ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত : শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে স্কুল কমিটির সভাপতির পদত্যাগ

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৯:৩৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৭১৮

মোঃ ইমরান, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (জাহাঙ্গীর ম্যানেজার)।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে স্কুল মাঠে কয়েকশ ছাত্রছাত্রী সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ ১০ম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাসে প্রবেশ করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। পরে শিক্ষার্থীদের সামনে সহকারী শিক্ষক মজিবুর রহমানকে পাঞ্জাবি এবং টুপি পরে বিদ্যালয়ের আসতে নিষেধ করেন এবং প্রধান শিক্ষককে সহকারী শিক্ষকের বেতন বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেন। পাঞ্জাবি এবং টুপির বিরোধিতা করায় ক্ষেপে যায় ছাত্র-ছাত্রীরা। শুক্র, শনি ও রোববার তিনদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তারা সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান নেয়। এ সময় ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যরা উপস্থিত থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাতে কর্ণপাত করেননি। পরে সভাপতি এসে মৌখিকভাবে তাদের সামনে তার পদত্যাগ ঘোষণা করলে ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়ি ফিরে যান।

শিক্ষার্থীরা বলে, সে আমাদের সামনে আমাদের শিক্ষককে ধমক দিয়েছেন এবং তার টুপি-পাঞ্জাবি নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা এটা কোনভাবেই মেনে নেবো না। তাই আমরা তার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।

মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম জানান, বিষয়টি যখনই মজিবর স্যার আমাকে জানিয়েছেন আমি তখন সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু সভাপতি জানিয়েছেন শ্রেণি শিক্ষকের পোশাকে ময়লা ছিলো সেই বিষয়ে কথা বলেছেন।

ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন, আমি দশম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছিলাম। তখন সভাপতি প্রবেশ করেন, আমাকে পাঞ্জাবি-টুপি পরে কেন এসেছি সেজন্য ধমক দেন এবং প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন যদি আমি পাঞ্জাবি-টুপি পরে ক্লাসে আসি তাহলে যেন আমার বেতন বন্ধ করে দেন। আর এখন তিনি বলছেন আমার পোশাকে নাকি ময়লা ছিলো। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার পোশাকটি ছিলো ধোয়া ও ইস্ত্রী করা।

ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। সংগঠনের যদি কেউ অপরাধ করে সেটি তাকেই সমাধান করতে হবে।

অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলেন, যে কোনো জিনিসের একটি রুলস আছে সে বড় পাঞ্জাবি টুপি পরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস করতে পারেন না এবং তার পাঞ্জাবিতে ময়লা ছিলো। তাই তাকে এ কথা বলেছিলাম তবে এটি আমার ভুল হয়েছে।



নিউজটি শেয়ার করুন








ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত : শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে স্কুল কমিটির সভাপতির পদত্যাগ

আপডেটের সময় : ০৯:৩৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মোঃ ইমরান, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (জাহাঙ্গীর ম্যানেজার)।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে স্কুল মাঠে কয়েকশ ছাত্রছাত্রী সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ ১০ম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাসে প্রবেশ করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। পরে শিক্ষার্থীদের সামনে সহকারী শিক্ষক মজিবুর রহমানকে পাঞ্জাবি এবং টুপি পরে বিদ্যালয়ের আসতে নিষেধ করেন এবং প্রধান শিক্ষককে সহকারী শিক্ষকের বেতন বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেন। পাঞ্জাবি এবং টুপির বিরোধিতা করায় ক্ষেপে যায় ছাত্র-ছাত্রীরা। শুক্র, শনি ও রোববার তিনদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তারা সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান নেয়। এ সময় ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যরা উপস্থিত থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাতে কর্ণপাত করেননি। পরে সভাপতি এসে মৌখিকভাবে তাদের সামনে তার পদত্যাগ ঘোষণা করলে ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়ি ফিরে যান।

শিক্ষার্থীরা বলে, সে আমাদের সামনে আমাদের শিক্ষককে ধমক দিয়েছেন এবং তার টুপি-পাঞ্জাবি নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা এটা কোনভাবেই মেনে নেবো না। তাই আমরা তার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।

মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম জানান, বিষয়টি যখনই মজিবর স্যার আমাকে জানিয়েছেন আমি তখন সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু সভাপতি জানিয়েছেন শ্রেণি শিক্ষকের পোশাকে ময়লা ছিলো সেই বিষয়ে কথা বলেছেন।

ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন, আমি দশম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছিলাম। তখন সভাপতি প্রবেশ করেন, আমাকে পাঞ্জাবি-টুপি পরে কেন এসেছি সেজন্য ধমক দেন এবং প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন যদি আমি পাঞ্জাবি-টুপি পরে ক্লাসে আসি তাহলে যেন আমার বেতন বন্ধ করে দেন। আর এখন তিনি বলছেন আমার পোশাকে নাকি ময়লা ছিলো। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার পোশাকটি ছিলো ধোয়া ও ইস্ত্রী করা।

ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। সংগঠনের যদি কেউ অপরাধ করে সেটি তাকেই সমাধান করতে হবে।

অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলেন, যে কোনো জিনিসের একটি রুলস আছে সে বড় পাঞ্জাবি টুপি পরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস করতে পারেন না এবং তার পাঞ্জাবিতে ময়লা ছিলো। তাই তাকে এ কথা বলেছিলাম তবে এটি আমার ভুল হয়েছে।