পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট চরমে

- আপডেটের সময় : ০৩:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১
- / ৬৯৩
রুবাইয়াত হক, পটুয়াখালী সদরঃ পটুয়াখালীতে প্রতিদিন করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে রোগীর সংখ্যা বা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ধারণের ঠাঁই নেই। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন সেবা দিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ভয়ংকর এ পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পটুয়াখালীর স্বাস্থ্য বিভাগ। বেশ কয়েকটি সংগঠন স্বেচ্ছায় ঘরে ঘরে অক্সিজেন সেবা পৌঁছে দিলেও হিমশিম খাচ্ছে প্রয়োজন মেটাতে। অন্যদিকে হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে অন্তত দেড় হাজার রোগী ঘরে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ জাহাংগীর আলম শিপন বলেন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১৯ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়াও ১৫৫৪ করোনা রোগী বাসায় চিকিৎসা নেওয়ার তথ্য স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, অপ্রতুল জনবল নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। রোগীদের প্রয়োজন মেটাতে অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন ডাক্তার-নার্সরা। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রুপান্তর করা হয়েছে। আর সার্জারী ওয়ার্ডকে ভেঙে পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড বানানো হয়েছে।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাক্তার লোকমান হাকিম বলেন, আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী আসছে। নিয়মিত ১৬ এবং সংযুক্তিতে ১৮ ডাক্তার রোটেশনে করোনা রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছেন। করোনা রোগীর প্রধান সাপোর্ট অক্সিজেন। এ হাসপাতালে ২৫০টি সিলিন্ডার আছে, যা প্রতিদিন বরিশাল থেকে রিফিল করে এনে সেবা দিতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিগত দিনের তুলনায় এখন অক্সিজেনের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়েছে। এরই মধ্যে হাসপাতালে শুরু হয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের কাজ। তাও প্রায় শেষ পর্যায়ে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু না হওয়ায় আমরা ‘মেনিপোল’ পদ্ধতিতে অক্সিজেন সেবা দিচ্ছি। শীঘ্রই অক্সিজেন সমস্যা সমাধান হবে।
পটুয়াখালীতে বর্তমানে ব্যক্তি উদ্যোগে মেয়র অক্সিজেন ব্যাংক, জুবিলিয়ান ৯০ ব্যাচ, পটুয়াখালীর ফেলে আসা দিনগুলো, পটুয়াখালীবাসী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, জুবিলিয়ান ৮৬ ব্যাচ ও ঢাকাস্থ পটুয়াখালী জুবিলী বিদ্যালয় সমিতি বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিয়ে যাচ্ছে।