ঢাকা ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুমি ও রাহুলের ভালোবাসার গল্প : মোঃ বেল্লাল হাওলাদার

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৭:০৭:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১
  • / ১১২৬

গল্প

সুমি ও রাহুলের ভালোবাসার গল্প
মোঃ বেল্লাল হাওলাদার

পৃথিবীটা হচ্ছে গোল। তাই এই পৃথিবীতে কখন যে কার সাথে কিভাবে দেখা হয়ে যায় বলা খুব মুশকিল ফেসবুক বদৌলতে।

সুমি আর রাহুল এরা দু’জুন ফেসবুক ফ্রেন্ড। এক বছর হল তাদের এই বন্ধুত্ব। নিয়মিত ম্যাসেঞ্জার চ্যাটিং আর মাঝেমাঝে মোবাইলে কথা বলার মাধ্যমে তাদের এই বন্ধুত্ব। কথা বলতে বলতে একদিন সুমি রাহুলকে অনেক রিকুয়েষ্টে করে তার কয়েকটি ফটোও পেয়েছে। ফলে সুমিও কয়েকটি ফটো দিয়েছে রাহুলকে। এক বছরের এই বন্ধুত্বের ফাঁকে কখন যে সুমি রাহুলকে ভালোবেসেছে তা সে নিজেও বলতে পারেনা। এই ভালোবাসার কথা রাহুলকে বলবে, কিন্তু কীভাবে বলবে ভেবে পাচ্ছেনা। যদি রাগ করে তাহলে তো বন্ধুত্বের সম্পর্কটাও নষ্ট হয়ে যাবে। এই ভয়ে বলতে পারছেনা সুমির ভালোবাসার মনের কথাটা। হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলো যা বলার সামনাসামনিই বলবে তাকে। তখন যা হবার হবে….অবশ্য না বলবেনা। তাই একদিন দেখা করতে বললো রাহুলকে। কিন্তু সে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে কিছুতেই রাজি হল না। বলল, ‘কিছু দিন পর দেখা করবো আমি ফ্রি হয়ে।’ কি আর করা, দেখা করা হল না। কিন্তু কি আশ্চর্য! ঠিক একমাস পরে সুমি পাবলিক গাড়িতে চড়ে মামা বাড়ি যাচ্ছিলো আর বসে বসে ওর সাথে চ্যাটিং করছিলো।
সুমি রাহুলকে জিঞ্জেস করছে…

সুমি : তুমি কোথায়? কি করছ?
রাহুল : আমি নদীর পাড়ে বসে আছি। তুমি কি কর?
সুমি : আমি তো পুকুরপাড়ে শানের উপড়ে বসে আছি।

ঠিক যখন তাদের এই চ্যাটিং এই পর্যায়ে এমন সময় হঠাৎ সুমির পাশের সিটে একটি ছেলে এসে বসল। স্বভাব অনুযায়ী মোবাইল থেকে দৃষ্টি ঘুড়িয়ে ছেলেটির দিকে তাকিয়েই যেন আকাশ থেকে পড়লো সুমি। ছেলেটি তখনও মোবাইলে কারও সাথে চ্যটিংয়ে ব্যস্ত। এই ছেলেটির চেহারা রাহুল এর পাঠানো ফটোর সাথে পুরোপুরি মিল। কিন্তু সেতো এখন তার এলাকার নদীরপাড়ে বসে আছে বলল আমায়। ততক্ষণে ছেলেটিও সুমির দিকে বিষ্ফোরিত নয়নে তাকিয়ে আছে। কারও মুখেই যেন কোন ভাষা নেই। এমন এক অবস্থায় ওদের প্রথম দেখাটা হয়ে গেল।
দুজন একসাথেই বলে উঠলো…
তুমি………?
তুমি………?
তুমি না নদীর পাড়ে বসে আছো?
আর তুমি না বললে পুকুরপাড়ে বসে আছো?
কি আশ্চর্য প্রথম দেখাতেই লেগে গেল তুমুল ঝগড়া। তখন মুখ ফসকে সুমি বলে ফেললো, প্রথম দেখাতেই এভাবে ঝগড়া করে। তোমার মতো ছেলে আমি আর দেখিনি।

আগুনে যেন ঘি ঢালার কাজ করল কথাটায়। রাহুল বলল, জীবনে কয়টি ছেলের সাথে ফেসবুকে সম্পর্ক করে দেখা করেছো শুনি?

