ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ইসিকে ভয় দেখিয়ে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে’

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৮:০০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৬৩২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নির্বাচন কমিশনকে ভয় দেখিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘এমনও শোনা গেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদেরকে বলা হয়েছে, যদি সরকারের কথা না শোনেন তাহলে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার পরিণতি হবে আপনাদের। এই ভয় দেখিয়েই তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে নিজের সিংহাসন ধরে রাখার জন্য। অত্যাচার-নির্যাতনের পৈশাচিকতা দিন দিন নতুন মাত্রায় যোগ হচ্ছে। নিষ্পাপ কিশোর-তরুণদেরকে ধরে নিয়ে নিরুদ্দেশ করা হচ্ছে। এ কোন রাষ্ট্র? আমরা কোন দেশে বসবাস করছি। একাত্তরে এত রক্ত, এত ত্যাগের বিনিময়ে যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই রাষ্ট্রের সন্তানদেরকেই তারা অদৃশ্য করে আনন্দ লাভ করছে। তারা মনে করছে, এদেরকে অদৃশ্য করে দিলে আমাদের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি সফল হবে না। কিন্তু এই বিপুল জনতরঙ্গের মধ্যে আপনারা কতজনকে গ্রেফতার করবেন? কতজনকে অদৃশ্য করে দেবেন?

নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনের স্বতন্ত্র সত্তা, স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। তারা আবার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছেন। সরকারের চাপে পড়ে তারা নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করেছেন। এত মানুষ যারা দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র বঞ্চিত, ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত তাদের দাবিকে উপেক্ষা করে কী করে একতরফা নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করলেন? এই তফসিল ঘোষণার জন্য কি কোনোভাবেই বিবেকের চাপ অনুভব করেননি? চাকরি রক্ষা করাটাই কি সবচেয়ে বড় বিষয়? এই তফসিল ঘোষণা করার জন্য মানুষ আপনাদেরকে ধিক্কার জানাচ্ছে। তফসিলকে মানুষ অত্যন্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিএনপির লড়াই হচ্ছে জনগণের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য-মন্তব্য করে রিজভী আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা যে লড়াই করছি তার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে দেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে জনগণের হাতে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।

তিনি বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করার জন্য জনগণ আজকে রাস্তায় নেমে এসেছে। এই আধিপত্যবাদী স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয় হবেই। জনগণ এখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে।

রুহুল কবির রিজভী জানান, বুধবার বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত সারা দেশে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৯০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে, মামলা হয়েছে ১২টি। আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৩৭০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে।



নিউজটি শেয়ার করুন



‘ইসিকে ভয় দেখিয়ে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে’

আপডেটের সময় : ০৮:০০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নির্বাচন কমিশনকে ভয় দেখিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘এমনও শোনা গেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদেরকে বলা হয়েছে, যদি সরকারের কথা না শোনেন তাহলে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার পরিণতি হবে আপনাদের। এই ভয় দেখিয়েই তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে নিজের সিংহাসন ধরে রাখার জন্য। অত্যাচার-নির্যাতনের পৈশাচিকতা দিন দিন নতুন মাত্রায় যোগ হচ্ছে। নিষ্পাপ কিশোর-তরুণদেরকে ধরে নিয়ে নিরুদ্দেশ করা হচ্ছে। এ কোন রাষ্ট্র? আমরা কোন দেশে বসবাস করছি। একাত্তরে এত রক্ত, এত ত্যাগের বিনিময়ে যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই রাষ্ট্রের সন্তানদেরকেই তারা অদৃশ্য করে আনন্দ লাভ করছে। তারা মনে করছে, এদেরকে অদৃশ্য করে দিলে আমাদের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি সফল হবে না। কিন্তু এই বিপুল জনতরঙ্গের মধ্যে আপনারা কতজনকে গ্রেফতার করবেন? কতজনকে অদৃশ্য করে দেবেন?

নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনের স্বতন্ত্র সত্তা, স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। তারা আবার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছেন। সরকারের চাপে পড়ে তারা নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করেছেন। এত মানুষ যারা দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র বঞ্চিত, ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত তাদের দাবিকে উপেক্ষা করে কী করে একতরফা নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করলেন? এই তফসিল ঘোষণার জন্য কি কোনোভাবেই বিবেকের চাপ অনুভব করেননি? চাকরি রক্ষা করাটাই কি সবচেয়ে বড় বিষয়? এই তফসিল ঘোষণা করার জন্য মানুষ আপনাদেরকে ধিক্কার জানাচ্ছে। তফসিলকে মানুষ অত্যন্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিএনপির লড়াই হচ্ছে জনগণের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য-মন্তব্য করে রিজভী আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা যে লড়াই করছি তার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে দেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে জনগণের হাতে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।

তিনি বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করার জন্য জনগণ আজকে রাস্তায় নেমে এসেছে। এই আধিপত্যবাদী স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয় হবেই। জনগণ এখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে।

রুহুল কবির রিজভী জানান, বুধবার বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত সারা দেশে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৯০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে, মামলা হয়েছে ১২টি। আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৩৭০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে।