বাগমারা আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মন্ত্রিপুত্র সরদার সানিয়াত শুভ

- আপডেটের সময় : ০৯:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
- / ৫৫৬
রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী সরদার আমজাদ হোসেনের পুত্র সরদার সানিয়াত হোসেন শুভ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজশাহীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে সরদার সানিয়াত হোসেন শুভ বলেন, “আমি এমন এক পরিবারের সন্তান, যেখানে রাজনীতি মানে ছিল মানুষের সেবা, সততা আর অঙ্গীকারের প্রতিশ্রুতি।”
তিনি জানান, তাঁর পিতা সরদার আমজাদ হোসেন পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ সময় বাগমারার মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। “তিনি রাজনীতি করেছেন মানুষের চোখের জল মুছে, তাদের মুখে হাসি ফোটানোর বিশ্বাসে। তাঁর কাছ থেকেই আমি শিখেছি, রাজনীতি মানে ক্ষমতা নয়, এটি দায়িত্ব,” যোগ করেন শুভ।
রাজধানীর গুলশান থানা বিএনপির সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে যুক্ত শুভ বলেন, তরুণ প্রজন্মকে সংগঠিত করে তিনি রাজনীতিতে নতুন ধারা আনতে চান। তাঁর ভাষায়, “রাজনীতি মানে শুধু পদ নয় — এটি পরিবর্তনের প্ল্যাটফর্ম, এটি সেবার অঙ্গীকার।”
বিএনপির আদর্শের প্রতি আস্থা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতিকে আত্মনির্ভরতার পথে দাঁড় করিয়েছিলেন। সেই আদর্শ আজও ধারণ করছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যিনি গণতন্ত্রের জন্য আপসহীনভাবে লড়ে যাচ্ছেন। আর জননেতা তারেক রহমান সেই আদর্শকে নতুন প্রজন্মের ভাষায় অনুবাদ করেছেন তাঁর ৩১ দফা ‘নতুন বাংলাদেশ রূপরেখা’র মাধ্যমে।”
তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বিবিসি সাক্ষাৎকার উদ্ধৃত করে শুভ বলেন, “তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য মাঠে আছে, এবং আমি শিগগিরই জনগণের মাঝে ফিরব।’ এই বার্তা আমাদের মতো তরুণ রাজনীতিবিদদের নতুন সাহস দেয়।”
নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য তুলে ধরে সরদার সানিয়াত হোসেন শুভ বলেন, “আমি চাই বাগমারা হোক নতুন বাংলাদেশের প্রথম উদাহরণ — যেখানে কৃষক পাবে ন্যায্য মূল্য, নারী নিরাপদে নেতৃত্ব দেবে, প্রতিটি ঘরে পৌঁছাবে শিক্ষার আলো। উন্নয়ন হবে মানুষকেন্দ্রিক।”
তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন, “জননেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারও ন্যায়, জবাবদিহিতা ও আত্মসম্মানের পথে ফিরে আসবে।”
অনুষ্ঠানে শুভর মা ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যের শেষাংশে তিনি বলেন, “বাগমারার রাজনীতি ব্যক্তির নয়, জনগণের। আমি প্রস্তুত সেই যাত্রায় থাকতে — সততা, সাহস ও অঙ্গীকার নিয়ে।”