ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একজন কিশোরের চিত্রশিল্পী হয়ে ওঠার গল্প

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০২:৪০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১
  • / ৯৭৫

গ্রামে থেকেই ছবি আঁকতে হাতেখড়ি। যখন তিনি ছবি আঁকতে শুরু করেন; তখন নিজেকে বোঝার মতো বয়সও হয়নি কারিমের। রংতুলি ছাড়াও লতা-পাতা, কাঠ-কয়লা, বালু, মুসুরের ডাল দিয়ে মানুষের প্রতিকৃতি তৈরি করেন আর্টিস্ট‌ আর.কারিম। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন ফিচার্সবিডি এর কন্ট্রিবিউটর ও ধ্রুববাণীর বিশেষ প্রতিবেদক নাজমুস সাকিব।

চিত্রশিল্পী আর.কারিম গ্রামের অন্য ছেলেদের মত বেড়ে ওঠে। তিনি ১৯৯৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের মহেশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। আর.কারিম ৬ ভাই-বোনের মধ্যে কারিম চতুর্থ। বাবা মোস্তাক আহমদ ছিলেন ব্যবসায়ী, মা খালেদা বেগম গৃহিণী। আর.কারিম বর্তমানে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি একজন চিত্রশিল্পী।

আর.কারিমের আঁকা-আঁকির শুরুর গল্প:
ছোট থেকেই রংতুলি দিয়ে আঁকা-আঁকি পছন্দ ছিল। ছোটবেলায় কম আর বেশি সবাই ছবি আঁকতে ভালোবাসে। তেমনি কারিম ও ভালোবাসতো। কারিম যখন নার্সারিতে পড়ে তখন থেকে আঁকা-আঁকিটা শুরু করে। তখন অন্যান্য বইয়ের সাথে নিজের ইচ্ছায় আর্টের বইও ছিলো তাঁর। বলতে গেলে সে বইটাই কারিমের ছবি আঁকার উৎস। ছবি আঁকার সে বইটা কারিমকে অনুপ্রেরণা যোগাতো। কারিম ক্লাসের বাইরেও বাড়ীতে বইটা দেখে দেখে সে বইয়ের ফুল, ফল, লতা, পাতা এবং পাখি ইত্যাদি এসবের ছবি আঁকতে চেষ্টা করতেন। এ বই ছাড়াও অন্যান্য বইয়ের অলংকরণ গুলো দেখতো। শুধু যে কারিম বই গুলো দেখতো তা কিন্তু নয়। কারিমের বড় ভাই-বোনদের বই গুলোও দেখতো তখন লুকিয়ে লুকিয়ে, আর বইয়ের অলংকরণ দেখে আঁকা-আঁকি করতো কারিম। এভাবে গেলো তাঁর ২ বছর। এরপর তাকে ভর্তি করিয়ে দেয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণিতে। তখন বিদ্যালয়ের বইতে কারিম দেখতে পেল হাতে আঁকা রঙিন অলংকরণ। যা এর আগে দেখেনি। এর আগে কারিম এবং বড় ভাই-বোনদের বই গুলোতে যেগুলো দেখতো সে গুলো কালো কালির অলংকরণ ছিলো। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে কারিমের ছবি আঁকার প্রতি ঝোঁকটা বেড়ে যায় আরো। কারণ ঝোঁক বেড়ে যাবার মতো বলেই।