সুমি বলল, তোমার সাথেই প্রথম সম্পর্ক। তোমায় বড্ড ভালোবেসে ফেলেছি বিশ্বাস করো।

-না………করেছো তো, কারণ তোমার তো অভিজ্ঞতার শেষ নেই।

-আরে বল্লাম তো বিশ্বাস করো আমায়। আমি আর কারো সাথে দেখা করিনি।

কোন কিছুইতে রাহুল বিশ্বাস ও সুমির এতো ভালোবাসার কথা মেনে নিয়েও আবার মানতে পারছেনা। ভাবছে ভালোবাসার ছলনায় প্রতারণা করছে। সে বলল, আজকের পর আমার সাথে কোনো ধরনের কোনো যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবা না।

যথা আজ্ঞা হতভম্ব হয়ে বাসের সিটে বসে রইলো সুমি। মনে মনে ভাবছে রাহুল আমার সাথে আবারও যোগাযোগ করবে। কারণ ওর চোখে আমি আমার জন্যে ভালোবাসা দেখেছি। আমাকে ভালো না বাসলে ও আমার সাথে এভাবে ঝগড়া করত না।

যাই হোক শুরু হল আবার সুমির অপেক্ষার প্রহর। ফেসবুকে এখন আর আসে না রাহুল। কল দেয় কিন্তু মোবাইল বন্ধ । বুঝতে পারছেনা কিছু। কি হয়ে গেল!

এভাবে চলে গেল প্রায় কয়েক মাস। দিনে দিনে তার অস্থিরতা বাড়ছেই। অপেক্ষার প্রহর যে আর শেষ হয় না সুমির। ফেসবুকে ওর পোস্টকৃত ওর বন্ধুদের কমেন্ট চেক করে দেখছে কে কে ওর ভালো বন্ধু, তাদের ইনবক্সে গিয়ে অনেককে জিজ্ঞেস করলো ওর বাসার ঠিকানা কেউ জানে কিনা! কিন্তু কেউ জানেনা বলছে। কি যে করবে কিছুই বুঝতে পারছে না সুমি। একা একা প্রলাপ বকছে- জীবনে একটা ছেলেকে ভালবেসেছি। আর কোন ছেলেকে ভালোবাসব না বলে প্রতিক্ষা করেছি। কিন্তু যার জন্য এই সবকিছু তাকেই যদি জীবনে না পাই তাহলে কার জন্যে আমার এই ভালোবাসা?

দিনে দিনে সুমির স্বাস্থ্য খারাপ হতে লাগল। খাওয়া-দাওয়া করতে পারছেনা। রাহুলের ভাবনায় নির্ঘুম কাটে সারারাত। প্রায় মাস ছয়েক পর হঠাৎ একদিন রাহুল নামের আর একটি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার থেকে একটি লেখা আসলো। দেখে প্রথমে আনন্দিত ও ভালো লেগছে মুহূর্তের মধ্যে প্রাণটা ফিরে পেয়ে পড়া আরম্ভ করলো।

