ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে স্পিড গান হাতে নিলেন ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ কাজল

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৩:৪৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫৮৯

এইচ এম মোশাররফ সুজনঃ পটুয়াখালী জেলা শহরের গতি নিয়ন্ত্রণে শুরু হয়েছে স্পিড গানের ব্যাবহার। গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেন ট্রাফিক পুলিশ টিম।

পটুয়াখালী ফোর লেনে যানবাহনের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে সড়কের পাশে অবস্থান করেন জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ সালেহ আহাম্মেদ কাজল। তিনি এমন একটি যন্ত্র ব্যবহার করেন, যে কোন গাড়িকে শ্যুট করলে, গাড়ির গতি মাপা হয়। কোনো গাড়ি গতিসীমা অতিক্রম করলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা সামনের চেকপোস্টকে গাড়িটির বিষয়ে নির্দেশনা দেন। পরে অপরাধ অনুযায়ী মামলা দেওয়া হয়।

ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ কাজল বলেন, মহাসড়কে বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশ যে কোনো গাড়িকেএই স্পিড গান দিয়ে শ্যুট করলে,একটিআলোকে রশ্মি ঐ গাড়িকে তাৎক্ষণিক ডিটেক্ট করে, গাড়ির গতি মেপে দেয়।

সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে যেকোনো শহর পৌর এলাকায় সর্বোচ্চ গতিসীমা ৪০ কিঃ মিঃ/ ঘন্টা কিন্তু পটুয়াখালী শহর আধুনিক হওয়ার ফলে,রাস্তা প্রস্বস্ত হয়,যার ফলে যানবাহনের গতি থাকে বেশি এবং ঘন ঘন পথচারীর পারাপার এবং ইউ টান বাঁকাতে প্রায় দূর্ঘটনা ঘটছে তাই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, এটি ব্যবহার করে গতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হচ্ছে। স্পিড গান ব্যবহার করে বেশি গতিতে গাড়ি চলাচলের বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত গতিতে চালানোর অভিযোগে মামলা এবং জরিমানা করা হচ্ছে। সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে চালক ও যাত্রীদের আরও সচেতন হতে হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্যানু্যায়ী ২০২০ সালে ২ হাজার ৬৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৩৫৮ জন প্রাণহানি হয়। ২০২১ সালে ৩ হাজার ২০৪টি দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৭৭৬ জন প্রাণহানি ঘটে। আর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে তিন হাজার ২৫১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। যার একটি বড় কারণ এ বেপরোয়া গতিতে পরিবহন চালানো। জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত রয়েছে, মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ৮০ কিলোমিটার। মহাসড়কের সব জায়গায় এই গতি ওঠানো যাবে না। কারণ কিছু জায়গায় বাজার, পথচারী পারাপারের জায়গা আছে। আর শহরের মধ্যে সর্বোচ্চ গতিসীমা হচ্ছে ৪০ কিলোমিটার।



নিউজটি শেয়ার করুন








পটুয়াখালীতে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে স্পিড গান হাতে নিলেন ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ কাজল

আপডেটের সময় : ০৩:৪৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

এইচ এম মোশাররফ সুজনঃ পটুয়াখালী জেলা শহরের গতি নিয়ন্ত্রণে শুরু হয়েছে স্পিড গানের ব্যাবহার। গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেন ট্রাফিক পুলিশ টিম।

পটুয়াখালী ফোর লেনে যানবাহনের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে সড়কের পাশে অবস্থান করেন জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ সালেহ আহাম্মেদ কাজল। তিনি এমন একটি যন্ত্র ব্যবহার করেন, যে কোন গাড়িকে শ্যুট করলে, গাড়ির গতি মাপা হয়। কোনো গাড়ি গতিসীমা অতিক্রম করলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা সামনের চেকপোস্টকে গাড়িটির বিষয়ে নির্দেশনা দেন। পরে অপরাধ অনুযায়ী মামলা দেওয়া হয়।

ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ কাজল বলেন, মহাসড়কে বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশ যে কোনো গাড়িকেএই স্পিড গান দিয়ে শ্যুট করলে,একটিআলোকে রশ্মি ঐ গাড়িকে তাৎক্ষণিক ডিটেক্ট করে, গাড়ির গতি মেপে দেয়।

সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে যেকোনো শহর পৌর এলাকায় সর্বোচ্চ গতিসীমা ৪০ কিঃ মিঃ/ ঘন্টা কিন্তু পটুয়াখালী শহর আধুনিক হওয়ার ফলে,রাস্তা প্রস্বস্ত হয়,যার ফলে যানবাহনের গতি থাকে বেশি এবং ঘন ঘন পথচারীর পারাপার এবং ইউ টান বাঁকাতে প্রায় দূর্ঘটনা ঘটছে তাই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, এটি ব্যবহার করে গতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হচ্ছে। স্পিড গান ব্যবহার করে বেশি গতিতে গাড়ি চলাচলের বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত গতিতে চালানোর অভিযোগে মামলা এবং জরিমানা করা হচ্ছে। সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে চালক ও যাত্রীদের আরও সচেতন হতে হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্যানু্যায়ী ২০২০ সালে ২ হাজার ৬৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৩৫৮ জন প্রাণহানি হয়। ২০২১ সালে ৩ হাজার ২০৪টি দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৭৭৬ জন প্রাণহানি ঘটে। আর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে তিন হাজার ২৫১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। যার একটি বড় কারণ এ বেপরোয়া গতিতে পরিবহন চালানো। জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত রয়েছে, মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ৮০ কিলোমিটার। মহাসড়কের সব জায়গায় এই গতি ওঠানো যাবে না। কারণ কিছু জায়গায় বাজার, পথচারী পারাপারের জায়গা আছে। আর শহরের মধ্যে সর্বোচ্চ গতিসীমা হচ্ছে ৪০ কিলোমিটার।