কারিম বলেন, ‘আসলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে যে ছবি গুলো দেখতে পেলাম, তার আগেও আমি সে ছবি গুলো মনে মনে খুঁজতেছিলাম। এরপর শুরু হলো বিরতিহীন যাত্রা। ক্লাশে-বাড়ীতে যখন তখন আঁকতে থাকতাম। শুধু আমি আমার বইয়ের অলংকরণ গুলো দেখে আঁকতে চেষ্টা করতাম। আমার গণিত খাতা বেশী লাগতো, তাতে ছবি আঁকতাম বলে তখন শুধু যে খাতা কলমে বা পেন্সিলে সীমাবদ্ধ ছিলাম তা কিন্তু নয়। যেখানে যা পেয়েছি আঁকতে পারবো বলে মনে হয়েছে আমার সেখানেই এঁকেছি। কয়লা দিয়েও এঁকেছি। এমন কি মাঠিতে হাত দিয়ে পর্যন্ত এঁকেছিলাম। নার্সারিতে পড়ার সময় যে ছবি আঁকতাম সে থেকে আমার পরিবার আমার ছবি প্রেম সম্পর্কে ধরে নিয়েছিলেন। মা-বাবা, ভাই-বোন সবাই উৎসাহ দিতেন ছবি এঁকে দেখালে। সেই নার্সারিতে পড়া থেকে আমার পাড়ার অনেকেই জানতেন আমি ভালো ছবি আঁকি। সবাই উৎসাহ দিতেন৷ আমার আঁকা ছবি দেখতেও চাইতেন। তবে কে.জি. স্কুল থেকে যখন প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয় তখন আমার ছবি আঁকার ব্যাপারটি আলাদা ভাবে অনেকের নজরে আসে। পুরো এলাকায় এবং পুরো স্কুলে জানাজানি হয়ে যায় আমি ছবি আঁকি । বলতে গেলে এভাবেই আমার হাতেখড়ি শুরু হয়।

তিনি রংতুলি ছাড়াও লতা-পাতা, কাঠ-কয়লা, বালু, মসুরের ডাল দিয়ে মানুষের প্রতিকৃতি তৈরি করেন। তিনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী মহেশখালী উপজেলা শাখার একজন সদস্য। তিনি গ্রামে থেকেই ছবি আঁকতে শিখেছেন। যখন তিনি ছবি আঁকতে শুরু করেন; তখন নিজের আগ্রহ বোঝার মতো বয়সও হয়নি।

প্রথম ছবি আঁকার গল্প:
আর. কারিম গ্রামের ছেলে, গ্রামেই বেড়ে ওঠা। ১৯৯৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের মহেশখালীতে তার জন্ম। ৬ ভাই-বোনের মধ্যে করিম চতুর্থ। বাবা মোস্তাক আহমদ ছিলেন ব্যবসায়ী, মা খালেদা বেগম গৃহিণী। করিম বর্তমানে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি নেশায় একজন চিত্রশিল্পী। তিনি রংতুলি ছাড়াও লতা-পাতা, কাঠ-কয়লা, বালু, মসুরের ডাল দিয়ে মানুষের প্রতিকৃতি তৈরি করেন। তিনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী মহেশখালী উপজেলা শাখার একজন সদস্য। তিনি গ্রামে থেকেই ছবি আঁকতে শিখেছেন। যখন তিনি ছবি আঁকতে শুরু করেন; তখন নিজের আগ্রহ বোঝার মতো বয়সও হয়নি।

