বিশেষ প্রতিবেদক ॥ শুক্রবার শেষ বিকালে শীতের হালকা কুয়াশায় পশ্চিমাকাশে ডুবে গেছে সূর্য। ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে বিদায় নিয়েছে ২০২১ সাল। স্মৃতি হয়ে গেছে ৩৬৫ দিন, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ১২ টি মাস, ২০২১ সাল। সফলতা-ব্যর্থতার হিসাব ভুলে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা সকলের। বিদায় বেদনার মাঝে শনিবার প্রভাতে পূর্বাকাশে নতুন সূর্য ওঠার প্রতীক্ষা। হবে ২০২২ সালের শুভ সূচনা। ৩১ ডিসেম্বর রাতে ২০২২ সালকে স্বাগত জানাতে পালন করা হবে থার্টি ফার্স্ট নাইট। নাইটটি উদযাপন উপলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে নেমেছে হাজার হাজার পর্যটক।

পর্যটন নগরী সাগরকন্যা কুয়াকাটায় শীতের হিমেল গোধূলি লগ্নে বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় আর নতুন বছরের প্রভাতের সূর্যোদয়কে স্বাগত জানিয়েছে পর্যটকরা। পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত কুয়াকাটা সৈকতসহ সকল দর্শনীয় স্থান। পর্যটকদের আতিথেয়তা দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে পর্যটন ব্যবসায়ী আর টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্যের হাতছানি ভ্রমণ বিলাসী মানুষকে বারবার টেনে আনে সমুদ্রের কাছে। প্রতিবছর শীতের আগমনে পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। বিজয় দিবস, বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষের ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে প্রকৃতি আর সমুদ্রপ্রেমী মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সাগরকন্যার দীর্ঘ বেলাভূমি।

পুরানো বছরকে বিদায় আর ইংরেজি নতুন বছরকে বরণে হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণায় এখন মুখরিত কুয়কাটা সমুদ্র সৈকত। সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে ভোরের সূর্যোদয় আর গোধূলি বেলার সূর্যাস্ত দেখে বিমোহিত পর্যটকরা। দর্শনীয় স্থানসহ পর্যটনমুখী ক্ষুদ্রব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়। কুয়াকাটার নিরাপত্তা আর আতিথেয়তায় মুগ্ধ পর্যটক।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন’র সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০২১ সালের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে দেশী পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশী শতাধিক পর্যটক এসেছে। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি আমরাও সতর্ক রয়েছি। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পর্যটক রাখছি।

টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ দর্শনীয় স্থানে টুরিস্ট পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে পূর্ব দিকে গঙ্গামতি এবং পশ্চিম দিকে লেম্বুর বন পর্যন্ত আমাদের সদস্যরা টহলে আছে।