ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলছে বালু কাটার মহোৎসব, হুমকির মুখে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত (ভিডিও সহ)

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৫:২৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১
  • / ৮২১

রিপোর্ট- মাইনুদ্দিন আল আতিক ও এইচ এম মাইনুল ইসলাম টিটু ॥ পটুয়াখালীর সাগরকন্যা খ্যাত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ফ্রি স্টাইলে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। সরকারি বিধিমালা না মেনেই কখনো ড্রেজার মেশিন দিয়ে, আবার কখনো শ্রমিক দিয়ে কেটে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে সৈকত যেমন হুমকির মুখে পড়ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও। তবে এব্যাপারে কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি কিংবা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তারা রয়েছেন নিরব ভূমিকায়। ফলে বন্ধ হচ্ছে না সৈকতের বালু কাটার এই মহোৎসব।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা দেখা যায়, শ্রমিকরা সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে বালু কেটে বস্তায় ভর্তি করছে। এতে জিরো পয়েন্টসহ আশেপাশে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগে পড়ছেন পর্যটকরা। এছাড়া কংক্রিটের আস্তরণ ও বালুর বস্তা যেখানে সেখানে এলোপাথাড়ি পরে রয়েছে।

ফলে কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু হওয়ায় পর্যটকসহ স্থানীয়দের হাঁটা-চলা করতে পা ফেলতে হয় ওজন মেপে। না হয় যে কোনো সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। তাই স্থানীয় সচেতন মহলসহ পর্যটকরা সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে সৈকত থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক সুমন, সজিব, লিপিসহ কয়েকজন ধ্রুববাণীকে জানান, সৈকতের অবস্থা খুবই খারাপ। গর্ত ও কংক্রিটের আস্তরণ থাকায় তারা রিস্ক নিয়ে হাঁটা-চলা করছেন। এছাড়া এই কংক্রিটের আস্তরণ পরে থাকায় জোয়ারের সময় গোসল করতেও ভয় পাচ্ছেন তারা। সৈকতের অবস্থা এরকম হলে পরবর্তীতে পর্যটকরা আগ্রহ হারাবে বলেও জানান তারা।

এবিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঢেউয়ের তাণ্ডবে সমুদ্র সৈকত দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে সমুদ্র সৈকত হুমকির মুখে পড়েছে। তাছাড়া ছোট ছোট ডোবার সৃষ্টি হওয়ায় ও কংক্রিটের আস্তরণ পরে থাকায় হাঁটা-চলা করতে পা ফেলতে হয় হিসেব কষে।

বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোঃ শহিদুল হক জানান, বালু কাটা বন্ধের ব্যাপারে তিনি পাউবো’র প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলেছেন এবং সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।



নিউজটি শেয়ার করুন








চলছে বালু কাটার মহোৎসব, হুমকির মুখে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত (ভিডিও সহ)

আপডেটের সময় : ০৫:২৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১

রিপোর্ট- মাইনুদ্দিন আল আতিক ও এইচ এম মাইনুল ইসলাম টিটু ॥ পটুয়াখালীর সাগরকন্যা খ্যাত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ফ্রি স্টাইলে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। সরকারি বিধিমালা না মেনেই কখনো ড্রেজার মেশিন দিয়ে, আবার কখনো শ্রমিক দিয়ে কেটে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে সৈকত যেমন হুমকির মুখে পড়ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও। তবে এব্যাপারে কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি কিংবা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তারা রয়েছেন নিরব ভূমিকায়। ফলে বন্ধ হচ্ছে না সৈকতের বালু কাটার এই মহোৎসব।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা দেখা যায়, শ্রমিকরা সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে বালু কেটে বস্তায় ভর্তি করছে। এতে জিরো পয়েন্টসহ আশেপাশে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগে পড়ছেন পর্যটকরা। এছাড়া কংক্রিটের আস্তরণ ও বালুর বস্তা যেখানে সেখানে এলোপাথাড়ি পরে রয়েছে।

ফলে কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু হওয়ায় পর্যটকসহ স্থানীয়দের হাঁটা-চলা করতে পা ফেলতে হয় ওজন মেপে। না হয় যে কোনো সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। তাই স্থানীয় সচেতন মহলসহ পর্যটকরা সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে সৈকত থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক সুমন, সজিব, লিপিসহ কয়েকজন ধ্রুববাণীকে জানান, সৈকতের অবস্থা খুবই খারাপ। গর্ত ও কংক্রিটের আস্তরণ থাকায় তারা রিস্ক নিয়ে হাঁটা-চলা করছেন। এছাড়া এই কংক্রিটের আস্তরণ পরে থাকায় জোয়ারের সময় গোসল করতেও ভয় পাচ্ছেন তারা। সৈকতের অবস্থা এরকম হলে পরবর্তীতে পর্যটকরা আগ্রহ হারাবে বলেও জানান তারা।

এবিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঢেউয়ের তাণ্ডবে সমুদ্র সৈকত দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে সমুদ্র সৈকত হুমকির মুখে পড়েছে। তাছাড়া ছোট ছোট ডোবার সৃষ্টি হওয়ায় ও কংক্রিটের আস্তরণ পরে থাকায় হাঁটা-চলা করতে পা ফেলতে হয় হিসেব কষে।

বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোঃ শহিদুল হক জানান, বালু কাটা বন্ধের ব্যাপারে তিনি পাউবো’র প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলেছেন এবং সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।