আঁকা-আঁকির শুরুর গল্প:
কেউ বলতে পারবেন না ছোটবেলায় একাবারে আঁকা-আঁকি করেননি। ছোটবেলায় কমবেশি সবাই ছবি আঁকতে ভালোবাসে। তেমনই কারিমও ভালোবাসতেন। হাতেখড়ি সেখানেই। যখন নার্সারিতে পড়েন; তখন থেকে আঁকা-আঁকি শুরু হয়। সেখানকার অন্যান্য বইয়ের সাথে একটি ছবি আঁকার বইও ছিল। বলতে গেলে, বইটিই তার ছবি আঁকার উৎস। ছবি আঁকার বইটি কেন জানি তাকে খুব আকর্ষণ করতো। কারিম ক্লাসের বাইরে বাড়িতে বইটি দেখে দেখে বইয়ের ফুল, ফল, লতা, পাতা এবং পাখি ইত্যাদির ছবি আঁকতে চেষ্টা করতেন। এ বই ছাড়াও অন্য বইয়ের অলঙ্করণগুলো দেখতেন। শুধু যে তার বইগুলো দেখতেন, তা কিন্তু নয়। বড় ভাই-বোনদের বইগুলোও দেখতেন। তখন লুকিয়ে লুকিয়ে তা দেখে আঁকা-আঁকি করতেন।ৎএভাবে গেল ২ বছর। এরপর কারিমকে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয় প্রাইমারি স্কুলের ২য় শ্রেণিতে। তখন প্রাইমারির বইতে তিনি দেখতে পান হাতে আঁকা রঙিন অলঙ্করণ। যা এর আগে দেখেননি। এর আগে যেগুলো দেখেছেন; সেগুলো কালো কালির অলঙ্করণ ছিল। প্রাইমারিতে এসে তার ছবি আঁকার প্রতি ঝোঁকটা বেড়ে যায়। এরপর শুরু হলো বিরতিহীন যাত্রা। ক্লাসে-বাড়িতে যখন-তখন আঁকতে থাকেন। তার গণিত খাতা বেশি লাগতো, তাতে ছবি আঁকতেন বলে। তখন শুধু যে খাতা-কলমে বা পেন্সিলে সীমাবদ্ধ ছিল; তা কিন্তু নয়। যেখানে যা পেয়েছেন, তা দিয়ে আঁকতে পারবেন বলে মনে হয়েছে এবং সেখানেই এঁকেছেন। কয়লা দিয়েও এঁকেছেন। এমনকি মাটিতে পর্যন্ত এঁকেছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরুর সাথে পড়ার সময় ছবি আঁকার কথা তার পরিবার জানতে পেরেছিল। মা-বাবা, ভাই-বোন সবাই উৎসাহ দিতেন। তার আঁকা ছবি দেখতেও চাইতেন। তবে কে জি স্কুল থেকে যখন প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়; তখন তার ছবি আঁকার ব্যাপারটি আলাদাভাবে নজরে আসে। পুরো এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। এভাবেই তার ছবি আঁকার হাতেখড়ি।

যে কোনো বস্তুতে শিল্পকর্ম:
রংতুলি ছাড়া ছবি আঁকা বা বানানো নিয়ে বলতে গেলে প্রয়াত কালিদাস কর্মকারের কথা বলতে হয়।



নিউজটি শেয়ার করুন








একজন কিশোরের চিত্রশিল্পী হয়ে ওঠার গল্প

আপডেটের সময় : ০২:৪০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১

গ্রামে থেকেই ছবি আঁকতে হাতেখড়ি। যখন তিনি ছবি আঁকতে শুরু করেন; তখন নিজেকে বোঝার মতো বয়সও হয়নি কারিমের। রংতুলি ছাড়াও লতা-পাতা, কাঠ-কয়লা, বালু, মুসুরের ডাল দিয়ে মানুষের প্রতিকৃতি তৈরি করেন আর্টিস্ট‌ আর.কারিম। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন ফিচার্সবিডি এর কন্ট্রিবিউটর ও ধ্রুববাণীর বিশেষ প্রতিবেদক নাজমুস সাকিব।

চিত্রশিল্পী আর.কারিম গ্রামের অন্য ছেলেদের মত বেড়ে ওঠে। তিনি ১৯৯৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের মহেশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। আর.কারিম ৬ ভাই-বোনের মধ্যে কারিম চতুর্থ। বাবা মোস্তাক আহমদ ছিলেন ব্যবসায়ী, মা খালেদা বেগম গৃহিণী। আর.কারিম বর্তমানে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি একজন চিত্রশিল্পী।

