বিছানায় শয্যাশায়ী বাবা ও মেয়ে, বাঁচতে সহযোগিতা চান সমাজের বিত্তবানদের

- আপডেটের সময় : ০২:৫৮:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৬৪৯
বিশেষ প্রতিবেদকঃ এখন আশ্রয় অন্যের বাড়িতে। সংসার চলে কোনদিন খেয়ে, আবার কোনদিন পুরোই উপোস। জন্ম থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত মেয়ে মারিয়ার (১৪) চিকিৎসাও বন্ধ। ওষুধ কেনা দূরের কথা, চলছেনা নিজেরও চিকিৎসা। বিছানায় শুয়েই যন্ত্রণায় ছটফট করে কাটছে দিন। চিকিৎসা বন্ধ থাকায় মেয়েও এখন বাবার মতই বিছানায় শয্যাশায়ী অবস্থা।
এমন নির্মম বাস্তবতা নিয়ে এখন দিন কাটছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব সোনাতলা গ্রামের এক সময়ের কর্মঠ যুবক মোটরসাইকেল চালক আইয়ুব আলীর (৪৪) জীবন।
বর্তমানে নীলগঞ্জের কুমিরমারা গ্রামের আবাসনে বসবাসরত আইয়ুব আলী জানান, মোটরসাইকেল চালিয়ে চলত তার সংসার। তিন বছর পূর্বে প্রথমে দেখা দেয় ঘাড় এবং ব্রেস্টে ব্যথা। এক বছর পরেই এরসাথে দেখা দেয় পেট ব্যথা এবং পেটফোলা রোগের উপসর্গ। রোগ নির্ণয়ের নানা পরীক্ষার পর স্থানীয় অনেক চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে সুফল না পেয়ে সর্বশেষ দেখিয়েছেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিপাকতন্ত্র বিভাগের প্রধান ডা. অসিত ভূষণ দাসকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর ওষুধ কিনতে না পারায় এখন বন্ধ হয়ে আছে তার চিকিৎসা।
কান্না জড়িত কন্ঠে আইয়ুব আলী বলেন, রোগের যন্ত্রণা নিয়ে নিজে পড়ে আছি বিছানায়। জন্ম থেকে হৃদযন্ত্রে ছিদ্র নিয়ে ভূমিষ্ঠ হওয়া বড় মেয়ে মারিয়ার চিকিৎসাও বন্ধ। সন্তান, স্ত্রীর মুখে তুলে দিতে পারছিনা খাবার। চিকিৎসা চালাতে গিয়ে হারিয়েছি চাষের সামান্য জমি, বসতভিটা। সহায় সম্বলহীন হয়ে এখন অন্যের বাড়িতে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া ছোট মেয়ের লেখাপড়াও এখন বন্ধ।
কন্যা মারিয়ার চিকিৎসাসহ পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে বাঁচতে চান আইয়ুব আলী। চিকিৎসার জন্য চেয়েছেন সমাজের বিত্তবান মানুষের সহযোগিতা। আইয়ুব আলীকে সহযোগিতা করতে চাইলে তার ব্যাক্তিগত মোবাইলের বিকাশ নম্বরে-০১৭২৪৩২৩৪২১ সাহায্য পাঠানো যাবে।