ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দক্ষ জনপ্রশাসন দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৩:৪২:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১
  • / ৬১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷৷ ফাইল ফটো

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা চাই একটি দক্ষ জনসেবামুখী জনপ্রশাসন গড়ে উঠবে, যা দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। সেটাই সবচেয়ে বেশি কার্যকর। বাংলাদেশে আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি, অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে। তাই কোনো রকম দুর্নীতি আমরা সহ্য করব না।

গতকাল এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি। প্রতি বছর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবদের নিয়ে একটি বিশেষ সভা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে গত চার বছরে বিভিন্ন কারণে এ সভা হয়নি। সবশেষ ২০১৭ সালে সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি আসলে একটা ব্যাধির মতো। এ ব্যাধি থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। যেখানেই আপনারা দুর্নীতি দেখবেন, সেখানেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আর যারা ভালো কাজ করবেন অবশ্যই তারা পুরস্কৃত হবেন।

বিগত বছরগুলোতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার বেতন আমরা বাড়িয়ে দিয়েছি। আবাসনের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। যেন তারা ভালোভাবে বসবাস করে কাজ করতে পারেন। সুন্দরভাবে থাকতে পারলে কাজের সুবিধাটা হয়।

তিনি বলেন, আমরা উৎসব ভাতা দিচ্ছি। পহেলা বৈশাখ, আমাদের বাংলা নববর্ষ ভাতা দিয়ে যাচ্ছি। গৃহনির্মাণের জন্য যাতে সহজে ঋণ পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা দিচ্ছি। গাড়ি কেনার ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এ সুযোগগুলো আমরা সৃষ্টি করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, এক সরকারি কর্মকর্তা অবসরে বা পিআরএলে গেলে যেসব সুবিধা পেতেন, আমরা অনেক গুণ সেসব সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছি। পেনশন সহজভাবে পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সব বেতন-ভাতা, পেনশন ডিজিটাল পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে এখন দেয়া হচ্ছে। ঘরে বসে সবাই পেয়ে যাচ্ছেন।

প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যার যার মন্ত্রণালয়ে যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে, সে প্রকল্পগুলো যেন যথাযথভাবে কার্যকর হয়, বাস্তবায়ন হয়, এ বিষয়গুলো দেখা দরকার। আপনারা সেটাই দেখবেন বলে আমি আশা করি। এটা যদি আমরা করতে পারি, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নটা গতিশীল রাখতে পারব। আমি চাই যে আপনারা আন্তরিকতার সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে দেশের একটি লোক যেন পিছিয়ে না থাকে। প্রত্যেক মানুষ যেন তার জীবনকে সুন্দরভাবে গড়তে পারে। উন্নয়নের সুফলটা যেন সবার ঘরে পৌঁছায়, স্বাধীনতার সুফলটা যাতে সবার ঘরে পৌঁছায়, সেভাবেই আমরা আমাদের কাজগুলো যেন সম্পন্ন করতে পারি, পরিকল্পনাগুলো যেন সেভাবেই নিই।

শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য, একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের যে মানুষগুলো তারা যেন একটা উন্নত জীবন পায়। দারিদ্র্যের হাত থেকে যেন মুক্তি পায়। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার সুযোগটা যেন পায়। বাংলাদেশ এখন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও যেন এগিয়ে যেতে পারে, সেভাবে আমাদের কার্যক্রম চালাতে হবে। তার ভিত্তিটা আমরা তৈরি করেছি, এটাকে ধরেই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত এ স্বাধীনতা যেন কখনই ব্যর্থ না হয়। এ বাংলাদেশকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাব উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। এরই মধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমাদের ভবিষ্যতে আরো অনেক দূর যেতে হবে এবং সে পরিকল্পনাও আমরা নিয়েছি। যেমন প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বা ডেল্টা প্ল্যান, সেগুলো মাথায় রেখেই বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন যেন যথাযথভাবে হয়।

এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়েও কথা বলেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া দরকার এবং সেটা খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো না, আমাদের স্কুলগুলোও খুলতে হবে। আমি ধন্যবাদ জানাই, আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কাজেই এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাচ্চারা ঘরে থাকতে থাকতে তাদেরও যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে। সেদিকেও আমাদের নজর দেয়া দরকার।

সচিব কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সর্বশেষ সরকারের ক্রয়-সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভায় ছয় কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সচিব কমিটির সভায় জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সসহ বিভিন্ন উৎস থেকে নভেল করোনাভাইরাস প্রতিষেধক ২১ কোটি ৪ লাখ ডোজের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে ৩ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা কেনা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, দেশের মানুষকে ২ কোটি ৫ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এখন ১ কোটি ৪ লাখ ডোজ হাতে আছে। ধাপে ধাপে সেগুলো দেয়া হচ্ছে।



