ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের দোকানগুলো তে বেচাবিক্রি নেই বললেই চলে

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১০:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৬২১

এইচ.এম.আল-আমিন,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সারাদেশের মতো মেঘনা উপকূলীয় জনপদ লক্ষ্মীপুরেও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মাঝে মাঝারি ধরণের বৃষ্টিও হয়েছে জেলাব্যাপী। টানা বৃষ্টির কারণে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী থেকে দক্ষিণ তেমুহনী রিকশা দিয়ে অতিক্রম করতে ৫ মিনিট সময় ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু অন্যদিন যানজটে লক্ষ্মীপুর বাজার সংযোগ সড়কটি অতিক্রম করতে আধাঘন্টার বেশি সময় লাগতো। এদিকে বৃষ্টির কারণে বাজারে মানুষের পদচারণা কম।

এতে দোকানপাটগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি নেই। তবে সকাল থেকেই মালিক ও কর্মচারীরা ক্রেতাশূন্য দোকানে বসে আছে। বেচাবিক্রি নেই বললেই চলে। নিম্নআয়ের মানুষ সকাল থেকেই কাজে বের হতে পারেননি। গত তিন দিনের টানা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুর শহর যেন শুনশান হয়ে পড়েছে। রিকশাচালকসহ নিম্নআয়ের মানুষ ঘরে কিংবা পাড়ার চায়ের দোকানে আড্ডা জমিয়েছে। আজ (৭ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে এসে এমন চিত্র দেখা যায়। কলেজ রোড এলাকার রিকশাচালক আলাউদ্দিন ও আবদুল মান্নান জানান, গতকালও (রোববার) সারাদিন বৃষ্টি ছিল।

রাস্তায় মানুষজন কম থাকায় ভাড়া নেই। তাই আজ রিকশা বের করেননি তারা। বাড়ির সামনের দোকানে চা খেতে এসেছেন। এখানেই একই পেশার সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডাতেই এখন তারা সময় কাটাচ্ছেন। চকবাজার এলাকায় রিকশা চালক শাহ আলম বলেন, বৃষ্টি উপক্ষো করেই সকালে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। কিন্তু ভাড়া খুবই কম। সকাল থেকে মাত্র দেড়শ টাকার উপার্জন হয়েছে। অন্যদিন প্রায় ২ থেকে আড়াইশ টাকা উপার্জন হতো। চকবাজার এলাকার কসমেটিকস দোকানের কর্মচারী নূর মোহাম্মদ বলেন, প্রতিদিনের মতো সকাল ১০ টায় দোকান খুলেছি। কাস্টমারই নেই।

বেচাবিক্রিও নেই। দুই-একজন কাস্টমার এসে ছাতা খোঁজ করেছে। কিন্তু বিক্রি করতে পারিনি। উত্তর তেমুহনী থেকে দক্ষিণ তেমহুনীতে যেতে রিকশার যানজটে ঘন্টাখানিক সময় লাগতো। সেখানে এখন ৫ মিনিটের বেশি সময় লাগে না। বাজার কিছুক্ষণ পরই জনশূন্য হয়ে পড়বে মনে হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর পৌর আধুনিক বিপনী বিতানের পোশাক ব্যবসায়ী আহমেদ রাব্বি বলেন, যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে মনে হয়েছে শীত বাড়বে। শীতের পোশাক বিক্রিও ভালো হবে। কিন্তু সকাল থেকে এখনো কিছু বিক্রি করতে পারিনি। খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হবে।



নিউজটি শেয়ার করুন








ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের দোকানগুলো তে বেচাবিক্রি নেই বললেই চলে

আপডেটের সময় : ১০:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

এইচ.এম.আল-আমিন,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সারাদেশের মতো মেঘনা উপকূলীয় জনপদ লক্ষ্মীপুরেও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মাঝে মাঝারি ধরণের বৃষ্টিও হয়েছে জেলাব্যাপী। টানা বৃষ্টির কারণে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী থেকে দক্ষিণ তেমুহনী রিকশা দিয়ে অতিক্রম করতে ৫ মিনিট সময় ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু অন্যদিন যানজটে লক্ষ্মীপুর বাজার সংযোগ সড়কটি অতিক্রম করতে আধাঘন্টার বেশি সময় লাগতো। এদিকে বৃষ্টির কারণে বাজারে মানুষের পদচারণা কম।

এতে দোকানপাটগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি নেই। তবে সকাল থেকেই মালিক ও কর্মচারীরা ক্রেতাশূন্য দোকানে বসে আছে। বেচাবিক্রি নেই বললেই চলে। নিম্নআয়ের মানুষ সকাল থেকেই কাজে বের হতে পারেননি। গত তিন দিনের টানা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুর শহর যেন শুনশান হয়ে পড়েছে। রিকশাচালকসহ নিম্নআয়ের মানুষ ঘরে কিংবা পাড়ার চায়ের দোকানে আড্ডা জমিয়েছে। আজ (৭ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে এসে এমন চিত্র দেখা যায়। কলেজ রোড এলাকার রিকশাচালক আলাউদ্দিন ও আবদুল মান্নান জানান, গতকালও (রোববার) সারাদিন বৃষ্টি ছিল।

রাস্তায় মানুষজন কম থাকায় ভাড়া নেই। তাই আজ রিকশা বের করেননি তারা। বাড়ির সামনের দোকানে চা খেতে এসেছেন। এখানেই একই পেশার সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডাতেই এখন তারা সময় কাটাচ্ছেন। চকবাজার এলাকায় রিকশা চালক শাহ আলম বলেন, বৃষ্টি উপক্ষো করেই সকালে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। কিন্তু ভাড়া খুবই কম। সকাল থেকে মাত্র দেড়শ টাকার উপার্জন হয়েছে। অন্যদিন প্রায় ২ থেকে আড়াইশ টাকা উপার্জন হতো। চকবাজার এলাকার কসমেটিকস দোকানের কর্মচারী নূর মোহাম্মদ বলেন, প্রতিদিনের মতো সকাল ১০ টায় দোকান খুলেছি। কাস্টমারই নেই।

বেচাবিক্রিও নেই। দুই-একজন কাস্টমার এসে ছাতা খোঁজ করেছে। কিন্তু বিক্রি করতে পারিনি। উত্তর তেমুহনী থেকে দক্ষিণ তেমহুনীতে যেতে রিকশার যানজটে ঘন্টাখানিক সময় লাগতো। সেখানে এখন ৫ মিনিটের বেশি সময় লাগে না। বাজার কিছুক্ষণ পরই জনশূন্য হয়ে পড়বে মনে হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর পৌর আধুনিক বিপনী বিতানের পোশাক ব্যবসায়ী আহমেদ রাব্বি বলেন, যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে মনে হয়েছে শীত বাড়বে। শীতের পোশাক বিক্রিও ভালো হবে। কিন্তু সকাল থেকে এখনো কিছু বিক্রি করতে পারিনি। খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হবে।