ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিনত, আজ দুপুরের মধ্যে নিম্নচাপ!

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৬:৩১:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩
  • / ৬৭৩

নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন), স্টাফ রিপোর্টারঃ বঙ্গোপসাগরে ধীরে ধীরে তৈরী হচ্ছে ঘূর্নিঝড় “মোখা”। সৃষ্ট লঘূচাপটি সুস্পষ্ট লঘূচাপে পরিনত হয়েছে। এটি আরো ঘনিভূত হয়ে আজ দুপুরের মধ্যে নিম্নচাপে পরিনত হতেপারে।

মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতর থেকে প্রকাশিত আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার সর্বশেষ সতর্কতা বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করাহয় দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গপোসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থান রত লঘূচাপটি ঘনীভূত হয়ে গত ৮ মে মধ্যরাতে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘূচাপে পরিনত হয়েছে। এটি আরও ঘনিভূত হতে পারে।

অপর দিকে একই তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বে সরকারী ওয়েদার অবজারভেষন টিম (BWOT)। তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গপোসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থিত সিস্টেম টি কিছুটা উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে আছে। এটি আজ ৯ ই মে ভোর ৫ টা বেজে ১৫ মিনিটে মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ পূর্বে,এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো। এটি আরও জোরদার হয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতেপারে। লঘুচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ৪২ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর ঐ এলাকায় কিছুটা উত্তাল রয়েছে । তবে তারা জানিয়েছে এটি আজ দুপুরের ভেতরে নিম্নচাপে পরিনত হতেপারে। এরপর নিম্নচাপটি উপযুক্ত পরিবেশ পলে ১০ বা ১১ মের দিকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা তে পরিনত হতেপারে,এবং ইতিমধ্যে এটি শক্তি শালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার যথেষ্ট উপযুক্ত পরিবেশ সেখানে রয়েছে। লঘুচাপটি বাংলাদেশ উপকূল থেকে এখনও অনেক দুরে থাকায় এর কোন প্রভাব এখনও দেশের উপকূলে পড়েনি। তবে আগামী ১৩ ই মে থেকে এর প্রভাব পড়তেপারে বলে তারা জানিয়েছে।
আগামী কয়েক ঘন্টার ব্যাবধানে সাগর বেশ উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই কোন মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার যেনো কোনভাবেই গভীর সাগরে না যায় তার জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছে।

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোখার শক্তিমত্তা সম্বন্ধে তারা বলছেন বঙ্গপোসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির বেশ উপযুক্ত পরিবেশ থাকায় এটি মধ্যো বঙ্গপোসাগরে এসে ক্যাটাগরি ৪ ক্ষমতাসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হতেপারে এবং আরও উপযুক্ত পরিবেশ পেলে ক্যাটাগরি ৫ ও হতেপারে।
তবে সেটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।
তবে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম কালে যদি ক্যাটাগরী ৪ থাকে তসহলে এসময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ২০৯ থেকে ২৫১ কিলোমিটারের মধ্যে এবং ক্যাটাগরী ৫ মানে ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ শক্তি মত্তা এসময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ২৫২ কিঃ মিঃ বা এরচেয়ে বেশি। এটি আগামী ১৪ বা ১৫ ই মে ভারতের উড়িষ্যা থেকে বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগে এর ভেতরে যেকোনো উপকূলে প্রবল শক্তি নিয়ে আঘাত করতেপারে। এটি আগামী ১৪ বা ১৫ ই মে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা থেকে চট্টগ্রাম বিভাগ এর ভেতরে যেকোনো উপকূলে প্রবল শক্তি নিয়ে আঘাত করতেপারে।

তবে এটাকেই চুরান্ত সিদ্ধান্ত মেনে নিবেন না আঘাত হানার স্থান কিছুটা পরিবর্তনও হতে পারে । তবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল বেশি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এটা স্পষ্ট হওয়ার জন্য আরও অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। দেশের উপকূলীয় জনসাধারণের জন্য তারা বলছেন, সকলে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিয়ে রাখবেন। এছাড়াও দেশে যারা ধান কাটছেন তারা ১২ ই মে এর ভেতরে সকল ধান নিরাপদ স্থানে নিয়ে নিবেন।



নিউজটি শেয়ার করুন








বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিনত, আজ দুপুরের মধ্যে নিম্নচাপ!

