ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে ভয় দেখিয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণ, স্বামীকে বলাৎকার; আটক-৪

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১২:৫৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
  • / ১০১৩

প্রতীকি ছবি

মোঃ সইনুল রহমান আকাশ, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ ও একই সময় স্বামীকে বলাৎকার করে মোবাইল ফোনে ছবি তোলায় ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজনক আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

অপরদিকে ধর্ষণের শিকার ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত রোববার (১১ জুলাই) দিনগত গভীর রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল দক্ষিণ গোয়ালপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

মামলায় আটক আসামিরা হলেন- জগদল দক্ষিণ গোয়ালপাড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে ধর্ষক জয়নুল হক (২৫)। অপরদিকে ওই গৃহবধূর স্বামীকে বলাৎকারকারী একই এলাকার এন্তাজুল এর ছেলে রনি ইসলাম (২৪), একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে নুর হোসেন (২১), আব্দুল মালেকের ছেলে শাহিন হোসেন (২১)।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার দিনগত গভীর রাতে চা বাগানের চা পাতা কাটার জন্য ওই গৃহবধূর স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায় এই চারজন। একসময় চা বাগানের কাছে গেলে এই চার আসামি তার পরনের লুঙ্গি সহ জামা খুলে নেয়।

একসময় মোবাইল ফোনে ছবি তুলে সেটি এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামি রনি, নূর ও শাহীন তাকে ভয় দেখিয়ে বলাৎকার করে।

অপরদিকে এই সুযোগে ধর্ষক জয়নুল বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে বিভিন্ন রকম ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

সকালে পরিবারের লোকজন বাড়িতে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করলে বাড়ি থেকে বেশকিছু দূরে দেখতে পাওয়া যায়। বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে সে বিষয়টি জানায়। অপরদিকে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ বাড়িতে ঘটা বিষয়টি শেয়ার করে।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই ৪ জনকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাছ আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ওই চারজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় ৩ জনের নামে পর্নোগ্রাফি আইনে ও ১ জনের নামে নারী শিশু নির্যাতন আইনে (ধর্ষণ) দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।



নিউজটি শেয়ার করুন








পঞ্চগড়ে ভয় দেখিয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণ, স্বামীকে বলাৎকার; আটক-৪

আপডেটের সময় : ১২:৫৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১

মোঃ সইনুল রহমান আকাশ, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ ও একই সময় স্বামীকে বলাৎকার করে মোবাইল ফোনে ছবি তোলায় ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজনক আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

অপরদিকে ধর্ষণের শিকার ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত রোববার (১১ জুলাই) দিনগত গভীর রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল দক্ষিণ গোয়ালপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

মামলায় আটক আসামিরা হলেন- জগদল দক্ষিণ গোয়ালপাড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে ধর্ষক জয়নুল হক (২৫)। অপরদিকে ওই গৃহবধূর স্বামীকে বলাৎকারকারী একই এলাকার এন্তাজুল এর ছেলে রনি ইসলাম (২৪), একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে নুর হোসেন (২১), আব্দুল মালেকের ছেলে শাহিন হোসেন (২১)।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার দিনগত গভীর রাতে চা বাগানের চা পাতা কাটার জন্য ওই গৃহবধূর স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায় এই চারজন। একসময় চা বাগানের কাছে গেলে এই চার আসামি তার পরনের লুঙ্গি সহ জামা খুলে নেয়।

একসময় মোবাইল ফোনে ছবি তুলে সেটি এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামি রনি, নূর ও শাহীন তাকে ভয় দেখিয়ে বলাৎকার করে।

অপরদিকে এই সুযোগে ধর্ষক জয়নুল বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে বিভিন্ন রকম ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

সকালে পরিবারের লোকজন বাড়িতে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করলে বাড়ি থেকে বেশকিছু দূরে দেখতে পাওয়া যায়। বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে সে বিষয়টি জানায়। অপরদিকে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ বাড়িতে ঘটা বিষয়টি শেয়ার করে।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই ৪ জনকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাছ আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ওই চারজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় ৩ জনের নামে পর্নোগ্রাফি আইনে ও ১ জনের নামে নারী শিশু নির্যাতন আইনে (ধর্ষণ) দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।