ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমতলীর আঠারোগাছিয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা উদযাপন, পাননি সরকারি অনুদান

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০১:০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১
  • / ৬৫৫

এইচ এম মোশারেফ হোসেন সুজন, স্টাফ রিপোর্টারঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নে উত্তর সোনাখালি হরেকেন্ত সুকুরের বাড়িতে শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হয়েছে। এ ইউনিয়নে মোট চারটি পূজামণ্ডপে উৎসব হয়ে থাকে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এ অনুষ্ঠান। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এ পূজা হিন্দুরা ধর্মীয় আচার ও নিয়ম মাফিক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করে থাকে। ধনী-গরীব নির্বিশেষে হিন্দু নর-নারী শিশু বৃদ্ধ সবাই নতুন সাজে সজ্জিত হয়। দেবীকে দেখার জন্য মন্দিরে মন্দিরে গমন করে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠে সকলে। বাংলার প্রতিটি হিন্দু প্রদান এলাকায় দেখা দেয় আনন্দের কোলাহল। মন্দিরে মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। প্রকৃতি দেবী এ রমণীয় মূর্তি ধারণ করেন, দূর্গা মূলত শক্তির দেবী।

এই দূর্গা পুজোমন্ডপে আনুষ্ঠানিকভাবে হঠাৎ প্রয়োজন, চাউল, দুর্বা, ফুল, চন্দন, ফল-মুল প্রভৃতি উপকরণ দিয়ে দেবীর পূজা করেন।

ধ্রুববাণীর এ প্রতিবেদক সরেজমিনে বেরিয়ে জানতে ও দেখতে পায়, ১১ তারিখ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানটি পালিত হচ্ছে। এ ইউনিয়নের মানুষজন ঘুরে ঘুরে দেখে চারটি পুজো মণ্ডপ। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাজারো মুখ। বিভিন্ন দোকানপাট এসে থাকে।

গাজীপুর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই মোঃ সোহাগ ইমতিয়াজ সহকর্মীদেরকে নিয়ে পরিবেশ শান্তিপূর্ণভাবে রাখেন।

পুজো মণ্ডপের বারবার নির্বাচিত সভাপতি শ্রী মোন মোহন বলেন, এখানে ২০০৫ সাল থেকে শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গাপূজা উৎসব পালিত হয়। আমরা এই ইউনিয়নের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আর্থিক সংকটে। তারপরও এই ধর্মীয় উৎসব পালন করতে হয়। আমরা সরকারিভাবে কোনো অনুদান আজও পর্যন্ত পাইনি।

তিনি দুঃখের সাথে আরো বলেন, আমার কখনো এই শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গাপূজোকে নদীর পানিতে ডুবিয়ে দিতে পারিনি, কারন অর্থের অভাবে। কারণ ডুবিয়ে দিলে কি ভাবে আমাদের দেবী মাকে মাটি দিয়ে বানাবো অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই আমাদের দেবী মাকে ছবি করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে থাকি। মা মাটির স্বাধীন বাংলার দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাকে আমাদের এই পূজা মন্ডপের প্রতি দৃষ্টি রাখার ও অনুদান পাওয়ার আবেদন করছি।

যথারীতি পুজো করার পর হিন্দুরা তাদের দেবীকে দশমী তিথিতে বিসর্জন দেন। গতকাল ধর্মনিষ্ঠ হিন্দুর চোখ অশ্রুসজল হয়ে পড়ে, পুরুষ নারী, ধূপ, দীপ পাকা ইত্যাদি দ্বারা দেবীকে বিদায় প্রদান করেন। দেবী মূর্তিকে শোভাযাত্রা সহকারে নিকটবর্তী কোনো জলাশয় বা নদীতে নিয়ে বিসর্জন করেন। জয়া দশমীতে হিন্দুরা পরস্পর কোলাকুলি ও প্রতি বিনয় করেন।



