পর্যটক কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

- আপডেটের সময় : ০৪:১৪:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
- / ৬১৪
নিউজ রুমঃ সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় দিন দিন কমে যাচ্ছে পর্যটকের সংখ্যা। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আশানুরূপ পর্যটক না থাকায় অধিকাংশ হোটেল মোটেল খালি রয়েছে। করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় পর্যটকদের আনাগোনাও কমে গেছে। এই অবস্থা বিরাজ করলে ফের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে পর্যটন ব্যবসায়ীরা এমনটাই ধারনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের আগমন কম থাকলেও তারা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকেই ব্যবহার করেননি মাস্ক। তবে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ট্যুরিষ্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সৈকত এলাকায় বার বার মাইকিং করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করোনার সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে।
ফলে এখানকার পর্যটন ব্যবসায় চলছে মন্দাভাব। এতে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পরেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
আগত পর্যটক হবিব বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে কুয়াকাটায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসেছি। পরিবেশটা বেশ ভালোই লেগেছে।
তবে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় পর্যটক খুবই কম। আমারা দুই ডোজই ভ্যাকসিন নিয়েছি। এ কারণে সাহস করে কুয়াকাটায় এসেছি।
আবাসিক হোটেল ‘সমুদ্র বাড়ি রিসোটের্’র’ পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হোটেলে রুম বুকিং দেয়া হচ্ছে।
পর্যটক সংশ্লিষ্ট সংগঠন ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক’র সাধারণ সম্পাদক কে. এম জহির বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটা কম। এভাবে পর্যটকের সংখ্যা কমে গেলে ফের বড় লোকসানের মুখে পড়বেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিশেনের সাধারণ সম্পাদক মো.মোতালেব শরিফ বলেন, করোনা প্রভাবে আশানুরুপ পর্যটক নেই। কোন হোটেলের দুই একটি রুম বুকিং হয়েছে। আবার কোন হোটেল একবারেই খালি রয়েছে। তবে অধিকাংশ হোটেল পর্যটক শূন্য। এর ফলে হোটেল মোটেল মালিকরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবদুল খালেক বলেন, পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানা, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে মাইকিং করা হচ্ছে।