বেতাগীতে হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

- আপডেটের সময় : ১১:৩৩:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ৬২২
মো: আসাদুল হক সবুজ, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি ॥ বরগুনার বেতাগীর হোসনাবদ ইউনিয়নের স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের হাত থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের দক্ষিণ ছোপখালী সরদার বাড়ি সর্বজনীন দুর্গা মন্দির’ ও সেবা আশ্রম নামে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেতাগী উপজেলার হোসানাবাদ ইউনিয়নের প্রথম দুর্গা মন্দির ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ছোপখালী গ্রামের সরদার বাড়ি সর্বজনীন দুর্গা মন্দির সেবা আশ্রম। এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা এবং মন্দিরের সভাপতি হরেন্দ্র নাথ সরদার।
জানা যায় এই মন্দিরের সভাপতি পদকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে সবসময় সততা ও সত্যনিষ্ঠ ভাবে প্রায় দুই যুগ যাবৎ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন বর্তমান সভাপতি । এ যাবৎ মন্দির এলাকার কল্যাণে দীর্ঘ দুই কিলোমিটার রাস্তার কাজ এল জি ই ডি এর সহযোগিতায় সম্পন্ন করেছে। এছাড়া মন্দিরের ভবনের কাজ মন্দিরের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রথম বেতাগী উপজেলার কোন গ্রামের মন্দির হিসাবে সি সি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছেন। এছাড়া আরও অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ সভাপতি নিজ ও সরকারি অর্থায়নে সম্পন্ন করেছে। ইতি মধ্যে মন্দিরটি হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক সরকারি অনুমোদন লাভ করেছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে মন্দিরের ব্যাপক উন্নয়ন ও সফলতা দেখে একদল কুচক্রী মহল ঈর্শ্বন্বিত হয়ে মন্দিরের উন্নয়ন কার্য ব্যাহত করার লক্ষে পরিকল্পিত ভাবে মন্দির প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
এ বিষয়ে মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সরদার বলেন, আমি দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত সুনামের সহিত এলাকার সবাইকে নিয়ে এই মন্দির পরিচালনা করছি। এবং প্রত্যেকটি পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছি কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে গত ২৫ বছরে এই মন্দির নিয়ে কোন প্রকার বদনাম হয়নি কিন্তু বর্তমানে আমার এলাকার একটি কুচক্রী মহল এই মন্দিরটি কে কুলষিত করার জন্য কাজ করছে তাই আমি প্রশাসনের নিকট এই মন্দির রক্ষার জন্য এবং এই মন্দিরের সামনের পূজা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বিগত দিনেও বেতাগীর কোন পূজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা হয়নি তাই এবছরও আশা রাখি কোন মন্দিরে বিশৃংখলা হবে না। এ বিষয়ে আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি করছি এবং করব।