প্রিয় সুমি!
কেমন আছ? নিশ্চয় ভালো নেই আমাকে ছাড়া। দিন যায় রাত আসে আবার রাত যায় দিন আসে এভাবেই দিনের পর দিন অতিবাহিত হয়ে যায়। প্রতিদিনকার সূর্যের নতুন আলো দেখে মানুষ নতুনভাবে বাঁচতে শিখে। কিন্তু আমি পারিনা। কারণ আমি ভালো নেই শারীরকভাবে। মৃত্যু আমার অতি নিকটে। ডাক্তার আমাকে বলেছে আমি আর বেশিদিন বাঁচবোনা। জানো, এতে আমার কোনো দুঃখ নাই। কিন্তু দুঃখ লাগে আমার বাবা-মায়ের চেহারার দিকে তাকালেই। কষ্টে তখন আমার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরে তখন। আমি সব সময় চিন্তা করেছি, আমাকে ছাড়া আমার বাবা মাও একদিন বাঁচতে শিখে যাবে। কারণ আমি ছাড়া আরও আমার ভাইবোন আছে তাদের মাঝে থাকতে থাকতে আমায় ভুলে যাবে। কিন্তু যে মানুষটা আমাকে ভালোবেসে আমাকে জীবনসঙ্গী বানানোর জন্যে অপেক্ষায় আছে সেই মানুষটার কি হবে? সে তো একা হয়ে যাবে আমাকে ছাড়া। তাই সেটা ভেবে কখনোই আামার ভালোবাসা প্রকাশ করিনি। আমারও একটা ভালোবাসার মন আছে। কি করে তোমাকে বুজাবো বল।

তাই আজ আমি তোমার কাছে সব সত্য বলব। কিছুই লুকাবো না। সত্যিই আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। যা কখনোই আমি তোমাকে বুঝাতে পারিনি বা চাইনি। আমি চেয়েছিলাম, তুমি সুখে থাক। তাই তোমাকে ভালোবাসার কথা বলে তোমার মনে আশার আলো জাগিয়ে তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি।
ভালোবাসা অন্তরে। অন্তর দিয়ে ভালোবাসলে সেই ভালোবাসা সারাজীবন থেকে যায়। কষ্ট পেওনা প্লিজ। আমি ওই আকাশের তারা হয়ে সবসময় তোমাকে দেখবো। আর রাত জেগে আমরা গল্প করব।

লেখকঃ প্রকাশক, ধ্রুববাণী



নিউজটি শেয়ার করুন








সুমি ও রাহুলের ভালোবাসার গল্প : মোঃ বেল্লাল হাওলাদার

আপডেটের সময় : ০৭:০৭:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

সুমি ও রাহুলের ভালোবাসার গল্প
মোঃ বেল্লাল হাওলাদার

পৃথিবীটা হচ্ছে গোল। তাই এই পৃথিবীতে কখন যে কার সাথে কিভাবে দেখা হয়ে যায় বলা খুব মুশকিল ফেসবুক বদৌলতে।

সুমি আর রাহুল এরা দু’জুন ফেসবুক ফ্রেন্ড। এক বছর হল তাদের এই বন্ধুত্ব। নিয়মিত ম্যাসেঞ্জার চ্যাটিং আর মাঝেমাঝে মোবাইলে কথা বলার মাধ্যমে তাদের এই বন্ধুত্ব। কথা বলতে বলতে একদিন সুমি রাহুলকে অনেক রিকুয়েষ্টে করে তার কয়েকটি ফটোও পেয়েছে। ফলে সুমিও কয়েকটি ফটো দিয়েছে রাহুলকে। এক বছরের এই বন্ধুত্বের ফাঁকে কখন যে সুমি রাহুলকে ভালোবেসেছে তা সে নিজেও বলতে পারেনা। এই ভালোবাসার কথা রাহুলকে বলবে, কিন্তু কীভাবে বলবে ভেবে পাচ্ছেনা। যদি রাগ করে তাহলে তো বন্ধুত্বের সম্পর্কটাও নষ্ট হয়ে যাবে। এই ভয়ে বলতে পারছেনা সুমির ভালোবাসার মনের কথাটা। হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলো যা বলার সামনাসামনিই বলবে তাকে। তখন যা হবার হবে….অবশ্য না বলবেনা। তাই একদিন দেখা করতে বললো রাহুলকে। কিন্তু সে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে কিছুতেই রাজি হল না। বলল, ‘কিছু দিন পর দেখা করবো আমি ফ্রি হয়ে।’ কি আর করা, দেখা করা হল না। কিন্তু কি আশ্চর্য! ঠিক একমাস পরে সুমি পাবলিক গাড়িতে চড়ে মামা বাড়ি যাচ্ছিলো আর বসে বসে ওর সাথে চ্যাটিং করছিলো।
সুমি রাহুলকে জিঞ্জেস করছে…