নিউজটি শেয়ার করুন








দক্ষ জনপ্রশাসন দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেটের সময় : ০৩:৪২:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা চাই একটি দক্ষ জনসেবামুখী জনপ্রশাসন গড়ে উঠবে, যা দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। সেটাই সবচেয়ে বেশি কার্যকর। বাংলাদেশে আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি, অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে। তাই কোনো রকম দুর্নীতি আমরা সহ্য করব না।

গতকাল এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি। প্রতি বছর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবদের নিয়ে একটি বিশেষ সভা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে গত চার বছরে বিভিন্ন কারণে এ সভা হয়নি। সবশেষ ২০১৭ সালে সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি আসলে একটা ব্যাধির মতো। এ ব্যাধি থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। যেখানেই আপনারা দুর্নীতি দেখবেন, সেখানেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আর যারা ভালো কাজ করবেন অবশ্যই তারা পুরস্কৃত হবেন।

বিগত বছরগুলোতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার বেতন আমরা বাড়িয়ে দিয়েছি। আবাসনের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। যেন তারা ভালোভাবে বসবাস করে কাজ করতে পারেন। সুন্দরভাবে থাকতে পারলে কাজের সুবিধাটা হয়।

তিনি বলেন, আমরা উৎসব ভাতা দিচ্ছি। পহেলা বৈশাখ, আমাদের বাংলা নববর্ষ ভাতা দিয়ে যাচ্ছি। গৃহনির্মাণের জন্য যাতে সহজে ঋণ পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা দিচ্ছি। গাড়ি কেনার ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এ সুযোগগুলো আমরা সৃষ্টি করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, এক সরকারি কর্মকর্তা অবসরে বা পিআরএলে গেলে যেসব সুবিধা পেতেন, আমরা অনেক গুণ সেসব সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছি। পেনশন সহজভাবে পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সব বেতন-ভাতা, পেনশন ডিজিটাল পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে এখন দেয়া হচ্ছে। ঘরে বসে সবাই পেয়ে যাচ্ছেন।

প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যার যার মন্ত্রণালয়ে যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে, সে প্রকল্পগুলো যেন যথাযথভাবে কার্যকর হয়, বাস্তবায়ন হয়, এ বিষয়গুলো দেখা দরকার। আপনারা সেটাই দেখবেন বলে আমি আশা করি। এটা যদি আমরা করতে পারি, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নটা গতিশীল রাখতে পারব। আমি চাই যে আপনারা আন্তরিকতার সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে দেশের একটি লোক যেন পিছিয়ে না থাকে। প্রত্যেক মানুষ যেন তার জীবনকে সুন্দরভাবে গড়তে পারে। উন্নয়নের সুফলটা যেন সবার ঘরে পৌঁছায়, স্বাধীনতার সুফলটা যাতে সবার ঘরে পৌঁছায়, সেভাবেই আমরা আমাদের কাজগুলো যেন সম্পন্ন করতে পারি, পরিকল্পনাগুলো যেন সেভাবেই নিই।

শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য, একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের যে মানুষগুলো তারা যেন একটা উন্নত জীবন পায়। দারিদ্র্যের হাত থেকে যেন মুক্তি পায়। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার সুযোগটা যেন পায়। বাংলাদেশ এখন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও যেন এগিয়ে যেতে পারে, সেভাবে আমাদের কার্যক্রম চালাতে হবে। তার ভিত্তিটা আমরা তৈরি করেছি, এটাকে ধরেই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত এ স্বাধীনতা যেন কখনই ব্যর্থ না হয়। এ বাংলাদেশকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাব উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। এরই মধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমাদের ভবিষ্যতে আরো অনেক দূর যেতে হবে এবং সে পরিকল্পনাও আমরা নিয়েছি। যেমন প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বা ডেল্টা প্ল্যান, সেগুলো মাথায় রেখেই বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন যেন যথাযথভাবে হয়।

এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়েও কথা বলেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া দরকার এবং সেটা খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো না, আমাদের স্কুলগুলোও খুলতে হবে। আমি ধন্যবাদ জানাই, আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কাজেই এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাচ্চারা ঘরে থাকতে থাকতে তাদেরও যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে। সেদিকেও আমাদের নজর দেয়া দরকার।

সচিব কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সর্বশেষ সরকারের ক্রয়-সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভায় ছয় কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সচিব কমিটির সভায় জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সসহ বিভিন্ন উৎস থেকে নভেল করোনাভাইরাস প্রতিষেধক ২১ কোটি ৪ লাখ ডোজের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে ৩ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা কেনা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, দেশের মানুষকে ২ কোটি ৫ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এখন ১ কোটি ৪ লাখ ডোজ হাতে আছে। ধাপে ধাপে সেগুলো দেয়া হচ্ছে।