ঢাকা ০৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহেশখালীর কোহেলিয়া নদীর তীর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার!

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১১:৫৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১
  • / ৭৬৪

সাজ্জাদ হোসাইন সাজু, মহেশখালী প্রতিনিধিঃ মহেশখালীর মাতার বাড়ি ইউনিয়নের উত্তর রাজঘাট রশিদিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কোহেলিয়া নদীর তীর থেকে গতরাতে এক ব্যক্তির লাশের উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহকে এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে বলে অবহিত করলে তিনিসহ পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

লাশটি প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করেন উত্তর রাজঘাট এলাকার বাসিন্দা বাপ্পি (নিহত ব্যক্তির খালাতো ভাই) নিহত ব্যক্তির নাম একরাম (২৯) পিতা আবদুস সত্তার, কালামার ছড়া উত্তর নলবিলার বাসিন্দা।

নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা বলেন, পূর্বের শত্রুতার জের ধরে একরামকে একদল সন্ত্রাসী পরিকল্পিত ভাবেহত্যা করে।

নিহত ব্যক্তির একাধিক মামলা থাকায়, কয়েক বছর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে একরাম আত্মসমর্পণ করেন। জামিন মঞ্জুর হওয়ায় নিহত একরাম সাধারণভাবে জীবন যাপন করেন।

স্থানীয় বাসিন্দের ভাস্যমতে, কিছুদিন আগে কবির সন্ত্রাসী নামে এক লোক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। কবির মনে করেন সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার কারণ ছিল একরাম। একরাম ও কবির দুজনই আগে একই গ্যাংয়ে কাজ করত, কবির কারাগার থেকে মুক্তির পর, একরামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন বলে তারা অভিযোগ করেন।

আজ সকালে কবিরকে সন্দেহজনক ভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। বর্তমানে কবির মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

মহেশখালী থানার এক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘদিন ধরে উত্তর নলবিলার সিন্ডিকেট অনুযায়ী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়।

তিনি আরও বলেন, একরাম আত্মসমর্পণের পর থেকে সাধারণভাবে জীবন যাপন করেন। যারা আত্মসমর্পণ করেনি তাদের শত্রুতার জের ধরে একরামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে। যারা এই খুনের সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের অভিযান চলমান থাকবে।



নিউজটি শেয়ার করুন








মহেশখালীর কোহেলিয়া নদীর তীর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার!

আপডেটের সময় : ১১:৫৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১

সাজ্জাদ হোসাইন সাজু, মহেশখালী প্রতিনিধিঃ মহেশখালীর মাতার বাড়ি ইউনিয়নের উত্তর রাজঘাট রশিদিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কোহেলিয়া নদীর তীর থেকে গতরাতে এক ব্যক্তির লাশের উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহকে এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে বলে অবহিত করলে তিনিসহ পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

লাশটি প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করেন উত্তর রাজঘাট এলাকার বাসিন্দা বাপ্পি (নিহত ব্যক্তির খালাতো ভাই) নিহত ব্যক্তির নাম একরাম (২৯) পিতা আবদুস সত্তার, কালামার ছড়া উত্তর নলবিলার বাসিন্দা।

নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা বলেন, পূর্বের শত্রুতার জের ধরে একরামকে একদল সন্ত্রাসী পরিকল্পিত ভাবেহত্যা করে।

নিহত ব্যক্তির একাধিক মামলা থাকায়, কয়েক বছর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে একরাম আত্মসমর্পণ করেন। জামিন মঞ্জুর হওয়ায় নিহত একরাম সাধারণভাবে জীবন যাপন করেন।

স্থানীয় বাসিন্দের ভাস্যমতে, কিছুদিন আগে কবির সন্ত্রাসী নামে এক লোক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। কবির মনে করেন সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার কারণ ছিল একরাম। একরাম ও কবির দুজনই আগে একই গ্যাংয়ে কাজ করত, কবির কারাগার থেকে মুক্তির পর, একরামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন বলে তারা অভিযোগ করেন।

আজ সকালে কবিরকে সন্দেহজনক ভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। বর্তমানে কবির মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

মহেশখালী থানার এক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘদিন ধরে উত্তর নলবিলার সিন্ডিকেট অনুযায়ী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়।

তিনি আরও বলেন, একরাম আত্মসমর্পণের পর থেকে সাধারণভাবে জীবন যাপন করেন। যারা আত্মসমর্পণ করেনি তাদের শত্রুতার জের ধরে একরামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে। যারা এই খুনের সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের অভিযান চলমান থাকবে।