আর.কারিমের আঁকা-আঁকির শুরুর গল্প:
ছোট থেকেই রংতুলি দিয়ে আঁকা-আঁকি পছন্দ ছিল। ছোটবেলায় কম আর বেশি সবাই ছবি আঁকতে ভালোবাসে। তেমনি কারিম ও ভালোবাসতো। কারিম যখন নার্সারিতে পড়ে তখন থেকে আঁকা-আঁকিটা শুরু করে। তখন অন্যান্য বইয়ের সাথে নিজের ইচ্ছায় আর্টের বইও ছিলো তাঁর। বলতে গেলে সে বইটাই কারিমের ছবি আঁকার উৎস। ছবি আঁকার সে বইটা কারিমকে অনুপ্রেরণা যোগাতো। কারিম ক্লাসের বাইরেও বাড়ীতে বইটা দেখে দেখে সে বইয়ের ফুল, ফল, লতা, পাতা এবং পাখি ইত্যাদি এসবের ছবি আঁকতে চেষ্টা করতেন। এ বই ছাড়াও অন্যান্য বইয়ের অলংকরণ গুলো দেখতো। শুধু যে কারিম বই গুলো দেখতো তা কিন্তু নয়। কারিমের বড় ভাই-বোনদের বই গুলোও দেখতো তখন লুকিয়ে লুকিয়ে, আর বইয়ের অলংকরণ দেখে আঁকা-আঁকি করতো কারিম। এভাবে গেলো তাঁর ২ বছর। এরপর তাকে ভর্তি করিয়ে দেয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণিতে। তখন বিদ্যালয়ের বইতে কারিম দেখতে পেল হাতে আঁকা রঙিন অলংকরণ। যা এর আগে দেখেনি। এর আগে কারিম এবং বড় ভাই-বোনদের বই গুলোতে যেগুলো দেখতো সে গুলো কালো কালির অলংকরণ ছিলো। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে কারিমের ছবি আঁকার প্রতি ঝোঁকটা বেড়ে যায় আরো। কারণ ঝোঁক বেড়ে যাবার মতো বলেই।

কারিম বলেন, ‘আসলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে যে ছবি গুলো দেখতে পেলাম, তার আগেও আমি সে ছবি গুলো মনে মনে খুঁজতেছিলাম। এরপর শুরু হলো বিরতিহীন যাত্রা। ক্লাশে-বাড়ীতে যখন তখন আঁকতে থাকতাম। শুধু আমি আমার বইয়ের অলংকরণ গুলো দেখে আঁকতে চেষ্টা করতাম। আমার গণিত খাতা বেশী লাগতো, তাতে ছবি আঁকতাম বলে তখন শুধু যে খাতা কলমে বা পেন্সিলে সীমাবদ্ধ ছিলাম তা কিন্তু নয়। যেখানে যা পেয়েছি আঁকতে পারবো বলে মনে হয়েছে আমার সেখানেই এঁকেছি। কয়লা দিয়েও এঁকেছি। এমন কি মাঠিতে হাত দিয়ে পর্যন্ত এঁকেছিলাম। নার্সারিতে পড়ার সময় যে ছবি আঁকতাম সে থেকে আমার পরিবার আমার ছবি প্রেম সম্পর্কে ধরে নিয়েছিলেন। মা-বাবা, ভাই-বোন সবাই উৎসাহ দিতেন ছবি এঁকে দেখালে। সেই নার্সারিতে পড়া থেকে আমার পাড়ার অনেকেই জানতেন আমি ভালো ছবি আঁকি। সবাই উৎসাহ দিতেন৷ আমার আঁকা ছবি দেখতেও চাইতেন। তবে কে.জি. স্কুল থেকে যখন প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয় তখন আমার ছবি আঁকার ব্যাপারটি আলাদা ভাবে অনেকের নজরে আসে। পুরো এলাকায় এবং পুরো স্কুলে জানাজানি হয়ে যায় আমি ছবি আঁকি । বলতে গেলে এভাবেই আমার হাতেখড়ি শুরু হয়।

তিনি রংতুলি ছাড়াও লতা-পাতা, কাঠ-কয়লা, বালু, মসুরের ডাল দিয়ে মানুষের প্রতিকৃতি তৈরি করেন। তিনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী মহেশখালী উপজেলা শাখার একজন সদস্য। তিনি গ্রামে থেকেই ছবি আঁকতে শিখেছেন। যখন তিনি ছবি আঁকতে শুরু করেন; তখন নিজের আগ্রহ বোঝার মতো বয়সও হয়নি।