সুমি : তুমি কোথায়? কি করছ?
রাহুল : আমি নদীর পাড়ে বসে আছি। তুমি কি কর?
সুমি : আমি তো পুকুরপাড়ে শানের উপড়ে বসে আছি।

ঠিক যখন তাদের এই চ্যাটিং এই পর্যায়ে এমন সময় হঠাৎ সুমির পাশের সিটে একটি ছেলে এসে বসল। স্বভাব অনুযায়ী মোবাইল থেকে দৃষ্টি ঘুড়িয়ে ছেলেটির দিকে তাকিয়েই যেন আকাশ থেকে পড়লো সুমি। ছেলেটি তখনও মোবাইলে কারও সাথে চ্যটিংয়ে ব্যস্ত। এই ছেলেটির চেহারা রাহুল এর পাঠানো ফটোর সাথে পুরোপুরি মিল। কিন্তু সেতো এখন তার এলাকার নদীরপাড়ে বসে আছে বলল আমায়। ততক্ষণে ছেলেটিও সুমির দিকে বিষ্ফোরিত নয়নে তাকিয়ে আছে। কারও মুখেই যেন কোন ভাষা নেই। এমন এক অবস্থায় ওদের প্রথম দেখাটা হয়ে গেল।
দুজন একসাথেই বলে উঠলো…
তুমি………?
তুমি………?
তুমি না নদীর পাড়ে বসে আছো?
আর তুমি না বললে পুকুরপাড়ে বসে আছো?
কি আশ্চর্য প্রথম দেখাতেই লেগে গেল তুমুল ঝগড়া। তখন মুখ ফসকে সুমি বলে ফেললো, প্রথম দেখাতেই এভাবে ঝগড়া করে। তোমার মতো ছেলে আমি আর দেখিনি।

আগুনে যেন ঘি ঢালার কাজ করল কথাটায়। রাহুল বলল, জীবনে কয়টি ছেলের সাথে ফেসবুকে সম্পর্ক করে দেখা করেছো শুনি?

সুমি বলল, তোমার সাথেই প্রথম সম্পর্ক। তোমায় বড্ড ভালোবেসে ফেলেছি বিশ্বাস করো।

-না………করেছো তো, কারণ তোমার তো অভিজ্ঞতার শেষ নেই।

-আরে বল্লাম তো বিশ্বাস করো আমায়। আমি আর কারো সাথে দেখা করিনি।

কোন কিছুইতে রাহুল বিশ্বাস ও সুমির এতো ভালোবাসার কথা মেনে নিয়েও আবার মানতে পারছেনা। ভাবছে ভালোবাসার ছলনায় প্রতারণা করছে। সে বলল, আজকের পর আমার সাথে কোনো ধরনের কোনো যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবা না।

যথা আজ্ঞা হতভম্ব হয়ে বাসের সিটে বসে রইলো সুমি। মনে মনে ভাবছে রাহুল আমার সাথে আবারও যোগাযোগ করবে। কারণ ওর চোখে আমি আমার জন্যে ভালোবাসা দেখেছি। আমাকে ভালো না বাসলে ও আমার সাথে এভাবে ঝগড়া করত না।

যাই হোক শুরু হল আবার সুমির অপেক্ষার প্রহর। ফেসবুকে এখন আর আসে না রাহুল। কল দেয় কিন্তু মোবাইল বন্ধ । বুঝতে পারছেনা কিছু। কি হয়ে গেল!

