মো. নূরুল আমিন, বিশেষ প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল (২২)’র ডান হাতের কব্জি কর্তন করেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপ।

বুধবার রাত নয়টায় তেগাছিয়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের ঢালে এ ঘটনা ঘটে। এসময় দু’গ্রুপের মধ্যে দু’দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে।

এতে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ও তার ভাই রায়হান গুরুতর আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিবুল ও রায়হানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে রাকিবুলকে মূমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহত মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল বলেন, ‘বুধবার রাত নয়টার দিকে তেগাছিয়া বাজার থেকে মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। এসময় ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় আমাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলে ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ও তার ভাই রায়হানসহ বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত। এছাড়াও বাম হাত এবং মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে জখম করা হয়।’

এর আগে রাকিবুল রায়হানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ নিয়ে একটি মামলা পটুয়াখালী বিচার আদালতে চলমান রয়েছে। এনিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম আশিক তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে
বলেন, ‘ছাত্রলীগে সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই। আমাদের জেলা কমিটি না থাকায় বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে যোগাযোগ করছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

কলাপাড়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইনুল হাসান বলেন, ‘রাকিবুল ও রায়হান দু’জনের অবস্থাই গুরুতর। এদের দু’জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।’

কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়দের সংবাদের প্রেক্ষিতে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।’