ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়াকাটায় মাসব্যাপি পর্যটন মেলার বর্ণিল উদ্বোধন

হাফিজুর রহমান আকাশ
  • আপডেটের সময় : ০৬:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৭২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বহুল প্রতীক্ষিত মাসব্যাপি পর্যটন মেলা ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় এই উৎসবের পর্দা ওঠে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের হাত ধরে।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাব ও ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলায় সার্বিক সহযোগিতা করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম, কুয়াকাটা সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাবাব আহমেদ শিবলী, কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মোতালেব শরীফ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা এ আয়োজনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

মাসব্যাপি এ পর্যটন মেলা স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা পণ্যসামগ্রী নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করছেন। মেলায় মাসব্যাপি থাকছে বরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ‘দি নিউ রাজধানী সার্কাস’ এবং নানা ধরনের রাইড।

জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ‘কুয়াকাটা শুধু একটি পর্যটন কেন্দ্র নয়, এটি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনাময় স্থান। এই মেলা কুয়াকাটাকে দেশব্যাপি পরিচিত করতে সাহায্য করবে এবং পর্যটন শিল্পে নতুন গতির সঞ্চার করবে।’

কুয়াকাটা পর্যটন মেলা স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবেন। একই সঙ্গে মেলা কেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পর্যটকদের মনে একটি চিরস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা এই মেলার মাধ্যমে কুয়াকাটার আরও প্রসারিত পর্যটন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। তাদের মতে, এই ধরনের উদ্যোগ শুধু পর্যটকদের আকর্ষণই বাড়াবে না বরং স্থানীয় জনগণের জীবিকা নির্বাহের নতুন পথ উন্মুক্ত করবে।



নিউজটি শেয়ার করুন



কুয়াকাটায় মাসব্যাপি পর্যটন মেলার বর্ণিল উদ্বোধন

আপডেটের সময় : ০৬:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বহুল প্রতীক্ষিত মাসব্যাপি পর্যটন মেলা ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় এই উৎসবের পর্দা ওঠে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের হাত ধরে।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাব ও ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলায় সার্বিক সহযোগিতা করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম, কুয়াকাটা সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাবাব আহমেদ শিবলী, কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মোতালেব শরীফ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা এ আয়োজনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

মাসব্যাপি এ পর্যটন মেলা স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা পণ্যসামগ্রী নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করছেন। মেলায় মাসব্যাপি থাকছে বরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ‘দি নিউ রাজধানী সার্কাস’ এবং নানা ধরনের রাইড।

জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ‘কুয়াকাটা শুধু একটি পর্যটন কেন্দ্র নয়, এটি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনাময় স্থান। এই মেলা কুয়াকাটাকে দেশব্যাপি পরিচিত করতে সাহায্য করবে এবং পর্যটন শিল্পে নতুন গতির সঞ্চার করবে।’

কুয়াকাটা পর্যটন মেলা স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবেন। একই সঙ্গে মেলা কেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পর্যটকদের মনে একটি চিরস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা এই মেলার মাধ্যমে কুয়াকাটার আরও প্রসারিত পর্যটন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। তাদের মতে, এই ধরনের উদ্যোগ শুধু পর্যটকদের আকর্ষণই বাড়াবে না বরং স্থানীয় জনগণের জীবিকা নির্বাহের নতুন পথ উন্মুক্ত করবে।