এভাবে চলে গেল প্রায় কয়েক মাস। দিনে দিনে তার অস্থিরতা বাড়ছেই। অপেক্ষার প্রহর যে আর শেষ হয় না সুমির। ফেসবুকে ওর পোস্টকৃত ওর বন্ধুদের কমেন্ট চেক করে দেখছে কে কে ওর ভালো বন্ধু, তাদের ইনবক্সে গিয়ে অনেককে জিজ্ঞেস করলো ওর বাসার ঠিকানা কেউ জানে কিনা! কিন্তু কেউ জানেনা বলছে। কি যে করবে কিছুই বুঝতে পারছে না সুমি। একা একা প্রলাপ বকছে- জীবনে একটা ছেলেকে ভালবেসেছি। আর কোন ছেলেকে ভালোবাসব না বলে প্রতিক্ষা করেছি। কিন্তু যার জন্য এই সবকিছু তাকেই যদি জীবনে না পাই তাহলে কার জন্যে আমার এই ভালোবাসা?

দিনে দিনে সুমির স্বাস্থ্য খারাপ হতে লাগল। খাওয়া-দাওয়া করতে পারছেনা। রাহুলের ভাবনায় নির্ঘুম কাটে সারারাত। প্রায় মাস ছয়েক পর হঠাৎ একদিন রাহুল নামের আর একটি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার থেকে একটি লেখা আসলো। দেখে প্রথমে আনন্দিত ও ভালো লেগছে মুহূর্তের মধ্যে প্রাণটা ফিরে পেয়ে পড়া আরম্ভ করলো।

প্রিয় সুমি!
কেমন আছ? নিশ্চয় ভালো নেই আমাকে ছাড়া। দিন যায় রাত আসে আবার রাত যায় দিন আসে এভাবেই দিনের পর দিন অতিবাহিত হয়ে যায়। প্রতিদিনকার সূর্যের নতুন আলো দেখে মানুষ নতুনভাবে বাঁচতে শিখে। কিন্তু আমি পারিনা। কারণ আমি ভালো নেই শারীরকভাবে। মৃত্যু আমার অতি নিকটে। ডাক্তার আমাকে বলেছে আমি আর বেশিদিন বাঁচবোনা। জানো, এতে আমার কোনো দুঃখ নাই। কিন্তু দুঃখ লাগে আমার বাবা-মায়ের চেহারার দিকে তাকালেই। কষ্টে তখন আমার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরে তখন। আমি সব সময় চিন্তা করেছি, আমাকে ছাড়া আমার বাবা মাও একদিন বাঁচতে শিখে যাবে। কারণ আমি ছাড়া আরও আমার ভাইবোন আছে তাদের মাঝে থাকতে থাকতে আমায় ভুলে যাবে। কিন্তু যে মানুষটা আমাকে ভালোবেসে আমাকে জীবনসঙ্গী বানানোর জন্যে অপেক্ষায় আছে সেই মানুষটার কি হবে? সে তো একা হয়ে যাবে আমাকে ছাড়া। তাই সেটা ভেবে কখনোই আামার ভালোবাসা প্রকাশ করিনি। আমারও একটা ভালোবাসার মন আছে। কি করে তোমাকে বুজাবো বল।

তাই আজ আমি তোমার কাছে সব সত্য বলব। কিছুই লুকাবো না। সত্যিই আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। যা কখনোই আমি তোমাকে বুঝাতে পারিনি বা চাইনি। আমি চেয়েছিলাম, তুমি সুখে থাক। তাই তোমাকে ভালোবাসার কথা বলে তোমার মনে আশার আলো জাগিয়ে তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি।
ভালোবাসা অন্তরে। অন্তর দিয়ে ভালোবাসলে সেই ভালোবাসা সারাজীবন থেকে যায়। কষ্ট পেওনা প্লিজ। আমি ওই আকাশের তারা হয়ে সবসময় তোমাকে দেখবো। আর রাত জেগে আমরা গল্প করব।

লেখকঃ প্রকাশক, ধ্রুববাণী