ঢাকা ০৩:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীর সবজি বাজারে পন্যের দাম যেন আগুন!

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৪:৪৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অগাস্ট ২০২১
  • / ৬২১

মোঃ রুবাইয়াত হক মেহেদী, পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর সবজি বাজারে আগে থেকেই পণ্যের দাম ছিল চড়া। এ অবস্থায় গত জুলাই মাসের শেষের দিকে অতিবৃষ্টির কারণে বীজতলা এবং সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হওয়ায় বর্তমানে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সবজির দাম। জাহাঙ্গির নামে পুরান বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, পটুয়াখালীতে বৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় পাইকারী বাজারে শাঁক-সবজি কম আসছে। সংকটের কারণে সবজির দাম বাড়তি রাখা হচ্ছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। এদিকে ক্রেতারা বলেছেন, অতিবৃষ্টি কোনো কারণ নয়। এই মৌসুমে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবজির দাম বাড়িয়ে দেন।

এই সপ্তাহে সরেজমিন পর্যবেক্ষণে জেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, লকডাউনের প্রভাবে সবজি বাজারে আগের মতো ক্রেতা ছিল না। তবুও সবজির দাম ছিল চড়া। এছাড়াও বন্ধ দেখা গেছে কাঁচাবাজারের অধিকাংশ দোকান। জেলার নিউমার্কেট কাচাঁবাজারে প্রতি কেজি ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, কাকরোল আকার ভেদে ৪০ থেকে ৫৫ টাকায়, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, কচুর ছড়া ৮০ থেকে ৭০ টাকায়, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, পটল ৩০ থেকে ৪৫ টাকায়, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, দেশি শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, হাইব্রিড শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, আলু ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউমার্কেটের একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে দাম শুনে চমকে গিয়েছি। বয়লার মুরগি কিনেছি ১২০ টাকা দিয়ে অথচ বরবটি কিনতে হয়েছে ৮০ টাকায়। আগের সপ্তাহে ৪০ টাকা করে কিনে খেয়েছি। এ সপ্তাহে সকল সবজির দামও চড়া। দুই প্রকার সবজি কিনতে টাকা শেষ। ১০০ টাকার কাঁচাবাজারে একদিন চলে না।

এদিকে জেলার পুরান বাজার, বাঁধঘাট এলাকার কাঁচবাজারে একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। বাজারে লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, কাঁচকলা হালি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা, লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, ডাটা শাক ৪০,ডাব আকার ভেদে ১০০-১২০ টাকায় টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জেলা কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেছেন, প্রাথমিক তথ্যমতে অতিবৃষ্টিতে জেলায় প্রায় ১২০০ হেক্টর সবজি ক্ষেত পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছিল। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক কৃষক। তবে ক্ষতি পুষিয়ে সবজির উৎপাদন আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে এখন। কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও স্লুইসগেট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। সবজির দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

কাঁচাবাজারের আড়ৎদারদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, পটুয়াখালীর অনেক এলাকায় অতিবৃষ্টি হওয়ায় সবজি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই সবজি অন্যান্য উপজেলা থেকে কম আসছে।



নিউজটি শেয়ার করুন








পটুয়াখালীর সবজি বাজারে পন্যের দাম যেন আগুন!

আপডেটের সময় : ০৪:৪৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অগাস্ট ২০২১

মোঃ রুবাইয়াত হক মেহেদী, পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর সবজি বাজারে আগে থেকেই পণ্যের দাম ছিল চড়া। এ অবস্থায় গত জুলাই মাসের শেষের দিকে অতিবৃষ্টির কারণে বীজতলা এবং সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হওয়ায় বর্তমানে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সবজির দাম। জাহাঙ্গির নামে পুরান বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, পটুয়াখালীতে বৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় পাইকারী বাজারে শাঁক-সবজি কম আসছে। সংকটের কারণে সবজির দাম বাড়তি রাখা হচ্ছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। এদিকে ক্রেতারা বলেছেন, অতিবৃষ্টি কোনো কারণ নয়। এই মৌসুমে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবজির দাম বাড়িয়ে দেন।

এই সপ্তাহে সরেজমিন পর্যবেক্ষণে জেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, লকডাউনের প্রভাবে সবজি বাজারে আগের মতো ক্রেতা ছিল না। তবুও সবজির দাম ছিল চড়া। এছাড়াও বন্ধ দেখা গেছে কাঁচাবাজারের অধিকাংশ দোকান। জেলার নিউমার্কেট কাচাঁবাজারে প্রতি কেজি ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, কাকরোল আকার ভেদে ৪০ থেকে ৫৫ টাকায়, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, কচুর ছড়া ৮০ থেকে ৭০ টাকায়, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, পটল ৩০ থেকে ৪৫ টাকায়, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, দেশি শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, হাইব্রিড শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, আলু ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউমার্কেটের একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে দাম শুনে চমকে গিয়েছি। বয়লার মুরগি কিনেছি ১২০ টাকা দিয়ে অথচ বরবটি কিনতে হয়েছে ৮০ টাকায়। আগের সপ্তাহে ৪০ টাকা করে কিনে খেয়েছি। এ সপ্তাহে সকল সবজির দামও চড়া। দুই প্রকার সবজি কিনতে টাকা শেষ। ১০০ টাকার কাঁচাবাজারে একদিন চলে না।

এদিকে জেলার পুরান বাজার, বাঁধঘাট এলাকার কাঁচবাজারে একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। বাজারে লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, কাঁচকলা হালি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা, লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, ডাটা শাক ৪০,ডাব আকার ভেদে ১০০-১২০ টাকায় টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জেলা কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেছেন, প্রাথমিক তথ্যমতে অতিবৃষ্টিতে জেলায় প্রায় ১২০০ হেক্টর সবজি ক্ষেত পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছিল। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক কৃষক। তবে ক্ষতি পুষিয়ে সবজির উৎপাদন আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে এখন। কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও স্লুইসগেট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। সবজির দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

কাঁচাবাজারের আড়ৎদারদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, পটুয়াখালীর অনেক এলাকায় অতিবৃষ্টি হওয়ায় সবজি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই সবজি অন্যান্য উপজেলা থেকে কম আসছে।