ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে ১০ বছরেও সংস্কার হয়নি ব্রিজ, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার!

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৯:২২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৭৮২

এইচ এম মোশারেফ সুজনঃ বরগুনার আমতলী উপজেলা আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালি স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন খালের উপরের ব্রিজটি ১০ বছরে ও সংস্কার হয়নি। ফলে যাতায়াতে লাখো মানুষের দুর্ভোগ।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রামে আত্মীয় স্বজনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে আসা লোকজন এই ব্রিজটি দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এছাড়া গ্রামগঞ্জের লোকজনসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করছেন। যাতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

বরগুনা ও পটুয়াখালী যাতায়াতের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ এটি। এছাড়া আমতলীও পার্শ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলার লোকজনও এই ব্রিজ থেকেই যাতায়াত করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লাখো মানুষকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় কাঠ দিয়ে স্থানীয় লোকজন সংস্কার করে চলাচল করছেন। মানুষের যেন দুর্ভোগের অন্ত নেই।

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় নির্মাণ সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। অটোরিকশা, অটোভ্যান ও মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহনগুলো ঝুঁকির কারণে চলাচল বন্ধ এবং যে-কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুর্ভোগ লাঘবের আশ্বাস দিলেও সেতুটির মেরামতের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

স্থানীয়রা আরো বলেন, ব্রিজের এ অবস্থা হঠাৎ করে হয়নি। প্রায় ছয় থেকে সাত বছর আগে ব্রিজটির মাঝখানে হালকা ফাটল দেখা দেয়। তারপর থেকে বড় ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুল ও কলেজে আসতে অনেক দুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে-কলেজে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। স্থানীয়দের দাবি যাতে অতিসত্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি সংস্কার করে যাতায়াত সমস্যা লাঘবে ভূমিকা রাখেন।



নিউজটি শেয়ার করুন








আমতলীতে ১০ বছরেও সংস্কার হয়নি ব্রিজ, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার!

আপডেটের সময় : ০৯:২২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩

এইচ এম মোশারেফ সুজনঃ বরগুনার আমতলী উপজেলা আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালি স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন খালের উপরের ব্রিজটি ১০ বছরে ও সংস্কার হয়নি। ফলে যাতায়াতে লাখো মানুষের দুর্ভোগ।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রামে আত্মীয় স্বজনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে আসা লোকজন এই ব্রিজটি দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এছাড়া গ্রামগঞ্জের লোকজনসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করছেন। যাতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

বরগুনা ও পটুয়াখালী যাতায়াতের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ এটি। এছাড়া আমতলীও পার্শ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলার লোকজনও এই ব্রিজ থেকেই যাতায়াত করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লাখো মানুষকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় কাঠ দিয়ে স্থানীয় লোকজন সংস্কার করে চলাচল করছেন। মানুষের যেন দুর্ভোগের অন্ত নেই।

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় নির্মাণ সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। অটোরিকশা, অটোভ্যান ও মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহনগুলো ঝুঁকির কারণে চলাচল বন্ধ এবং যে-কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুর্ভোগ লাঘবের আশ্বাস দিলেও সেতুটির মেরামতের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

স্থানীয়রা আরো বলেন, ব্রিজের এ অবস্থা হঠাৎ করে হয়নি। প্রায় ছয় থেকে সাত বছর আগে ব্রিজটির মাঝখানে হালকা ফাটল দেখা দেয়। তারপর থেকে বড় ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুল ও কলেজে আসতে অনেক দুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে-কলেজে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। স্থানীয়দের দাবি যাতে অতিসত্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি সংস্কার করে যাতায়াত সমস্যা লাঘবে ভূমিকা রাখেন।