ঢাকা ০৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালী-৪ আসনে আ’লীগের ত্যাগী নেতা হিসেবে মনোনয়ন চান বাবুল খান

হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী
  • আপডেটের সময় : ১১:০১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৬২৯

কলাপাড়া সংবাদদাতাঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১১৪ পটুয়াখালী-৪ আসনে দুই ডজনেরও অধিক প্রার্থীর আওয়ামীলীগের মনোনয়নের আবেদনপত্র দাখিল করার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের দুর্দিনের ত্যাগী নেতা-কর্মীরাও রয়েছেন। সেই সকল ত্যাগী নেতাদেরকে মনোনয়ন বোর্ড কিভাবে মূল্যায়ন করবেন। সেটা দেখার জন্যই আওয়ামীলীগের দুর্দিনের ত্যাগী নেতা মোঃ শফিকুল আলম বাবুল খান গত ২১ নভেম্বর মনোনয়নপত্র ক্রয় করে ২২ নভেম্বর জমা দিয়েছেন। গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নিজে মনোনীত না হলেও মনোনয়ন বোর্ড যাকে চূড়ান্ত করবে তার হয়েই নৌকা মার্কার জয়ের আশা করেন। ত্যাগী নেতা দাবী করতে গিয়ে শফিকুল আলম বাবুল খানের রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেন।
তার রাজনৈতিক পরিচিতিঃ
ক॥ ১৯৮৩-১৯৮৬ আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া থানা শাখা।
খ॥ ১৯৮৭-১৯৮৮ সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া থানা শাখা।
গ॥ ১৯৮৯-১৯৯১ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
ঘ॥ ১৯৯৩-১৯৯৮ সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
ঙ॥ ১৯৯৮-২০০৩ সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
চ॥ ২০০৩-২০১২ সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
ছ॥ ২০১২-২০২৩ সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
জ॥ বর্তমানে ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
ঝ॥ ভাইস চেয়ারম্যান, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ১৯৮৩ সাল থেকে ছাত্রলীগের দায়িত্বে ছিলাম প্রায় ২০ বছর। আওয়ীমী যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ২০ বছর ছিলাম। আমার রাজনৈতিক জীবনে অর্ধশত মিথ্যা মামলায় অতীতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে নিপীড়িত নির্যাতিত হই। একাধিকবার ডিটেনশনসহ জেলহাজতে কারাবাস ছিলাম। ১/১১’র গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গ্রেফতার করে, সেময় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পটুয়াখালী জেলায় তার মুক্তির জন্য বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন আন্দোলন করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়, এবং পরবর্তী সময় গ্রেফতার হই। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় রাজনৈতিক কারণে আমি আমার বাবা-মায়ের মৃত্যু দেখতে পারিনি। কারণ আমার বাবা-মায়ের মৃত্যুর সময় জেলখানায় ছিলাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই আসনে প্রায় দুই ডজনের অধিক ব্যাক্তিরা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন, জমাও দিয়েছেন। কিন্তু দলের দুর্দিনে এবং এই সুদিন পর্যন্ত ত্যাগী নেতা আমিসহ দু-একজন থাকতে পারে, এর বেশি নেই। তবে ত্যাগী নেতার সংখ্যা একেবারে কম থাকলেও অর্থবৃত্ত নেতাদের ভীর অধিক।’ তবে আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বস্ত ও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করার কথা বলেছেন, সেই আলোকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন শফিকুল আলম বাবুল খান।



নিউজটি শেয়ার করুন








পটুয়াখালী-৪ আসনে আ’লীগের ত্যাগী নেতা হিসেবে মনোনয়ন চান বাবুল খান

আপডেটের সময় : ১১:০১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

কলাপাড়া সংবাদদাতাঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১১৪ পটুয়াখালী-৪ আসনে দুই ডজনেরও অধিক প্রার্থীর আওয়ামীলীগের মনোনয়নের আবেদনপত্র দাখিল করার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের দুর্দিনের ত্যাগী নেতা-কর্মীরাও রয়েছেন। সেই সকল ত্যাগী নেতাদেরকে মনোনয়ন বোর্ড কিভাবে মূল্যায়ন করবেন। সেটা দেখার জন্যই আওয়ামীলীগের দুর্দিনের ত্যাগী নেতা মোঃ শফিকুল আলম বাবুল খান গত ২১ নভেম্বর মনোনয়নপত্র ক্রয় করে ২২ নভেম্বর জমা দিয়েছেন। গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নিজে মনোনীত না হলেও মনোনয়ন বোর্ড যাকে চূড়ান্ত করবে তার হয়েই নৌকা মার্কার জয়ের আশা করেন। ত্যাগী নেতা দাবী করতে গিয়ে শফিকুল আলম বাবুল খানের রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেন।
তার রাজনৈতিক পরিচিতিঃ
ক॥ ১৯৮৩-১৯৮৬ আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া থানা শাখা।
খ॥ ১৯৮৭-১৯৮৮ সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া থানা শাখা।
গ॥ ১৯৮৯-১৯৯১ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
ঘ॥ ১৯৯৩-১৯৯৮ সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
ঙ॥ ১৯৯৮-২০০৩ সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
চ॥ ২০০৩-২০১২ সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
ছ॥ ২০১২-২০২৩ সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
জ॥ বর্তমানে ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
ঝ॥ ভাইস চেয়ারম্যান, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ১৯৮৩ সাল থেকে ছাত্রলীগের দায়িত্বে ছিলাম প্রায় ২০ বছর। আওয়ীমী যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ২০ বছর ছিলাম। আমার রাজনৈতিক জীবনে অর্ধশত মিথ্যা মামলায় অতীতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে নিপীড়িত নির্যাতিত হই। একাধিকবার ডিটেনশনসহ জেলহাজতে কারাবাস ছিলাম। ১/১১’র গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গ্রেফতার করে, সেময় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পটুয়াখালী জেলায় তার মুক্তির জন্য বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন আন্দোলন করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়, এবং পরবর্তী সময় গ্রেফতার হই। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় রাজনৈতিক কারণে আমি আমার বাবা-মায়ের মৃত্যু দেখতে পারিনি। কারণ আমার বাবা-মায়ের মৃত্যুর সময় জেলখানায় ছিলাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই আসনে প্রায় দুই ডজনের অধিক ব্যাক্তিরা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন, জমাও দিয়েছেন। কিন্তু দলের দুর্দিনে এবং এই সুদিন পর্যন্ত ত্যাগী নেতা আমিসহ দু-একজন থাকতে পারে, এর বেশি নেই। তবে ত্যাগী নেতার সংখ্যা একেবারে কম থাকলেও অর্থবৃত্ত নেতাদের ভীর অধিক।’ তবে আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বস্ত ও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করার কথা বলেছেন, সেই আলোকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন শফিকুল আলম বাবুল খান।