নিউজটি শেয়ার করুন








আমতলীর আঠারোগাছিয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা উদযাপন, পাননি সরকারি অনুদান

আপডেটের সময় : ০১:০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১

এইচ এম মোশারেফ হোসেন সুজন, স্টাফ রিপোর্টারঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নে উত্তর সোনাখালি হরেকেন্ত সুকুরের বাড়িতে শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হয়েছে। এ ইউনিয়নে মোট চারটি পূজামণ্ডপে উৎসব হয়ে থাকে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এ অনুষ্ঠান। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এ পূজা হিন্দুরা ধর্মীয় আচার ও নিয়ম মাফিক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করে থাকে। ধনী-গরীব নির্বিশেষে হিন্দু নর-নারী শিশু বৃদ্ধ সবাই নতুন সাজে সজ্জিত হয়। দেবীকে দেখার জন্য মন্দিরে মন্দিরে গমন করে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠে সকলে। বাংলার প্রতিটি হিন্দু প্রদান এলাকায় দেখা দেয় আনন্দের কোলাহল। মন্দিরে মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। প্রকৃতি দেবী এ রমণীয় মূর্তি ধারণ করেন, দূর্গা মূলত শক্তির দেবী।

এই দূর্গা পুজোমন্ডপে আনুষ্ঠানিকভাবে হঠাৎ প্রয়োজন, চাউল, দুর্বা, ফুল, চন্দন, ফল-মুল প্রভৃতি উপকরণ দিয়ে দেবীর পূজা করেন।

ধ্রুববাণীর এ প্রতিবেদক সরেজমিনে বেরিয়ে জানতে ও দেখতে পায়, ১১ তারিখ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানটি পালিত হচ্ছে। এ ইউনিয়নের মানুষজন ঘুরে ঘুরে দেখে চারটি পুজো মণ্ডপ। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাজারো মুখ। বিভিন্ন দোকানপাট এসে থাকে।

গাজীপুর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই মোঃ সোহাগ ইমতিয়াজ সহকর্মীদেরকে নিয়ে পরিবেশ শান্তিপূর্ণভাবে রাখেন।

পুজো মণ্ডপের বারবার নির্বাচিত সভাপতি শ্রী মোন মোহন বলেন, এখানে ২০০৫ সাল থেকে শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গাপূজা উৎসব পালিত হয়। আমরা এই ইউনিয়নের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আর্থিক সংকটে। তারপরও এই ধর্মীয় উৎসব পালন করতে হয়। আমরা সরকারিভাবে কোনো অনুদান আজও পর্যন্ত পাইনি।

তিনি দুঃখের সাথে আরো বলেন, আমার কখনো এই শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গাপূজোকে নদীর পানিতে ডুবিয়ে দিতে পারিনি, কারন অর্থের অভাবে। কারণ ডুবিয়ে দিলে কি ভাবে আমাদের দেবী মাকে মাটি দিয়ে বানাবো অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই আমাদের দেবী মাকে ছবি করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে থাকি। মা মাটির স্বাধীন বাংলার দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাকে আমাদের এই পূজা মন্ডপের প্রতি দৃষ্টি রাখার ও অনুদান পাওয়ার আবেদন করছি।

যথারীতি পুজো করার পর হিন্দুরা তাদের দেবীকে দশমী তিথিতে বিসর্জন দেন। গতকাল ধর্মনিষ্ঠ হিন্দুর চোখ অশ্রুসজল হয়ে পড়ে, পুরুষ নারী, ধূপ, দীপ পাকা ইত্যাদি দ্বারা দেবীকে বিদায় প্রদান করেন। দেবী মূর্তিকে শোভাযাত্রা সহকারে নিকটবর্তী কোনো জলাশয় বা নদীতে নিয়ে বিসর্জন করেন। জয়া দশমীতে হিন্দুরা পরস্পর কোলাকুলি ও প্রতি বিনয় করেন।