ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধানের আড়ৎগুলোয় কর্মব্যস্ততা শুরু, আশানুরূপ দর পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে!

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১২:৪২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
  • / ৬৪৬

ইমাম হোসেন হিমেল, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ সবুজের মাঠ ভরে গেছে সোনালী রঙে। আর এই রঙ লেগেছে কৃষক কৃষাণিদের মনেও। দীর্ঘ সময়ে ধারদেনা করে ডুবুডুবু ছিলেন তারা। চারা রোপণ থেকে শুরু করে সার-কীটনাশকে বেশ টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়াও দ্রব্যমূল্য চড়া থাকায় দোকানপাটে যাওয়াই কষ্টের হয়ে গিয়েছিলো।

তবে এখন সোনালী ধানের ছড়া স্বপ্ন দেখাচ্ছে কৃষকদের। আড়ৎগুলোতেও চলছে পরিস্কার পরিচন্নতার কাজ। কৃষকরাও আড়ৎ থেকে টাকা নিয়ে শোধ করছে ধারদেনা, কেনা কাটায় সরগরম হয়ে উঠছে পাড়া মহল্লার দোকানপাট গুলো।

লকডাউনের পর থেকেই আর্থিক সংকটে পড়ে গিয়েছিল গ্রাম-গঞ্জের মানুষজন, ঝিমিয়ে পড়েছিলো পাড়া-মহল্লার দোকানপাট গুলো। তবে এখন বেচা কেনায় ব্যাস্ত সময় সময় পাড় করছেন হোটেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানদাররা।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবছর ধানের ফলনে খুশি কৃষকরা, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন বেশি। আর মণ প্রতি ১০০০ টাকার বেশি দাম থাকায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা।

চা ব্যবসায়ী মাসুম জানান, দীর্ঘদিন মানুষের কাছে টাকা না থাকায় দোকানপাট গুলো বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল। তবে এখন কিছু মানুষজন আসে দোকানে। সামনে আরও ভালো বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।

কৃষক হাবিব খাঁন বলেন, দীর্ঘসময় ধরে টাকা-পয়সার সংকটে ছিলাম। চারা রোপণ থেকে শুরু করে সার-কীটনাশক বাজারের লাগামহীন পণ্যের দামে জনজীবন থমকে গিয়েছিল। তবে এখন ধানের আড়ৎ থেকে অল্প পরিসরে টাকা এনে কিছুটা ধার শোধ করেছি।

আড়ৎদার দেলোয়ার মৃরা বলেন, কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ও ধুলাসার ইউনিয়নে নয়াকাটা ও সোনখোলা থেকে বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার বস্তা ধান বিভিন্ন অঞ্চলে নেওয়া হয়। আমরা বাজার দর যাচাই করে কৃষকদের টাকা দিচ্ছি।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, এবছর উপজেলায় মোট ৩৪০০০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। ধানের ফলন বেশি থাকায় কৃষকরা লাভবান হবেন।



নিউজটি শেয়ার করুন








ধানের আড়ৎগুলোয় কর্মব্যস্ততা শুরু, আশানুরূপ দর পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে!

আপডেটের সময় : ১২:৪২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১

ইমাম হোসেন হিমেল, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ সবুজের মাঠ ভরে গেছে সোনালী রঙে। আর এই রঙ লেগেছে কৃষক কৃষাণিদের মনেও। দীর্ঘ সময়ে ধারদেনা করে ডুবুডুবু ছিলেন তারা। চারা রোপণ থেকে শুরু করে সার-কীটনাশকে বেশ টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়াও দ্রব্যমূল্য চড়া থাকায় দোকানপাটে যাওয়াই কষ্টের হয়ে গিয়েছিলো।

তবে এখন সোনালী ধানের ছড়া স্বপ্ন দেখাচ্ছে কৃষকদের। আড়ৎগুলোতেও চলছে পরিস্কার পরিচন্নতার কাজ। কৃষকরাও আড়ৎ থেকে টাকা নিয়ে শোধ করছে ধারদেনা, কেনা কাটায় সরগরম হয়ে উঠছে পাড়া মহল্লার দোকানপাট গুলো।

লকডাউনের পর থেকেই আর্থিক সংকটে পড়ে গিয়েছিল গ্রাম-গঞ্জের মানুষজন, ঝিমিয়ে পড়েছিলো পাড়া-মহল্লার দোকানপাট গুলো। তবে এখন বেচা কেনায় ব্যাস্ত সময় সময় পাড় করছেন হোটেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানদাররা।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবছর ধানের ফলনে খুশি কৃষকরা, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন বেশি। আর মণ প্রতি ১০০০ টাকার বেশি দাম থাকায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা।

চা ব্যবসায়ী মাসুম জানান, দীর্ঘদিন মানুষের কাছে টাকা না থাকায় দোকানপাট গুলো বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল। তবে এখন কিছু মানুষজন আসে দোকানে। সামনে আরও ভালো বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।

কৃষক হাবিব খাঁন বলেন, দীর্ঘসময় ধরে টাকা-পয়সার সংকটে ছিলাম। চারা রোপণ থেকে শুরু করে সার-কীটনাশক বাজারের লাগামহীন পণ্যের দামে জনজীবন থমকে গিয়েছিল। তবে এখন ধানের আড়ৎ থেকে অল্প পরিসরে টাকা এনে কিছুটা ধার শোধ করেছি।

আড়ৎদার দেলোয়ার মৃরা বলেন, কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ও ধুলাসার ইউনিয়নে নয়াকাটা ও সোনখোলা থেকে বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার বস্তা ধান বিভিন্ন অঞ্চলে নেওয়া হয়। আমরা বাজার দর যাচাই করে কৃষকদের টাকা দিচ্ছি।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, এবছর উপজেলায় মোট ৩৪০০০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। ধানের ফলন বেশি থাকায় কৃষকরা লাভবান হবেন।