ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়াকাটায় শ্রমিক দল ও কৃষক দল নেতার নেতৃত্বে সাংবাদিকের উপর হামলা

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৯:৩৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৮১২

কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক দেশরূপান্তরের কুয়াকাটা প্রতিনিধি সাংবাদিক কেএম বাচ্চু ও তার বয়োবৃদ্ধ পিতা ইউনুচ খলিফাকে স্থানীয় শ্রমিক দল ও কৃষক দল নেতার নেতৃত্বে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা, পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকার, শ্রমিক দলের শহীদ ও কাদেরের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ওই সাংবাদিক ও স্থানীয়রা।

আহত সাংবাদিক বাচ্চু ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক কেএম বাচ্চুর পিতা ইউনুচ খলিফা রাত ৮ টার দিকে চৌরাস্তা এলাকায় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতা করছিলেন। এসময় ওই এলাকার এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী খন্দকার। ওই বাদাম বিক্রেতাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন সে। পরে ইউনুচ খলিফা এর প্রতিবাদ করলে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় আলী খন্দকার। এর কিছুক্ষণ পর পিতাকে মারধরের কথা শুনে সাংবাদিক বাচ্চু সেখানে পৌঁছলে পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও আলী খন্দকারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন তাকে লাঠিসোটা নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।‌ এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে আসে।

রাসেল নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘বাচ্চুকে ৩/৪ জন মিলে মারধর করেছে। এমন অবস্থায় আমি তাঁকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়।  তবে আমি না গেলে ওরে আজকে মেরে ফেলতো।’

এ বিষয় কুয়াকাটা পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি ওখানে গিয়ে দেখি বাচ্চু খলিফাকে মারধর করা হচ্ছে। পরে আমি মারধর থামাতে গেলে বাচ্চু নিজেই আমার উপর হামলা চালায়। আমি বর্তমানে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।’

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’



নিউজটি শেয়ার করুন








কুয়াকাটায় শ্রমিক দল ও কৃষক দল নেতার নেতৃত্বে সাংবাদিকের উপর হামলা

আপডেটের সময় : ০৯:৩৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক দেশরূপান্তরের কুয়াকাটা প্রতিনিধি সাংবাদিক কেএম বাচ্চু ও তার বয়োবৃদ্ধ পিতা ইউনুচ খলিফাকে স্থানীয় শ্রমিক দল ও কৃষক দল নেতার নেতৃত্বে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা, পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকার, শ্রমিক দলের শহীদ ও কাদেরের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ওই সাংবাদিক ও স্থানীয়রা।

আহত সাংবাদিক বাচ্চু ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক কেএম বাচ্চুর পিতা ইউনুচ খলিফা রাত ৮ টার দিকে চৌরাস্তা এলাকায় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতা করছিলেন। এসময় ওই এলাকার এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী খন্দকার। ওই বাদাম বিক্রেতাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন সে। পরে ইউনুচ খলিফা এর প্রতিবাদ করলে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় আলী খন্দকার। এর কিছুক্ষণ পর পিতাকে মারধরের কথা শুনে সাংবাদিক বাচ্চু সেখানে পৌঁছলে পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও আলী খন্দকারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন তাকে লাঠিসোটা নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।‌ এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে আসে।

রাসেল নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘বাচ্চুকে ৩/৪ জন মিলে মারধর করেছে। এমন অবস্থায় আমি তাঁকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়।  তবে আমি না গেলে ওরে আজকে মেরে ফেলতো।’

এ বিষয় কুয়াকাটা পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি ওখানে গিয়ে দেখি বাচ্চু খলিফাকে মারধর করা হচ্ছে। পরে আমি মারধর থামাতে গেলে বাচ্চু নিজেই আমার উপর হামলা চালায়। আমি বর্তমানে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।’

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’