো। স্যার এতটা ভালো মনের মানুষ তা আমার জানা ছিলো না। তার মতো এমন মানবিক পুলিশ সুপারের জন্ম হোক সকল জেলায় এ কামনা করছি।’

গ্রামীণ সিম কাস্টমার কেয়ারে সার্ভিস নিতে আসা শাকিল মারুফ বলেন, ‘এভাবে অনেক সিম ব্যবহারকারী হয়রানি হচ্ছে। কারণ কয়েক বছর পূর্বে সিম রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে সমস্যা হয়েছিল, সিম ব্যবসায়ীরা তখন বিভিন্ন নামে রেজিষ্ট্রেশন করে সিম বিক্রি করেছিলো। তাই  ভোগান্তির মুখে সাধারণ মানুষ।’

গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসিং সেন্টার থেকে বলা হয়, এভাবে অনেক সিম ব্যবহারকারী সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। কিন্তু কিভাবে এই সমস্যা  হয়েছে তা আমরা জানিনা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনসাধারণের সেবায় আছি ও থাকবো। আমাদের উপরে জনসাধারণের আস্থা আছে, আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হলো ভুক্তভোগীকে সাহায্য করা। আমরা সেটা করে যাচ্ছি।’