আপডেটের সময় : ০৬:৩১:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩

নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন), স্টাফ রিপোর্টারঃ বঙ্গোপসাগরে ধীরে ধীরে তৈরী হচ্ছে ঘূর্নিঝড় “মোখা”। সৃষ্ট লঘূচাপটি সুস্পষ্ট লঘূচাপে পরিনত হয়েছে। এটি আরো ঘনিভূত হয়ে আজ দুপুরের মধ্যে নিম্নচাপে পরিনত হতেপারে।

মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতর থেকে প্রকাশিত আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার সর্বশেষ সতর্কতা বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করাহয় দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গপোসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থান রত লঘূচাপটি ঘনীভূত হয়ে গত ৮ মে মধ্যরাতে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘূচাপে পরিনত হয়েছে। এটি আরও ঘনিভূত হতে পারে।

অপর দিকে একই তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বে সরকারী ওয়েদার অবজারভেষন টিম (BWOT)। তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গপোসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থিত সিস্টেম টি কিছুটা উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে আছে। এটি আজ ৯ ই মে ভোর ৫ টা বেজে ১৫ মিনিটে মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ পূর্বে,এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো। এটি আরও জোরদার হয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতেপারে। লঘুচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ৪২ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর ঐ এলাকায় কিছুটা উত্তাল রয়েছে । তবে তারা জানিয়েছে এটি আজ দুপুরের ভেতরে নিম্নচাপে পরিনত হতেপারে। এরপর নিম্নচাপটি উপযুক্ত পরিবেশ পলে ১০ বা ১১ মের দিকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা তে পরিনত হতেপারে,এবং ইতিমধ্যে এটি শক্তি শালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার যথেষ্ট উপযুক্ত পরিবেশ সেখানে রয়েছে। লঘুচাপটি বাংলাদেশ উপকূল থেকে এখনও অনেক দুরে থাকায় এর কোন প্রভাব এখনও দেশের উপকূলে পড়েনি। তবে আগামী ১৩ ই মে থেকে এর প্রভাব পড়তেপারে বলে তারা জানিয়েছে।
আগামী কয়েক ঘন্টার ব্যাবধানে সাগর বেশ উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই কোন মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার যেনো কোনভাবেই গভীর সাগরে না যায় তার জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছে।

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোখার শক্তিমত্তা সম্বন্ধে তারা বলছেন বঙ্গপোসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির বেশ উপযুক্ত পরিবেশ থাকায় এটি মধ্যো বঙ্গপোসাগরে এসে ক্যাটাগরি ৪ ক্ষমতাসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হতেপারে এবং আরও উপযুক্ত পরিবেশ পেলে ক্যাটাগরি ৫ ও হতেপারে।
তবে সেটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।
তবে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম কালে যদি ক্যাটাগরী ৪ থাকে তসহলে এসময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ২০৯ থেকে ২৫১ কিলোমিটারের মধ্যে এবং ক্যাটাগরী ৫ মানে ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ শক্তি মত্তা এসময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ২৫২ কিঃ মিঃ বা এরচেয়ে বেশি। এটি আগামী ১৪ বা ১৫ ই মে ভারতের উড়িষ্যা থেকে বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগে এর ভেতরে যেকোনো উপকূলে প্রবল শক্তি নিয়ে আঘাত করতেপারে। এটি আগামী ১৪ বা ১৫ ই মে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা থেকে চট্টগ্রাম বিভাগ এর ভেতরে যেকোনো উপকূলে প্রবল শক্তি নিয়ে আঘাত করতেপারে।

তবে এটাকেই চুরান্ত সিদ্ধান্ত মেনে নিবেন না আঘাত হানার স্থান কিছুটা পরিবর্তনও হতে পারে । তবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল বেশি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এটা স্পষ্ট হওয়ার জন্য আরও অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। দেশের উপকূলীয় জনসাধারণের জন্য তারা বলছেন, সকলে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিয়ে রাখবেন। এছাড়াও দেশে যারা ধান কাটছেন তারা ১২ ই মে এর ভেতরে সকল ধান নিরাপদ স্থানে নিয়ে নিবেন।