ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলাপাড়ায় প্রতারণার ফাঁদে এক কলেজ ছাত্রী

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৯:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৬২২
এস এম আলমগীর হোসেন, কলাপাড়া : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রতারকের খপ্পড়ে পড়ে মোসা. আসমা বেগম (২৪) নামে এক কলেজ ছাত্রীর তিন লক্ষ তেইশ  হাজার সাতশত টাকা খোয়া গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়া পৌরশহরের ফেরিঘাট এলাকার রুক টেলিকম সেন্টার থেকে ওই টাকা বিকাশ করার পর সাথে সাথে টাকা গ্রহণকারী তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ করে দেয়ায় প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ঘটনা  বিকেলের দিকে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বিষয়টি এলাকায় টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়। আসমা বেগম বরগুনার আমতলী সরকারী কলেজের ডিগ্রি শেষ পর্বের ছাত্রী। সে আমতলী উপজেলার সেকেন্দারখালী গ্রামের বাবুল হাওলাদারের মেয়ে।
প্রতরণার শিকার আসমা বেগম জানান, তাকে সোমবার দুপুরে ০১৮৯৪২৮১০৪৪ থেকে মোবাইল করে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পরিচয় দিয়ে উপবৃত্তি বাবদ তাকে ১০ লাখ টাকা প্রদান করবে বলে আশ্বাস দেন। তবে তাকে চার লক্ষ টাকা পাঠাতে হবে বলে শর্ত জুরে দেয়। আসমা সরল বিশ্বাসে রুক টিলিকম সেন্টার থেকে ৯ টি নাম্বারে ৩ লক্ষ ২৩  হাজার ৭০০ টাকা বিকাশ করে। পরক্ষনে ১০ লাখ টাকা আসবে বলে রুক টেলিকম সেন্টারে  প্রদেয় টাকা পরিশোধ করে দেবে। টাকা সেন্ট হওয়ার পরপরই প্রতারকের মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ করে দেয় । পরে ওই ছাত্রীকে রুক টেলিকমের মালিক সুব্রত আটকে রেখে পৌরসভার ১ নাম্বার ওযার্ডের কাউন্সিলর মো. তারিকুজ্জামান তারেকের জিম্মায় রাখে।
কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান তারেক জানান, ছাত্রীর অভিভাবকদের খবর দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। টাকা পরিশোধ করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে । নতুবা আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রুক টিলিকমের মালিক সুব্রত ঘরামী জানান, টাকা সেন্ট করার পর তার বোধগম্য হয়। তবে মহিলা সাথে সাথে পরিশোধ করবে বলে বিশ্বাস করে ওই  টাকা সেন্ট করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।



নিউজটি শেয়ার করুন








কলাপাড়ায় প্রতারণার ফাঁদে এক কলেজ ছাত্রী

আপডেটের সময় : ০৯:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২
এস এম আলমগীর হোসেন, কলাপাড়া : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রতারকের খপ্পড়ে পড়ে মোসা. আসমা বেগম (২৪) নামে এক কলেজ ছাত্রীর তিন লক্ষ তেইশ  হাজার সাতশত টাকা খোয়া গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়া পৌরশহরের ফেরিঘাট এলাকার রুক টেলিকম সেন্টার থেকে ওই টাকা বিকাশ করার পর সাথে সাথে টাকা গ্রহণকারী তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ করে দেয়ায় প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ঘটনা  বিকেলের দিকে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বিষয়টি এলাকায় টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়। আসমা বেগম বরগুনার আমতলী সরকারী কলেজের ডিগ্রি শেষ পর্বের ছাত্রী। সে আমতলী উপজেলার সেকেন্দারখালী গ্রামের বাবুল হাওলাদারের মেয়ে।
প্রতরণার শিকার আসমা বেগম জানান, তাকে সোমবার দুপুরে ০১৮৯৪২৮১০৪৪ থেকে মোবাইল করে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পরিচয় দিয়ে উপবৃত্তি বাবদ তাকে ১০ লাখ টাকা প্রদান করবে বলে আশ্বাস দেন। তবে তাকে চার লক্ষ টাকা পাঠাতে হবে বলে শর্ত জুরে দেয়। আসমা সরল বিশ্বাসে রুক টিলিকম সেন্টার থেকে ৯ টি নাম্বারে ৩ লক্ষ ২৩  হাজার ৭০০ টাকা বিকাশ করে। পরক্ষনে ১০ লাখ টাকা আসবে বলে রুক টেলিকম সেন্টারে  প্রদেয় টাকা পরিশোধ করে দেবে। টাকা সেন্ট হওয়ার পরপরই প্রতারকের মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ করে দেয় । পরে ওই ছাত্রীকে রুক টেলিকমের মালিক সুব্রত আটকে রেখে পৌরসভার ১ নাম্বার ওযার্ডের কাউন্সিলর মো. তারিকুজ্জামান তারেকের জিম্মায় রাখে।
কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান তারেক জানান, ছাত্রীর অভিভাবকদের খবর দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। টাকা পরিশোধ করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে । নতুবা আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রুক টিলিকমের মালিক সুব্রত ঘরামী জানান, টাকা সেন্ট করার পর তার বোধগম্য হয়। তবে মহিলা সাথে সাথে পরিশোধ করবে বলে বিশ্বাস করে ওই  টাকা সেন্ট করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।