বিকল্প ড্রেনেজের দাবি
পায়রা বন্দর সংলগ্ন দুই’শ পরিবার পানিবন্দির শঙ্কায়
- আপডেটের সময় : ০৭:০১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
- / ৬৯৩
কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি : পায়রা বন্দরের মূল ফটক সংলগ্ন দুই’শ পরিবারের মানুষ পানি বন্দি হওয়ার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। বন্দরের ভূমি অধিগ্রহনে চলমান রয়েছে স্থানীয় খাল-বিল ও স্লুইজ ভরাটের কাজ। এতে পয়ঃনিষ্কাশন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে বন্দরের মূল ফটক লাগোয়া ঢালী বাড়ি এলাকার বহু মানুষের বসত বাড়ি স্থায়ীভাবে পানি বন্দি হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। তারা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বিকল্প ড্রেনেজ ব্যবস্থার জোর দাবী করেন।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কাজে টিয়াখালী ইউনিয়নের শত শত একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। আর ওই জমি ভরাট করে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়কের নির্মাণ কাজ। একারনে ওই এলাকায় ছোট ছোট খাল, পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো চাপা পড়েছে ভরাট করা মাটির নিচে। এতে বর্ষার সময় দুই’শত ঘর পানির নিচে ডুবে যায়।
বর্তমানে মাত্র একটি স্লুইজ গেট দিয়ে চলে গোটা এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থা। অচিরেই তাও ভরাট করা হবে ভুক্তভোগীরা বলেন। স্লুইজ গেটটি ভরাট হলে সেখানকার পানি অপসারনের পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
স্থানীয় আনোয়ার হাওলাদারসহ একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, পায়রা বন্দরের উন্নয়নের জন্য ফসলী জমি ছেড়ে দিয়েছি। এখন স্লুইজ গেটসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকলে আমাদের এখানে বসবাস করা যাবে না। আমরা এব্যপারে বন্দর কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা বলেন, ভাটা জোয়ারের পানিসহ বর্ষার অতিরিক্ত পানি অপসারনের জন্য ওই কালভার্টটি খুবই জরুরী। পায়রা বন্দরের উন্নয়নের জন্য সেটা ভরাট করা হবে। অথচ পানি অপসারনে বিকল্প হিসেবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রাখলে ওখানে বসবাসকারী দুই’শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়বে। তাই বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বিকল্প ড্রেনেজ ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি।




















