খাঁড়ার উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে আড়ুয়াকান্দি পুলিশ ফাঁড়ি

- আপডেটের সময় : ০৪:০২:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
- / ৬৫৩
শহীদুল আলম,মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ রাজৈর উপজেলাধীন আড়ুয়াকান্দি হিন্দু অধ্যাসিত একটি এলাকা। এখানে শিক্ষিতের হার এবং সরকারী চাকুরীজীবি অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক বেশী। এক সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক থাকলেও এখন বেশ ভালো। রাস্তা-ঘাট হাটবাজার স্কুল কলেজ এমনকি বসত বাড়িতেও আধুনিকতার স্পর্শ লেগে গেছে।
গত ২০১৫ সালের শেষের দিকে এই গ্রামেরই সন্তান বিচারপতি গবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, এলাকার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এলাকাবাসির সম্মতি ক্রমে সরকারের কাছে স্থায়ী ভাবে একটি পুলিশ ফাঁড়ির আবেদন করলে হাই কোর্ট তাহা মঞ্জুর করে এখানে স্থায়ী ভাবে একটি পুলিশ ফাঁড়ির অনুমোদন দেন। বিচারপতি গবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর এলাকার গণ্যমান্য কোন ব্যক্তিবর্গ কিংবা স্থানীয় ইউ,পি চেয়ারম্যানের সাথেও আলাপ আলোচনা না করে পল্লীশ্রী টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের একাংশে অর্থাৎ যেখানে কলেজের অধ্যক্ষ থাকতেন সেখানে ফাঁড়ির যায়গা নির্ধারণ করে দেন। এতে ইউ,পি চেয়ারম্যান প্রতিবাদ করলে তাকে অনেক হয়রানির স্বীকার হতে হয়।
এলাকাবাসি ও ক্ষুব্ধ কিন্তু বিচারপতির ভয়ে কেহ মুখ খুলতে পারে নি। কলেজের ছাত্র-ছাত্রীও ভয়ে ভয়ে অধ্যায়ন করে, শিক্ষকরাও সারাক্ষন ভীতির মধ্যে থাকে। গত পাঁচ বছরে বিদ্যুৎ বিল প্রায় ৮১ হাজার টাকা বকেয়া পরে আছে কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বিলও পরিশোধ করা হয় নাই। প্রতি বছরই ক্রমাগত কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। কারিগরি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রী।
কলেজের অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি চাই পুলিশ ফাঁড়ি থাক তবে এখানে নয়, অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হোক।পুলিশ ফাঁড়ি টি এখন কলেজের জন্য খাঁড়ার উপর বিশফোঁড়ার মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজৈর থানা অফিসার ইনচার্জ সেখ সাদীর কাছে প্রশ্ন করা হলে অনেকটা নিজেকে এড়িয়ে বলেন, কোর্টের অনুমতি পেয়ে আমরা এখানে ক্যাম্প করেছি, আবার কোর্টের অনুমতি পেলেই অন্যত্র চলে যাবো। এহেন পরিস্থিতিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসির একটাই দাবি কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অতি দ্রুত পুলিশ ফাঁড়িটি স্থানান্তরিত করা হোক।