অসীম সৌন্দর্যের লীলাভূমি ‘শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত’ হতে পারে সম্ভবনাময় পর্যটনকেন্দ্র

- আপডেটের সময় : ০১:৩১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১
- / ৬৪৭
এইচ এম মাইনুল ইসলাম টিটু, তালতলী ঘুরে : দেশের সর্বদক্ষিণের উপকূলীয় জেলা বরগুনার তালতলী উপজেলা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া এলাকায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে খড়স্রোতা পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর মোহনায় গড়ে ওঠা শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের মনোরম পরিবেশ, নদীর ঢেউ আর বাহারি গাছ সবাইকে মুগ্ধ করে।
দক্ষিণের খোলা বাতাস বাহারি গাছগুলোকে স্পর্শ করে যাচ্ছে পরম আবেশে। খোলা বাতাসের ছোঁয়ায় প্রেমিকার উড়ন্ত চুলের মতো দুলছে গাছগুলো। এ যেন পর্যটকের হাতছানি। বিশাল জলরাশির দিকে দৃষ্টি গেলে নিমিশেই যে কারোই মন জুড়িয়ে যায়। ঢেউয়ের তোড়ে হেলেদুলে নদীতে মাছ শিকার করে জেলেরা। শীতল বাতাস ও নদীর ঢেউ এসে আকৃষ্ট করে ঘুরতে আসা পর্যটন প্রেমীদের হৃদয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নদী ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে ‘শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত।’ তবে সৈকত রক্ষায় দায়িত্বশীলদের কার্যক্রম তেমন চোখে পড়েনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু উত্তোলনসহ নানা কারণে হুমকির মুখে ‘শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত।’ ভূমিক্ষয় হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে শতশত একর বনভূমি। নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলেই এমন বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সৈকত ভাঙনরোধে কার্যকারী পদক্ষেপ, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, আবাসিক হোটেল-মোটেল নির্মাণ এবং পর্যটন সুবিধা দিলে বছরজুড়ে পর্যটক মুখর থাকবে এই বেলাভূমি। মনোমুগ্ধকর এই সৈকতটি সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা, সরকারের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতাই পারে পর্যটকপ্রেমীদের স্বপ্নপুরীতে পরিণত করতে।