প্রথম ছবি আঁকার গল্প:
আর. কারিম গ্রামের ছেলে, গ্রামেই বেড়ে ওঠা। ১৯৯৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের মহেশখালীতে তার জন্ম। ৬ ভাই-বোনের মধ্যে করিম চতুর্থ। বাবা মোস্তাক আহমদ ছিলেন ব্যবসায়ী, মা খালেদা বেগম গৃহিণী। করিম বর্তমানে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি নেশায় একজন চিত্রশিল্পী। তিনি রংতুলি ছাড়াও লতা-পাতা, কাঠ-কয়লা, বালু, মসুরের ডাল দিয়ে মানুষের প্রতিকৃতি তৈরি করেন। তিনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী মহেশখালী উপজেলা শাখার একজন সদস্য। তিনি গ্রামে থেকেই ছবি আঁকতে শিখেছেন। যখন তিনি ছবি আঁকতে শুরু করেন; তখন নিজের আগ্রহ বোঝার মতো বয়সও হয়নি।

আঁকা-আঁকির শুরুর গল্প:
কেউ বলতে পারবেন না ছোটবেলায় একাবারে আঁকা-আঁকি করেননি। ছোটবেলায় কমবেশি সবাই ছবি আঁকতে ভালোবাসে। তেমনই কারিমও ভালোবাসতেন। হাতেখড়ি সেখানেই। যখন নার্সারিতে পড়েন; তখন থেকে আঁকা-আঁকি শুরু হয়। সেখানকার অন্যান্য বইয়ের সাথে একটি ছবি আঁকার বইও ছিল। বলতে গেলে, বইটিই তার ছবি আঁকার উৎস। ছবি আঁকার বইটি কেন জানি তাকে খুব আকর্ষণ করতো। কারিম ক্লাসের বাইরে বাড়িতে বইটি দেখে দেখে বইয়ের ফুল, ফল, লতা, পাতা এবং পাখি ইত্যাদির ছবি আঁকতে চেষ্টা করতেন। এ বই ছাড়াও অন্য বইয়ের অলঙ্করণগুলো দেখতেন। শুধু যে তার বইগুলো দেখতেন, তা কিন্তু নয়। বড় ভাই-বোনদের বইগুলোও দেখতেন। তখন লুকিয়ে লুকিয়ে তা দেখে আঁকা-আঁকি করতেন।ৎএভাবে গেল ২ বছর। এরপর কারিমকে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয় প্রাইমারি স্কুলের ২য় শ্রেণিতে। তখন প্রাইমারির বইতে তিনি দেখতে পান হাতে আঁকা রঙিন অলঙ্করণ। যা এর আগে দেখেননি। এর আগে যেগুলো দেখেছেন; সেগুলো কালো কালির অলঙ্করণ ছিল। প্রাইমারিতে এসে তার ছবি আঁকার প্রতি ঝোঁকটা বেড়ে যায়। এরপর শুরু হলো বিরতিহীন যাত্রা। ক্লাসে-বাড়িতে যখন-তখন আঁকতে থাকেন। তার গণিত খাতা বেশি লাগতো, তাতে ছবি আঁকতেন বলে। তখন শুধু যে খাতা-কলমে বা পেন্সিলে সীমাবদ্ধ ছিল; তা কিন্তু নয়। যেখানে যা পেয়েছেন, তা দিয়ে আঁকতে পারবেন বলে মনে হয়েছে এবং সেখানেই এঁকেছেন। কয়লা দিয়েও এঁকেছেন। এমনকি মাটিতে পর্যন্ত এঁকেছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরুর সাথে পড়ার সময় ছবি আঁকার কথা তার পরিবার জানতে পেরেছিল। মা-বাবা, ভাই-বোন সবাই উৎসাহ দিতেন। তার আঁকা ছবি দেখতেও চাইতেন। তবে কে জি স্কুল থেকে যখন প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়; তখন তার ছবি আঁকার ব্যাপারটি আলাদাভাবে নজরে আসে। পুরো এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। এভাবেই তার ছবি আঁকার হাতেখড়ি।

যে কোনো বস্তুতে শিল্পকর্ম:
রংতুলি ছাড়া ছবি আঁকা বা বানানো নিয়ে বলতে গেলে প্রয়াত কালিদাস কর্মকারের কথা বলতে হয়।